টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ কার্যকর ও নিরাপদ উপায়
টনসিল ফলা কমানো ওষুধ সম্পর্কে আপনি জানতে চাচ্ছেন। আপনি টনসিলের ব্যথা ভুগছেন
কিন্তু জানেন না যে কোন ওষুধ খেলে টনসিলের ব্যথা কমানো যায়। তাহলে আপনি একদম
ঠিক পোস্টে ক্লিক করেছেন। আজকে আমরা জানতে চলেছি টনসিল খোলা কমানোর ওষুধ। কোন
কোন ওষুধ খেলে আমাদের টনসিল ফলা কমানো যাবে সে বিষয়ে আমরা আজকে সম্পূর্ণ
বিস্তারিত এই পোস্টে জানবো।
তো চলুন বেশি দেরি না করে আজকের পোস্টটি শুরু করার। পোস্টটি শুরু করার আগে সবার
কাছে একটি অনুরোধ রইল পোস্টটি অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়বেন। কারণ মাঝপথে যদি আপনি
পোস্ট করা বন্ধ করে দেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন না যে টনসিল ফোলা কমানোর
ওষুধ সম্পর্কে কি কি বলা হয়েছে। তাই সবার কাছে অনুরোধ শেষ পর্যন্ত পড়বেন কারণ
শেষে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আরো কথা বলা হয়েছে। তো পোস্টটি শুরু করা
যাক সূচিপত্র দিয়ে।
পেজ সূচিপত্র: টনসিল ফলা কমানোর ঔষধ কার্যকর ও নিরাপদ উপায়
- টনসিল কি এবং কেন ফোলা হয়
- টনসিল ফোলার লক্ষণ
- টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ
- শিশুদের টনসিল ফলা কমানোর নিরাপদ ওষুধ
- টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা
- কখন ডাক্তার দেখাবেন
- টনসিল সার্জারি
-
টনসিলের জন্য জীবন ধারার পরিবর্তন
- প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
- শেষ কথা:টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ খাওয়া-আমার মতামত
টনসিল কি এবং কেন ফোলা হয়
টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে আমাদেরকে জানতে হবে, তা সিল্কি এবং এটা কেন
ফলে। টনসিল হলো গলার ভেতরে দুইপাশে থাকায় গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা মূলত শরীরের
প্রতিরোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে কাজ করে। ছোট ছোট এই লিম্ফ
নোডগুলো সংক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে এবং শ্বাসযন্ত্রের মাধ্যমে
শরীরের প্রবেশ করা জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে আটকে রাখে। আপনারা শুনে
অবাক হচ্ছেন যে টনসিল আমাদের শরীরের উপকারী। এখন আমরা জানবো টনসিলের উপকারী ও
বিষয়, শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি সক্রিয় থাকে, কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
তখনও পুরোপুরি গড়ে ওঠে না। তাই শিশুদের মধ্যে টনসিল ফুলে যাওয়ার পূর্ণতা
তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়।
এখন আমরা জানবো টনসিল কেন ফলে। টনসিল ফোলার মূল কারণ সাধারণত ভাইরাস
সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। সর্দি, কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা কিংবা স্টেপটোকক্কাল
ব্যাকটেরিয়া টনসিল নামক সমস্যা জন্ম দেয়। এই সংক্রমণের কারণে টনসিল লাল
হয়ে যায়, আকারে বড় হয় এবং এতে ব্যথা শুরু হয়। অনেক সময় খাবার খেলতে
সমস্যা হয়, গলা শুকিয়ে যায় কিংবা কানে ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে। শুধু
সংক্রমণ নয়, এলার্জি, দূষিত পরিবেশ, ঠান্ডা পানি বা সংক্রমিত ব্যক্তির
