বাংলাদেশ থেকে কম খরচে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে ইউরোপে যেতে চাইলে কিছু দেশ তুলনামূলকভাবে বাজেট-বন্ধব। বিশেষ করে Romania, Bulgaria এবং Hungary ভ্রমণকারীদের জন্য বেশ সুবিধাজনক হিসেবে পরিচিত। ফ্লাইট ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম, থাকার ব্যবস্থা সাশ্রয়ী এবং দৈনন্দিন খাবারের খরচও অনেক নিয়ন্ত্রিত থাকে। ফলে প্রথমবার ইউরোপ ভ্রমণ করতে চান বা কম খরচে সুন্দর কিছু দেশ এক্সপ্লোর করতে চান, তাদের জন্য এগুলো ভালো নির্বাচন হতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা করলে মোট ভ্রমণ ব্যয় সহজেই বাজেটের মধ্যে রাখা যায়।
বাংলাদেশ-থেকে-কম-খরচে-ইউরোপের-কোন-কোন-দেশে-যাওয়া-যায়
পোস্টটি শুরু করার আগে আপনাদের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, অবশ্যই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে জানবেন এবং তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করবেন। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে আপনারা এ পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ সব কথাগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং তা প্রয়োগ করতে কোন অসুবিধা হবে না বা প্রয়োগের পরও কোন অসুবিধা হবে না। আপনাদের সুবিধার্থে পোষ্টের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো পেজ সূচিপত্র আকারে তুলে ধরা হলো।

পেজ সূচিপত্র:বাংলাদেশ থেকে কম খরচে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণের কথা ভাবলে অনেকেই ধরে নেন খরচ খুব বেশি হবে, কিন্তু আসলে কিছু দেশ আছে যেখানে খুব স্বাভাবিক বাজেটেই ঘুরে আসা যায়। এর মধ্যে Romania ভ্রমণকারীদের জন্য ভালো একটি শুরু হতে পারে, কারণ এখানে থাকার জায়গা, শহর ঘোরা আর খাবারের দাম একেবারেই হাতের নাগালে থাকে।
একইভাবে Bulgaria তুলনামূলক কম ব্যয়ে সুন্দর সমুদ্রতট, পুরোনো শহর আর নানা ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে দেখার সুযোগ দেয়। যারা একটু সাংস্কৃতিক পরিবেশের মধ্যে ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্য Hungary আরেকটি চমৎকার বিকল্প। দেশটির রাজধানী বুদাপেস্টে থাকার খরচ এবং পরিবহন বেশ সাশ্রয়ী, তাই প্রথমবার ইউরোপ ভ্রমণ করলেও বাজেটের মধ্যে থাকে।

পাশাপাশি Poland খরচ কম রাখার ক্ষেত্রে বেশ সুবিধা দেয়, কারণ এখানে খাবারের দাম এবং শহরের ভেতরের পরিবহন খরচ খুব বেশি নয়। সব মিলিয়ে যারা বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে যেতে চান কিন্তু খরচ নিয়ে চিন্তায় আছেন, তাদের জন্য এসব দেশ একটি সহজ দরজার মতো কাজ করে। সঠিক সময়ে টিকিট বুক করা, থাকার জন্য হোস্টেল বা সাশ্রয়ী অ্যাপার্টমেন্ট বেছে নেওয়া আর ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকে করে রাখলে পুরো যাত্রাই স্বাভাবিক বাজেটের মধ্যে রাখা যায়।

ইউরোপ ভ্রমণের জন্য বাজেট পরিকল্পনা কিভাবে তৈরি করবেন

ইউরোপ ভ্রমণের জন্য বাজেট ঠিক করতে হলে শুরুতে নিজের লক্ষ্য পরিষ্কার করা দরকার। কোথায় যেতে চান, কয়দিন থাকবেন, কী কী দেখবেন এসব আগে ঠিক থাকলে হিসাব করা অনেক সহজ হয়। অনেকেই প্রথমে টিকিট দেখে হতাশ হয়ে যায়, কিন্তু একটু খোঁজ নিলে দেখা যায় অফার বা কম ভাড়ার সময় পাওয়া যায়। তাই কয়েকদিন নজর রাখতে পারলে ভালো দাম পাওয়ার সুযোগ থাকে।

থাকার জন্য আগেই হোটেল বা হোস্টেল ঠিক করে রাখলে খরচ কমে যায়, কারণ আগে বুকিং দিলে রেট সাধারণত কম থাকে। খাবারের ক্ষেত্রেও অনেকেই বেশি খরচ করে ফেলে, কিন্তু প্রতিটি শহরে লোকাল রেস্টুরেন্ট আর সহজ খাবারের দোকানে দাম তুলনামূলক কম। শহরের ভেতরে ঘোরার সময় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বেশ সুবিধাজনক, আর এতে খরচও কম হয়।

অনেক শহরে দিনের জন্য বা সপ্তাহের জন্য পাস থাকে, যা নিলে বারবার টিকেট কাটার দরকার হয় না। ভ্রমণের আগে কোন কোন স্থানে ঢুকতে টিকিট লাগে এবং তা কত, এগুলো জেনে রাখলে মোট খরচ ধরতে সুবিধা হয়। কেনাকাটা বা অতিরিক্ত খরচ যেন বাজেটের বাইরে না যায়, সেজন্য প্রতিদিনের জন্য আলাদা অঙ্ক ঠিক করে রাখলে ভালো কাজ দেয়।

