টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আপনার কি টনসিল আছে, আপনি কি টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে জানতে চান?
তাহলে আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকে আমরা জানবো কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে টনসিল
ফোলা কমানো যায় এবং থাকছে আরো বিভিন্ন ধরনের টিপস যা এখনো খোলা টনসিল কমাতে
সাহায্য করবে।
এ পোষ্টের মাধ্যমে আমরা বিস্তারিত জানবো যে ফ্রান্সের ফোড়া কামনা ঘরোয়া
পদ্ধতি কি কি। তো চলুন আজকের বিষয়টি শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্র:টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়নিয়ে বিস্তারিত সবকিছু
টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়
টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় - টনসিল হলো আমাদের শরীরের একটি প্রতিরোধ
ব্যবস্থা, যা সংক্রমণ থেকে কলা ও শ্বাসনালী কে সুরক্ষা দেয়। তবে ভাইরাস ভাবে
একটি সংক্রমণের ভুলে যায়, ফলে গলিতে কষ্ট, গলা ব্যথা ও জ্বরের মত সমস্যা
দেখা দেয়। ও হচ্ছে বোনের পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায় মেনে চললে টনসিলের
ব্যথা ও ফলা অনেকটা কমানো সম্ভব। নিচের কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে টনসিল
খোলা কমানো যায়। যেমন:
- গরম লবণ পানি দিয়ে গার্গল করা টনসিল ফোলা কমাতে
- প্রতিদিন মধু ও আদা খাওয়া টনসিল প্রদাহ কমানোর উপায়
- গরম ভেষজ চা পান করা টনসিলের ব্যথা উপশম করতে সহায়ক
- লেবু মধুর আর্ট রস খাওয়া টনসিল ফোলা কমাতে
- হলুদ দুধ পান করা রাতে টনসিল ফোলা কমানোর জন্য
- রসুন চিবিয়ে খাওয়া টনসিলের ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে
- গরম পানির ভাপ নেওয়া টনসিল ফোলা প্রদাহ কমানোর উপায়
- টনসিল ফোলা কমাতে কুসুম গরম পানি পান
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নেওয়া টনসিল দ্রুত সারাতে সহায়ক
টনসিল কি এবং এর কাজ
টনসিল ফোলার সাধারণ কারণ
টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায় এটা জানার আগে আমাদের কে আগে জানতে হবে,
টনসিল খোলার সাধারণ কারণ। টনসিল হলো আমাদের শরীরের একটি প্রতিরোধ ব্যবস্থা,
যা সংক্রমণ থেকে গলা ও শ্বাসনালীকে সুরক্ষা রাখে। তবে ভাইরাস ভাবে সংক্রমণের
টনসিল ফুলে যায়। সাধারণত কিছু কারণ গুলো টনসিল করার জন্য দায়ী হয়ে থাকে,
যেমন:
- ভাইরাস সংক্রমণ-ঠান্ডা লাগা, ফ্লু সাধারণ সর্দি কাশি ভাইরাস কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ-বিশেষ করে স্ট্রেপটোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গলার সংক্রমণ হলে টনসিল ফুলে যায় এবং ব্যথা বাড়ে।
-
অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার বা পানীয়-খুব ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম বা ফ্রিজের
খাবার অতিরিক্ত খেলে টনসিল দ্রুত প্রদাহ প্রস্থ হতে পারে।
-
অপরিষ্কার খাদ্যভাস-রাস্তার ধুলো ময়লা খাবার বা অপরিষ্কার পানিয় গ্রহণ
করলে আক্রমণ করে এবং যার মাধ্যমে টনসিল দ্রুত ফুলে যায়।
-
এলার্জি-ধুলো, ধোঁয়া বা বিশেষ কোন খাবারে রাজি থাকলেও টনসিল খোলা দেখা
দিতে পারে।
-
দুর্বল রোগ প্রতিরো ধক্ষমতা-ছোট শিশু বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম,
তাদের ক্ষেত্রে টনসিল সংক্রমণে ঝুঁকি বেশি। এজন্য তাদেরকে খুব সাবধানে
এবং যত্নে রাখতে হবে, যেন টনসিলের আক্রমণ না হয়।
-
পরিবেশগত প্রভাব -ধুলোবালি, ধোয়া, অতিরিক্ত ঠান্ডা বা দূষিত পরিবেশ
অন্যতম কারণ হয়ে থাকে।
টনসিল ফোলার প্রধান লক্ষণসমূহ
টনসিল ফোলা হলে সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল গলায় তীব্র ব্যথা। পানি পান করতে