সংস্পর্শে এলেও টান্সিল ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সুতরাং, উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছেন যে টনসিল কি এবং ফুলে যায়। তাহলে
অবশ্যই উপরে আলোচনাতে যেগুলো সতর্কবার্তা আছে সেগুলো থেকে অবশ্যই দূরে
থাকবেন। পরবর্তী ভাবে যাওয়া যাক।
টনসিল ফোলার লক্ষণ
টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ-সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে, টনসিল ফোল্ডারের
লক্ষণ। আমরা উপর থেকে জেনে এসেছি যে টনসিল খোলার কিছু ছোটখাটো কারণ সম্পর্কে।
সাধারণত মানুষের হয়ে থাকে এখন আমরা জানবো যে টনসিল ফোলার বড় কিছু প্রধান
প্রধান লক্ষণ। আমরা জানি যে টনসিল খোলা একটি সমস্যা যা ছোট থেকে বড়দের হয়ে
থাকে। আমরা এটাও জানি যে টনসিল ফলে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কারণে আরো কিছু
কারণ আছে। তো টনসিল যে ফুলে গেছে এটা আমরা কি করে বুঝবো, যে না এখন আমার
টনসিলটা ফুলেছে। তো তো চলুন জেনে আসি কি কি কারণ দেখা দিলে আমরা বুঝতে পারবো
যে আমাদের টনসিল বড় হয়েছে বা ফুলে গেছে।
টনসিল ফোলার প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হল গলা ব্যথা। গলার ভেতরে লালচে ভাব,
খাবার পানিতে কষ্ট এবং মাঝে মাঝে গলা শুকিয়ে যাওয়ার মত যদি সমস্যা দেখা
দেয় তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে টন ছিল আমাদের ভুলে গেছে। শিশুদের ও তারা
খাবার খেতে চাইবে না এবং অনেক সময় তাদের কন্ঠ ভারি শোনা যাবে এরকম কিছু কারণ
আমাদের বুঝতে হবে যে টনসিল আমাদের ফুলে গেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ
হচ্ছে জ্বর। আমরা অবশ্যই জানি যে জ্বর আমাদের কিভাবে আক্রমণ করে। জ্বর আসলে
আমাদের ভাইরাস ও ব্যক্তির মাধ্যমে হয়ে থাকে।
আর আমরা এটাও জানি যে ভাইরাস এবং ব্যক্তির মাধ্যমে আমাদের টনসিল ফুলে যায়।
তাহলে যখন আমরা দেখব আমাদের শরীরে তাপমাত্রা রয়ে গেছে, মানে আমাদের জ্বর
এসেছে তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে আমাদের টনসিল ফুলে যাবে। আবার এর সঙ্গে কখনো
দেখা দিতে পারে মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা এবং দুর্বলতা। আবার কিছু ক্ষেত্রে
কানে ব্যথা ছড়িয়ে যায়, কারণ টনসিলের ফোলা ভাব কাছাকাছি না হতে প্রভাব
ফেলে। তাহলে আমরা উপর আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছি যে কি কি লক্ষণ দেখা দিলে
আমরা বুঝবো যে আমাদের টনসিল ফুলেছে বা ফুলতে পারে। তো অবশ্যই এরকম অসুবিধা
হলে সচেতনতা বজায় রাখবে। এখন আসি আমাদের এই পোস্টের প্রধান বিষয়টি।
টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ
আমাদের আজকের এ পোষ্টের প্রধান বিষয়টি হচ্ছে টনসিল ফোলা কমানোর ওষুধ। আমরা
অনেকেই জানিনা যে টনসিল ফুলে গেলে কি কি ওষুধ খেতে হয় বা কি কি ওষুধ খেলে
আমাদের টনসিল ফলা কমবে সে বিষয়ে আমরা এখন জানবো। টনসিল ফোলা কমানোর যায়
দুইভাবে একটি হচ্ছে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আরেকটি হচ্ছে ওষুধের মাধ্যমে। এখন আমরা
জানবো ওষুধের মাধ্যমে কিভাবে টনসিল ফলা কমানো যায়। টনসিল ফোলা কমানোর জন্য
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে। কিন্তু আপনি যদি
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বা দেখা যাচ্ছে ভিজিট ছাড়াই আপনি যদি ওষুধ পেতে
চান তাহলে নিচে কিছু ওষুধের নাম দেওয়া হলো যেগুলো খেলে আপনার টনসিল খুব
তাড়াতাড়ি কমে যাবে।
নিচে আপনাদের জন্য টনসিল ফলা কমানোর কিছু সাধারন ওষুধের তালিকা টেবিল আকারে
সাজিয়ে দিলাম। তবে মনে রাখবেন, এগুলো শুধু তথ্যের জন্য,ওষুধ ব্যবহারের আগে
অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
| ওষুধের ধরন | নাম/উদাহরণ | কার্যকারিতা | মন্তব্য |
|---|---|---|---|
| ব্যথানাশক ও জ্বর কমানো (Pain Reliever & Antipyretic) | প্যারাসিটামল (Paracetamol), আইবুপ্রোফেন (Ibuprofen), ন্যাপ্রোক্সেন (Naproxen) | ব্যথা, জ্বর ও প্রদাহ কমায় | ওভার-দ্য-কাউন্টার পাওয়া যায় |
| অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic) | অ্যামোক্সিসিলিন (Amoxicillin), অ্যাজিথ্রোমাইসিন (Azithromycin), ক্লারিথ্রোমাইসিন (Clarithromycin), সেফিউরোক্সিম (Cefuroxime), সেফিক্সিম (Cefixime) | ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করে | ডাক্তারি প্রেসক্রিপশনে আবশ্যক |
| অ্যান্টিসেপটিক ও গার্গল (Antiseptic & Gargle) | লবণ পানি দিয়ে গার্গল, ক্লোরহেক্সিডিন (Chlorhexidine) মাউথওয়াশ, বেটাডিন গার্গল | জীবাণু নাশ করে ও গলা পরিষ্কার রাখে | বারবার কুলকুচি করলে কার্যকর |
| অ্যান্টিহিস্টামিন (Anti-Allergic Medicine) | সিটিরিজিন (Cetirizine), লোরাটাডিন (Loratadine), ফেক্সোফেনাডিন (Fexofenadine) | অ্যালার্জি ও ফোলা কমায় | অ্যালার্জির কারণে টনসিল হলে কার্যকর |
| স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ (Anti-inflammatory Steroids) | প্রেডনিসোলন (Prednisolone), ডেক্সামেথাসোন (Dexamethasone) | প্রদাহ ও ফোলা দ্রুত কমায় | শুধু গুরুতর অবস্থায় এবং ডাক্তারি পরামর্শে |
| গলার লজেন্স (Lozenges/Throat Drops) | স্ট্রেপসিলস (Strepsils), সেপাকল (Cepacol), ফ্লুরিবিন (Flurbiprofen Lozenges) | গলা ব্যথা ও অস্বস্তি কমায় | তাত্ক্ষণিক আরাম দেয় |
| প্রাকৃতিক ও হার্বাল উপাদান | আদা চা, মধু-লেবু পানি, তুলসি পাতা, হলুদ দুধ | গলা নরম করে ও প্রদাহ কমায় | ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে কার্যকর |
শিশুদের টনসিল ফলা কমানোর নিরাপদ ওষুধ
আমরা এতক্ষন জানলাম যে টনসিল ফোলা কমানোর ওষুধ যেটি আসলে হচ্ছে বড়দের জন্য বা
বড় বয়সী মানুষের জন্য। যেটার এমজি এবং ওষুধের পাওয়ার টি বেশি হয়ে থাকে।
কিন্তু যদি আমরা এখন শিশুদের টনসিল ফলা কমানোর ওষুধের কথা ভাবি তাহলে কিন্তু,
ওদের সেই বড়দের ওষুধটা দেওয়া যাবে না এতে আরো ভয়ঙ্কর কোন রিঅ্যাকশন হতে
পারে। কারণ তারা ছোট তাদের জন্য যত পারা যায় অল্প বা কম এম জি বা পাওয়ারের
ওষুধ দেওয়া যায়। কারণ তাদের শরীরের শক্তি কম থাকে এ সময় যদি তাদের ওপর
অধিক এমজি ও পাওয়ার ওষুধ সেবন করা হয় তাহলে, তারা আরো গুরুতর অসুস্থ হয়ে
যেতে পারে।
এজন্য নিচে শিশুদের টনসিল ফলা কমানোর নিরাপদ কিছু ওষুধ টেবিল আকারে সুবিধার্থে
তৈরি করা হলো। যেগুলো জানার পর আপনারা শিশুদের সঠিক ওষুধ সেবন করাতে পারবেন।
আরেকটি কথা এগুলো ঔষধ শিশুদের ক্ষেত্রে সব প্রয়োজন নাও হতে পারে আবার দেখা