কষ্ট বোধ করে, এমনকি মাঝে মাঝে ব্যথা কানে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। যায় এবং
সংক্রমণ বেশি হলে টনসিলের ওপর সাদা বা হলুদ দাগ জমে থাকতে দেখা যায়। কনসিল
ফোলার সময় প্রায় জ্বর, ঠান্ডা লাগা ও কাশি দেখা দেয়।
শরীর দুর্বল অনুভব করে এবংমাথা ব্যথা করে ইত্যাদি। অনেক সময় শ্বাস নিতেও
সমস্যা দেখা দেয়, কারণ টনসিল বড় হয়ে গেলে গলার ভিতরে জায়গা ছোট করে ফেলে।
শিশুদের ক্ষেত্রে টনসিল করার কারণ আরো স্পষ্ট হয়, যেমন:তারা খাবার খেতে চায়
না, লালা ঝরতে থাকে, রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং বিরক্ত প্রকাশ করে। ছোটদের
ক্ষেত্রে উচ্চজর দেখা দেয়, সাথে খিচুনি পর্যন্ত দেখা যেতে পারে।
মুখ থেকে দুর্গন্ধ আসা একটি সাধারণ জিনিস। কারণ টনসিল ফলার কারণে
ব্যাকটেরিয়ার জমে দুর্গন্ধ তৈরি করে। এছাড়াও গলার গ্রন্থি ফুলে ওঠে, যা
বাইরে থেকে স্পর্শ করলে সহজেই বুঝা যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ গুলো,
হলো:
- গলা শুকিয়ে যাওয়া
- কথা বলতে কষ্ট হওয়া
- এমনকি গলায় অস্বস্তির কারণে শ্বাসকষ্ট হয় পর্যন্ত হতে পারে
টনসিল ফোলার ঝুঁকি ও জটিলতা
টনসিল ফোলা কমানোর ঘরোয়া উপায়-টনসিল ফোলা সাধারণত কয়েকদিনে মধ্যে সেরে
যেতে পারে, তবে সঠিক চিকিৎসা না নিলে একটি গুরুতর সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
দীর্ঘদিন টনসিলের সংক্রমণ থাকলে গলা ও শ্বাসনালীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাই,
যাতে করে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এতে খাবার গেলে কষ্ট হয়,
শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং ঘুমের সময় নাক ঢাকা সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।
সবচেয়ে বড় জকির মধ্যে একটি হলো বারবার টনসিলের সংক্রমণ হলে যাকে, chronic
tonsillitis বলা হয়। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায় এবং রোগী
প্রায় অসুস্থ দেখা দেয়। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে কানের ইনফেকশন, সাইনাস
ইনফেকশন এবং গলায় ফোড়া পর্যন্ত দেখা যেতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী টনসিল অনেক সময় রিউমাটিক ফিভার বা কিডনি জটিলতা সৃষ্টি করতে
পারে, কারণ টন্সিলে থাকা ব্যাকটেরিয়া রক্তে ছড়িয়ে পড়ে এবং শরীরের অনেক
অংককে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তার টনসিল ফোলা যদি বারবার হয়, বেশি ব্যথা ও জ্বর
দেখা দেয় বা শ্বাসকষ্ট ও গলায় গুরুত্ব সমস্যা দেখা দেয়-তাহলে অবশ্যই
অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নি এবং যত পারেন গলা কে ঠান্ডা থেকে
দূরে রাখতে হবে।
টনসিল ফোলার চিকিৎসার প্রচলিত উপায়
টনসিল খোলা দেখা দিলে চিকিৎসা মূলত টনসিল ফলার সংক্রমণের ধরন ও তীব্রতার ওপর
নির্ভর করে। যদি ভাইরাসনিত সংক্রমণ হয় তবে সাধারণত এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন
হয় না। এক্ষেত্রে রোগীকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পরিমাণে কুসুম গরম পানি
পান করতে হবে এবং গরম লবণ দিয়ে পানি গার্গল করতে হয়। ব্যথা কমানোর জন্য
প্রয়োজনীয় ব্যথা কমানোর ওষুধ দেওয়া যেতে পারে।
যদি ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ হয় তাহলে ডাক্তার এন্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব
করেন। অবশ্যই ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পূর্ণ খেতে হয়, না হলে
সংক্রমণ আবার ফিরে আসতে পারে। প্রচলিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে অনেক সময় কলার
স্প্রে, লজেন্স এবং ভেষজ গার্গল ব্যবহার করা হয়, যা গলা কে ঠান্ডা রাখে এবং
ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। গুরুতর ফোলা বা শ্বাসকষ্ট হলে ডাক্তার
কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন প্রদাহ কমানোর জন্য, কিন্তু অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এ ওষুধটিকে ব্যবহার করতে হবে।
যাদের বারবার টনসিল খোলা হয় বা সংক্রমণ দীর্ঘদিন হয়, তাদের ক্ষেত্রে
ডাক্তার টনসিল সার্জারি করার পরামর্শ দেন। এতে করে টনসিল একেবারে অপসারণ হয়ে
যায়। এটি সাধারণত তখনই করা হয় যখন বছরের একাধিকবার টনসের সংক্রমণ হয় বা
শ্বাসনালীতে ব্যথা সৃষ্টি করে।
টনসিল প্রতিরোধে করণীয় ও জীবনধারা
টনসিল ফোলা প্রতিরোধে দৈনন্দিন জীবনে কিছু সহজ অভ্যাস চলতে হবে যা অন্তত্য
গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বজায় রাখতে হবে। সবার আগে এবং
বাইরে থেকে এসে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে, কারণ নোংরা হাতের মাধ্যমে জীবাণু
গলায় প্রবেশ করতে পারে। ঠান্ডাপানি দূষিত পানি পান করা থেকে এড়িয়ে চলতে
হবে কারণ ঠান্ডা পানির মাধ্যমে টনসিল অধিক ভোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই ঠান্ডা পানি এবং দূষিত পানি থেকে এড়িয়ে চলা অন্তত্য গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখার জন্য নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার,
যেমন: শাকসবজি, ফলমূল, ডাল ও প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরী। গরম ও
ভাজাপোড়া খাবার কমিয়ে কুসুম গরম পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে
হবে।
যারা ঠান্ডা লাগার প্রবণতায় ভোগেন তারা আইসক্রিম, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা
অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি থেকে দূরে থাকতে হবে বা এগুলো পান করা যাবে
না।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—টনসিল ফোলা বা গলাব্যথার লক্ষণ দেখা
দিলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ
নেওয়া। সময়মতো যত্ন নিলে টনসিল ফোলার ঝুঁকি অনেকটাই প্রতিরোধ করা
সম্ভব।
শিশুদের টনসিল সমস্যা ও যত্ন
শিশুদের ফলা একটি খুব সাধারণ সমস্যা, কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
শক্তিশালী হয় না। ঠান্ডা কাশি, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এমনকি ধুলাবালি ও
ঠান্ডা খাবারের কারণে শিশুদের টনসিল প্রায় বেড়ে থাকে। টনসিল ফুলে গেলে
তারা গলা ব্যথা, জ্বর, আবার কিনতে কষ্ট, মুখ থেকে দুর্গন্ধ, অতিরিক্ত
লালা ঝরা এবং রাতে নাক ডাকার মত সমস্যায় তারা ভোগ।কখনো কখনো টনসিল বড়
হয়ে গেলে শিশুরা শ্বাসকষ্ট হতে পারে যা বেশ বিপদজনক পরিস্থিতি।
শিশুদের সমস্যার যত্ন নেওয়ার জন্য প্রথমে তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
রাখার চেষ্টা করতে হবে। বাইরে থেকে এসে অবশ্যই হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে
হবে। শিশুদের আইসক্রিম, ফ্রিজে ঠান্ডা পানি বা অতিরিক্ত ঠান্ডা খাবার না
দেওয়া উচিত, কারণ এতে করে সংক্রমণ আরো বেড়ে যায়। তাদের বেশি পরিমাণ
পুষ্টিকর খাবার, গরম পানি পান করতে হবে এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল,
শাক-সবজি দুধ খাওয়ার খাওয়াতে হবে যাতে তাদের প্রতিরোধ করার ক্ষমতা
বৃদ্ধি পায়।
টনসিলায় ব্যথা বা জ্বর দেখা দিলে শিশুকে যথেষ্ট বিশ্রাম দিতে হবে এবং
প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে। বয়সে একটু বড়
শিশু হলে গরম লবণ পানি দিয়ে হালকা গার্গল করাতে হবে কারণ এতে করে
টনসিলের ব্যথাটি কমে যায়। তবে শ্বাসকষ্ট, উচ্চ জ্বর বারবার টনসিল
সংক্রমণ হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজন পড়লে