যাচ্ছে কিছু ওষুধ ভুল করে দিয়ে দিতেও পারি। এজন্য অবশ্যই শিশুদেরকে ওষুধ
সেবনের আগে পার্শ্ববর্তী কোন বড় ডাক্তার বা ফার্মেসি ডাক্তার পরামর্শ নেওয়া
সবচেয়ে নিরাপদ হবে বলে মনে করা যায়। কারণ আমরা মানুষ আমাদের দ্বারা ভুল হবে
এটা স্বাভাবিক।
তো নিচে ওষুধের টেবিল তৈরি করে দেওয়া হল।
| ওষুধের ধরন | নাম/উদাহরণ | কার্যকারিতা | মন্তব্য |
|---|---|---|---|
| ব্যথানাশক ও জ্বর কমানো | প্যারাসিটামল সিরাপ (Napa, Ace, Calpol) | ব্যথা ও জ্বর কমায় | বয়স ও ওজন অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করতে হবে |
| আইবুপ্রোফেন সিরাপ (Brufen, Fenal) | ব্যথা ও প্রদাহ কমায় | ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করবেন না | |
| অ্যান্টিবায়োটিক | অ্যামোক্সিসিলিন (Amoxil, Moxacil) | ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করে | ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন আবশ্যক |
| সেফিক্সিম (Cef-3, Orcef) | ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করে | ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন আবশ্যক | |
| অ্যাজিথ্রোমাইসিন (Zithromax, Azicin) | ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করে | ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন আবশ্যক | |
| সেফিউরোক্সিম (Xorim, Cefurox) | ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দূর করে | ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন আবশ্যক | |
| অ্যান্টিহিস্টামিন | সিটিরিজিন (Alergin, Filmet) | অ্যালার্জিজনিত ফোলা ও প্রদাহ কমায় | বয়স অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করতে হবে |
| লোরাটাডিন (Clarityne, Loratin) | অ্যালার্জিজনিত ফোলা ও প্রদাহ কমায় | বয়স অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করতে হবে | |
| ফেক্সোফেনাডিন (Fexo, Telfast) | অ্যালার্জিজনিত ফোলা ও প্রদাহ কমায় | বয়স অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করতে হবে | |
| গার্গল ও অ্যান্টিসেপটিক | পভিডন-আয়োডিন গার্গল (Betadine) | গলা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখে | বড় শিশুদের জন্য উপযুক্ত |
| ক্লোরহেক্সিডিন গার্গল (Hexasol) | গলা পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখে | বড় শিশুদের জন্য উপযুক্ত | |
| গলার লজেন্স ও স্প্রে | স্ট্রেপসিলস, সেপাকল, ফ্লুরিবিন | গলা ব্যথা ও অস্বস্তি কমায় | ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ব্যবহার করবেন না |
| গলা ব্যথা ও অস্বস্তি কমায় | ৫ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ব্যবহার করবেন না | ||
| প্রাকৃতিক উপাদান | মধু ও তুলসী পাতা মিশ্রণ | প্রদাহ কমায় ও গলা আরাম দেয় | ১ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ব্যবহার করবেন না |
| আদা চা, লেবু পানি, হলুদ দুধ | প্রদাহ কমায় ও গলা আরাম দেয় | ১ বছরের নিচে শিশুদের জন্য ব্যবহার করবেন না |
নিচে সতর্কবার্তা দেওয়া হল:
- কোন ওষুধ ব্যবহারের আগে শিশুদের বয়স ওজন অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণ করতে হবে।
- কোন ওষুধের প্রতি এলার্জি থাকলে তা ব্যবহার করা যাবে না।
-
দীর্ঘ মেয়াদী বা গুরুতর উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে
হবে।
টনসিলের ঘরোয়া চিকিৎসা
টনসিল ফলা কমানোর ওষুধ, হচ্ছে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী যেটি আমরা ফার্মেসি
থেকে নিয়ে এসে খায় তাকে টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ বলে থাকি এখন আমরা জানবো
ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে টনসিল চিকিৎসা করা যায়। টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া
উপায় - টনসিল হলো আমাদের শরীরের একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা, যা সংক্রমণ থেকে
কলা ও শ্বাসনালী কে সুরক্ষা দেয়। তবে ভাইরাস ভাবে একটি সংক্রমণের ভুলে
যায়, ফলে গলিতে কষ্ট, গলা ব্যথা ও জ্বরের মত সমস্যা দেখা দেয়। ও হচ্ছে
বোনের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে টনসিলের ব্যথা ও ফলা অনেকটা
কমানো সম্ভব। নিচের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে টনসিল খোলা কমানো যায়।
যেমন:
আরো পড়ুন:টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
- গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা টনসিল ফোলা কমাতে
- প্রতিদিন মধু ও আদা খাওয়া টনসিল প্রদাহ কমানোর উপায়
- গরম ভেষজ চা পান করা টনসিলের ব্যথা উপশম করতে সহায়ক
- লেবু মধুর আর্ট রস খাওয়া টনসিল ফোলা কমাতে
- হলুদ দুধ পান করা রাতে টনসিল ফোলা কমানোর জন্য
- রসুন চিবিয়ে খাওয়া টনসিলের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে
- গরম পানির ভাপ নেওয়া টনসিল ফোলা প্রদাহ কমানোর উপায়
- টনসিল ফোলা কমাতে কুসুম গরম পানি পান
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নেওয়া টনসিল দ্রুত সারাতে সহায়ক
আপনি যদি উপরের এই নিয়মগুলো নিয়মিত মেনে চলতে পারেন, তাহলে আপনার টনসিল
ফলা অনেকটাই কমে আসতে পারে। টনসিল খোলা কমানোর জন্য অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও আজ আমরা এই পোস্টটি মাধ্যমে টনসিল কিভাবে
ফোলা কমা যায় এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানবো, তাই আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ
শেষ পর্যন্ত থাকবে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন
আমরাই জেনে আসলাম যে টনসিল ফোলা কমানোর ওষুধ, কিন্তু এখন সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে কখন আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন এবং ডাক্তারের কাছে
গিয়ে আপনার টনসিল দেখাবেন। উপরে যেগুলো নিয়ম আছে বা ওপরের যে নীতিমালা আছে
আপনি যদি সেগুলো মানার পরও আপনার টনসিল দেখা যাচ্ছে কমছে না বা বাচ্চাদের
টনসিল কমছে না তখন আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। হ্যাঁ কিছু
ক্ষেত্রে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। সেই কারণগুলোর এখন আমি আপনাদের সামনে
তুলে ধরব।
প্রথমত, যদি উচ্চ জ্বর হয় যা কয়েক দিনেও কমছে না, তখন ডাক্তার দেখানো
জরুরি। জ্বরের সঙ্গে যদি মাথাব্যথা, ক্লান্তি বা বমি দেখা দেয়, তবে এটি
সংক্রমণ বা প্রদাহের তীব্রতা নির্দেশ করে।