ডাক্তার কাউন্সিল অপারেশন পরামর্শ দিতে পারেন। সুদের ক্ষেত্রে সঠিক যত্ন,
পুষ্টি খাদ্য ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা খুবই প্রয়োজন, কারণ এতে করে
তাদের সমস্যা থেকে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ থাকতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী টনসিলে ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজনীয়তা
দীর্ঘ মিয়াদি টনসিল সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে
দেখা দেয়। কয়েকদিনের মধ্যে ঘরোয়া যত্ন ও সাধারণ চিকিৎসার ছেড়ে ওঠে,
কিন্তু যখন টনসিলের প্রভাব বারবার হয় বা দীর্ঘদিন থাকে তখন সেটিকে
দীর্ঘস্থায়ী তনশীল বলা হয়। এ অবস্থায় শুধু ঘুমানোর উপায় বা সাধারণ
ওষুধের সমস্যা পুরোপুরি সমাধান করা যায় না বরং বড় জটিলতার ঝুঁকি তৈরি
হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘস্থায়ী টনসিলের গলাব্যথা, গিলতে কষ্ট,
জ্বর, থেকে দুর্গন্ধ, বার বার কাশি এমনকি রাতে শ্বাসকষ্ট ও নাক ডাকার
মত সমস্যা দেখা দেয়।
এছাড়াও দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে
যায়। ব্যাকটেরিয়া রক্তের ছড়িয়ে পড়ে কানের সংক্রমণ, সাইনাস
ইনফেকশন, গলার ফোড়া এমনকি রিউমাটিক ফিভার ও কিডনির জটিলতা পর্যন্ত
ঘটতে পারে। এইসব জটিলতা থেকে বাঁচার জন্য অবশ্যই সময় মত ডাক্তারের
পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক প্রয়োজনে রক্ত পরীক্ষা, গড়ার সোয়াব
test বা অন্যান্য পরীক্ষা সংক্রমনের ধরন নির্ণয় করেন। এতে করে সঠিক
ওষুধ এবং সঠিক সেবা পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে টনসিল সংক্রমণ হলে ভাষা
আসনালীর গড়ে তোলার সমস্যা তৈরি করলে ডাক্তার অপারেশন করার পরামর্শ
দেন।
এতে করে টনসিলের সমস্যা থেকে বাঁচা যায়। তাই টনসিল যদিও ঘন ঘন ফুলে
যায়, দীর্ঘদিন ব্যথা ও জ্বর থাকে বা শ্বাসকষ্টের মতো জটিল সমস্যা তৈরি
হয় তবে দেরি না করে অবশ্যই ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা
করানো উচিত। সময় মত চিকিৎসা না পেলে এই জটিলতা বা এই সমস্যা এড়ানো
সম্ভব না। তাই আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে এবং সমস্যার সমাধানের
জন্য সময়মতো চেষ্টা করতে হবে না হলে পরবর্তীতে এই সমস্যা বড় জটিলতা
ডেকে আনতে পারে।
শেষ কথা:আমার মতামত
টনসিল ফলা একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটিকে অবহেলা করা যাবে না, কারণ
অবহেলা করলে তা গুরুতর জটিলতার রূপ নিতে পারে। আমার মতে, সবার উচিত
টনসিলের প্রাথমিক লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে তা
কমানোর চেষ্টা করতে হবে। এই জন্য কুসুম গরম পানি পান, দিয়ে গার্গল
করা, মধু ও লেবুর রস খাওয়ার মত উপায় গুলো মেনে চলা উচিত। তবে
দীর্ঘস্থায় সংক্রমণ বা বাবা টনসিল ফোলা হলে অবশ্যই বিশ্বস্ত
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। প্রয়োজনের সঠিক চিকিৎসা বা অপারেশন
মাধ্যমে সম্ভব।
সময় মত যত্ন, স্বাস্থ্যকর খাবার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন
টনসিলের সমস্যা প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। আজকের বিষয়গুলো
যদি আমরা সঠিকভাবে মেনে চলতে পারি তাহলে টনসিল ফলা কমানো অনেকটাই
সম্ভব। তাই সবার জন্য একটি পরামর্শ উপরের নিয়ম কানুন যদি সঠিকভাবে
মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনি টনসিল ফলা সমস্যা হাত থেকে দূরে থাকতে
পারবে। তাই উপরের নিয়ম গুলো মানার জন্য আপনার সবাইকে শুভেচ্ছা
জানাচ্ছি। ভালো থাকুন আপনি, ভালো রাখুন আপনার পরিবেশকে।



লাইফ ব্লেন্ড আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url