দ্বিতীয়ত, যদি গলা খুব ব্যথা করে বা খাবার গিলে সমস্যা হয়, বিশেষ করে গলার
ভেতরে সাদা বা হলুদ দাগ দেখা দেয়, এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের লক্ষণ হতে
পারে। এমন ক্ষেত্রে নিজে নিজে অপেক্ষা না করে ডাক্তার দেখানো উচিত।
তৃতীয়ত, যদি শ্বাসকষ্ট, নাক বন্ধ বা ঘন ঘন শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তা
শ্বাসনালীতে সমস্যা বা টনসিলের তীব্র ফোলার ইঙ্গিত। এই ধরনের উপসর্গ এড়িয়ে
গেলে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে।
চতুর্থত, যদি টনসিল ফোলা দীর্ঘদিন ধরে বা বারবার ফিরে আসে, বিশেষ করে মাসের
মধ্যে একাধিকবার সমস্যা হয়, তখন ডাক্তার টেস্ট ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বা চিকিৎসা
দিতে পারেন।
যদি উপরের এই চারটি কারণের ভিতরে কোন একটি কারণ আপনার শরীরের ভিতরে দেখা দেয়
তাহলে অবশ্যই ডাক্তারে কাছে গিয়ে আপনার চিকিৎসা করতে হবে। আপনি যদি উপরের
নিয়ম কানুন মানার পর এগুলো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত
ডাক্তারের কাছে আপনি বা যদি আপনার শিশুর এরকম সমস্যা দেখা দিলে নিয়ে যাবেন।
এখন আসছি টনসিলের সমস্যা একটি ভয়াবহ সমস্যা বলা যায় আবার অনেক সময় একটি
ওরকম ভাবে সমস্যা সৃষ্টি করে না। তো চলুন জেনে আসা যাক যদি টনসিল তার ভয়াবহ
সমস্যা রূপ নেই তাহলে কি করা উচিত, নিচে তার বিষয়ে বিস্তারিত দেওয়া হল।
টনসিল সার্জারি
টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ এই পোস্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে টনসিল
সার্জারি। কারণ যদি আপনি উপরে নিয়ম বা উপায় গুলো কাজে লাগাতে পারেন তাহলে
কমে যাবে। কিন্তু যদি টোনসের ফোলা না কমে তখন আমাদেরকে সার্জারি করতে হয়।
টনসিল সার্জারি এটি সাধারণত করার প্রয়োজন পড়ে না যদি টনসিল বড় কোন সমস্যা
দেখা দেয় তাহলে ডাক্তার সার্জারি করতে বাধ্য হয়।সাধারণত টনসিল সার্জারি
করার আগে ডাক্তার বিস্তারিত পরীক্ষা করেন। রোগীর সাধারণ স্বাস্থ্য, রক্তের
হালকা সমস্যা, এলার্জি এবং অন্যান্য রোগের ইতিহাস বিবেচনা করে সার্জারির
প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
সার্জারির সময় রোগীকে সাধারণত সাধারণ অ্যানাস্থেসিয়া (General Anaesthesia)
দেওয়া হয়, যাতে ব্যথা বা অসুবিধা না হয়। সার্জারির পর কিছু দিন রোগীকে ঘরে
বিশ্রাম নিতে হয়। প্রথম কয়েক দিনে গলা ব্যথা, গিলে কষ্ট, জ্বর বা হালকা
রক্তপাত সাধারণ। এই সময়ে ডাক্তার প্রিসক্রাইব করা ব্যথানাশক ও অ্যান্টিসেপটিক
সলিউশন ব্যবহার করা হয়। তরল বা নরম খাবার খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়, যাতে গলা
দ্রুত আরাম পায়। সার্জারি করার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো রোগীর জীবনযাত্রা ও
স্বাস্থ্যের উন্নতি। যারা বারবার টনসিল সংক্রমণে ভুগছেন, ঘুমের সময় শ্বাস
নিতে কষ্ট পাচ্ছেন বা খাদ্য গ্রহণে সমস্যা হচ্ছে, তাদের জন্য টনসিল অপসারণ
দীর্ঘমেয়াদি স্বস্তি দেয়।
তবে যেকোনো সার্জারির মতো, এখানে কিছু ঝুঁকি থাকে। যেমন অ্যানাস্থেসিয়ার
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, সংক্রমণ, রক্তপাত বা দুর্বলতা। তাই ডাক্তারি পরামর্শ ও
পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষে একটি কথাই বলবো, যে টনসিল সার্জারি
তখনই করানো উচিত যখন চিকিৎসক প্রমাণ করে যে সাধারন ওষুধ বা ঘরোয়া চিকিৎসা
দিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না। সঠিক সময় সার্জারি করলে জীবন মান
উন্নত হয় এবং টনসিল সংক্রান্ত সমস্যা পুনরায়বৃওি রোধ করা যায়। তাহলে
অবশ্যই বুঝতে পারছেন সার্জারি কখন করা উচিত, কেন করা উচিত এবং টনসিল
অপারেশনের সতর্কতা।
টনসিলের জন্য জীবন ধারার পরিবর্তন
টনসিলের সমস্যা শুধুমাত্র ফিজিক্যাল সমস্যা নয়, এটি আমাদের জীবনধারার ওপরও
প্রভাব ফেলে। টনসিল ফোলার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা, গলায় ব্যথা,
সর্দি-কাশি ও দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। তাই জীবনধারার কিছু
পরিবর্তন টনসিল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। প্রথমেই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন
গুরুত্বপূর্ণ। বেশি মশলাযুক্ত, তৈলাক্ত বা অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার এড়ানো
উচিত, কারণ এগুলো টনসিলের প্রদাহ বাড়ায়। ফ্রেশ ফলমূল, সবজি ও হালকা স্যুপ
গ্রহণ করলে গলা নরম থাকে এবং সংক্রমণ কমে। পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন:দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম অ্যাপস ২০২৫
দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি গলায় সর্দি বা জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।
তাছাড়া নিয়মিত ঘুম ও বিশ্রাম টনসিলের পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত
ঘুম শরীরকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং টনসিলের প্রদাহ
কমায়। তাবদিলি বা ব্যস্ত জীবনযাপনে ঘুমের সময় ঠিক রাখা কঠিন হলেও চেষ্টা
করা উচিত। এছাড়া গরম পানিতে গার্গল করা, লবণ পানি দিয়ে গল ধোয়া এবং
ধূমপান, অ্যালকোহল এড়ানো টনসিলের জন্য সহায়ক। ব্যায়াম ও হালকা যোগব্যায়াম
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরকে সুস্থ রাখে। এছাড়া স্ট্রেস কমানোও
জরুরি।
মানসিক চাপ বাড়লে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং টনসিল আরও সহজে সংক্রমিত
হয়। কাজের চাপ বা দৈনন্দিন স্ট্রেস কমাতে ধ্যান, প্রানায়াম বা ছোট ছোট
বিরতি নেওয়া ভালো। শেষমেষ, টনসিলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জীবনধারার
পরিবর্তন অবলম্বন করা খুবই কার্যকর। সঠিক খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি, নিয়মিত ঘুম,
স্ট্রেস কমানো ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস টনসিলের পুনরাবৃত্তি কমায় এবং দৈনন্দিন
জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখে। এগুলো শুধু চিকিৎসার বিকল্প নয়, বরং টনসিল
প্রতিরোধ ও সুস্থ থাকার জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হিসেবে বিবেচিত হয়।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা গঠন করলে টনসিল সমস্যার প্রকোপ অনেকাংশে কমানো সম্ভব।
প্রায় জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
টনসিল খোলা সম্পর্কে প্রায় জিজ্ঞাসকৃত কিছু সাধারণ প্রশ্ন। নিজেই সাধারন
প্রশ্ন করি দেওয়া হলো:
- টনসিল ফোলা সাধারণ কি?
হ্যাঁ, টনসিল ফোলা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে হয়। হালকা
উপসর্গ থাকলে এটি সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়। তবে
ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে চিকিৎসা প্রয়োজন।
- টনসিল ফোলা হলে কি ওষুধ ব্যবহার করা উচিত?
সাধারণ ব্যথা ও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন ব্যবহার করা
যায়। ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে ডাক্তার প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক
দেওয়া হয়। বড় বা বারবার ফোলা হলে ডাক্তার পরামর্শে লজেন্স, অ্যান্টিসেপটিক
গার্গল বা অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবহার করা হয়।
- শিশুদের জন্য টনসিল ফোলা কমানোর ওষুধ কি নিরাপদ?
শিশুদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল নিরাপদ। আইবুপ্রোফেন ও অ্যান্টিহিস্টামিন
ডাক্তার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার
সবসময় ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী হবে।
- কখন ডাক্তার দেখানো উচিত?
উচ্চ জ্বর, তীব্র গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বারবার সংক্রমণ বা দীর্ঘমেয়াদি ফোলা
দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত। এছাড়া খাদ্য গ্রহণে সমস্যা বা
জীবনযাত্রা প্রভাবিত হলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
- টনসিল সার্জারি কখন প্রয়োজন হয়?
যখন ওষুধ বা ঘরোয়া যত্ন দ্বারা সমস্যা সমাধান সম্ভব হয় না, বারবার সংক্রমণ
হয়, শ্বাসকষ্ট বা খাদ্য গ্রহণে সমস্যা দেখা দেয়, তখন ডাক্তার টনসিল অপসারণ
(Tonsillectomy) পরামর্শ দেন।
- টনসিল ফোলা প্রতিরোধ করা সম্ভব কি?
হ্যাঁ, নিয়মিত হাত ধোয়া, স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি এবং
ঘুম-শ্রেণীর যত্নে টনসিল সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া ধূমপান বা
ধোঁয়াপূর্ণ পরিবেশ এড়ানোও সহায়ক।
শেষ কথা:টনসিল ফোলা কমানোর ঔষধ খাওয়া-আমার মতামত
টনসিল ফোলা হলে ঔষধ গ্রহণ অনেক ক্ষেত্রে আরাম দেয় এবং দ্রুত স্বস্তি এনে
দেয়। ব্যথা কমানো, জ্বর কমানো বা প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্যারাসিটামল,
আইবুপ্রোফেন, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিহিস্টামিনগুলো কার্যকর। তবে আমার
মতামত হলো, ঔষধ নেওয়ার আগে সবসময় ডাক্তার বা ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নেওয়া
উচিত। কারণ সঠিক ডোজ, ব্যবহারের সময়কাল এবং বয়সভিত্তিক সতর্কতা মেনে চললে
ঔষধের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা পাওয়া যায় এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কমে।
সাথে ঘরোয়া যত্ন যেমন গরম পানির ভাপ, লবণ পানি দিয়ে গার্গল, নরম খাবার
খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি পান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু ঔষধেই নির্ভর না
হয়ে এসব যত্ন অবলম্বন করলে টনসিল দ্রুত আরাম পায়। তাই আমার পরামর্শ হলো—ঔষধ
সঠিকভাবে ব্যবহার করুন, ঘরোয়া যত্ন সঙ্গে রাখুন, এবং গুরুতর বা দীর্ঘমেয়াদি
উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখান। এই পদ্ধতিতে টনসিল ফোলা দ্রুত
কমে এবং পুনরাবৃত্তি এড়ানো যায়।



লাইফ ব্লেন্ড আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url