পুরো পরিকল্পনার সময় যতটা সম্ভব তুলনা করে সিদ্ধান্ত নিলে খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ইউরোপ ভ্রমণের স্বপ্ন পূরণ করতে বড় বাজেট লাগবে এমন ধারণা সবসময় ঠিক নয়। সঠিক পরিকল্পনা করলে ভ্রমণ আনন্দদায়ক আর সহজ থাকে, আর প্রয়োজনের বাইরে ব্যয়ও হয় না।

সস্তায় ফ্লাইট পাওয়ার কৌশল: কোন সময় টিকিট বুকিং সুবিধাজনক

সস্তায় ফ্লাইট পাওয়ার জন্য সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার হলো সময় ঠিক রাখা। অনেকেই শেষ মুহূর্তে টিকিট খোঁজেন, আর তাই দাম বেশি পড়ে যায়। যদি কয়েক সপ্তাহ বা এক মাস আগে থেকে নজর রাখা যায়, তাহলে ভালো রেট পাওয়ার সুযোগ বাড়ে। সাধারণত সপ্তাহের মাঝামাঝি দিনে ভাড়া তুলনামূলক কম থাকে, কারণ তখন যাত্রী সংখ্যা একটু কম থাকে।

অনেক সময় রাতে বা ভোরে টিকিট চেক করলে ভালো দামে পাওয়া যায়, কারণ তখন বুকিং কম থাকে। ভ্রমণের তারিখ যদি খুব ফিক্সড না থাকে, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যে তুলনা করে দেখা ভালো। এতে কোন দিনটা সস্তা হবে সেটা সহজেই বোঝা যায়। অনেক শহরে মৌসুম বদলের সময় ভাড়া কম থাকে, তাই ভ্রমণ মৌসুম এড়িয়ে গেলে বাজেট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বিভিন্ন এয়ারলাইনের ওয়েবসাইট বা অ্যাপ চেক করলে কিছু সময়ে বিশেষ অফার পাওয়া যায়, যা সাধারণ সময়ের চেয়ে অনেক কম দামে টিকিট দেয়। অনেকেই নোটিফিকেশন চালু রাখেন যাতে দাম কমলে সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারেন। এক পথে না ভেবে ভিন্ন রুট বা স্টপওভার বিবেচনা করলে কখনো কখনো খরচ আরও কমে যায়। এতে সময় একটু বেশি লাগলেও টিকিটের দাম সাশ্রয়ী হয়।

টিকিট বুক করার আগে লাগেজ রুল দেখে নেওয়া দরকার, কারণ অনেক সময় কম দামে টিকিট দিলেও ব্যাগেজের জন্য বাড়তি টাকা নেয়। আগেই এসব দেখে নিলে শেষে অতিরিক্ত খরচ পড়ে না। সস্তা টিকিট পেতে ধৈর্য আর নিয়মিত খোঁজ রাখা খুব কাজে দেয়। একটু সময় দিলে এবং সঠিক মুহূর্তে বুকিং করলে অনেক কম খরচে ভ্রমণ করা সম্ভব।

ইউরোপে বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য জনপ্রিয় দেশগুলোর তালিকা

ইউরোপে ঘুরতে যেতে চাইলে অনেকের মাথায় প্রথমে আসে খরচের কথা। কিন্তু বাস্তবে এমন কয়েকটি দেশ আছে যেখানে খুব সাধারণ বাজেটেও সুন্দরভাবে ভ্রমণ করা যায়। এদের মধ্যে Romania অনেকের পছন্দ, কারণ এখানে থাকার জায়গা এবং শহর ঘোরা দুটোই বেশ সস্তা। রাজধানী বুকারেস্টে হাঁটতে হাঁটতেই নানা ঐতিহাসিক স্থান দেখা যায়, আর খাবারের দামও খুব বেশি নয়।
বাংলাদেশ-থেকে-কম-খরচে-ইউরোপের-কোন-কোন-দেশে-যাওয়া-যায়
আরেকটি জনপ্রিয় গন্তব্য Bulgaria। যারা সমুদ্রপাড়ে কিছু সময় কাটাতে চান বা পুরোনো শহরের পরিবেশ পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি ভালো বিকল্প। এখানকার পরিবহন, হোটেল আর খাবারের খরচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত, তাই বাজেট ভ্রমণকারীরা সহজেই উপভোগ করতে পারেন। যারা একটু ভিন্ন স্বাদের শহর দেখতে চান, তারা Hungary বেছে নিতে পারেন।

বুদাপেস্টে আধুনিক আর পুরোনো-দুই ধরনের পরিবেশই দেখা যায়, আর এখানকার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুব আরামদায়ক এবং সাশ্রয়ী। বাজেটের দিক থেকে Polandও পিছিয়ে নেই। ওয়ারশ বা ক্রাকোতে থাকার জায়গা, খাবার আর ভ্রমণস্থলের খরচ অনেকটা সহজে সামলানো যায়। যারা শহর ঘোরা, মিউজিয়াম দেখা বা ছোটখাটো কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য এটি বেশ উপযোগী।

এছাড়া কিছু ভ্রমণকারী Portugal বেছে নেন, কারণ তুলনামূলকভাবে এখানে ব্যয় মাঝারি এবং আবহাওয়া বেশ আরামদায়ক। লিসবন বা পোর্তো ঘোরার জন্য বেশি খরচ লাগে না, আর খাবারের দামও বেশ যুক্তিসংগত। মোট কথা, ইউরোপ মানেই বেশি খরচ-এই ধারণা সব সময় ঠিক নয়। সঠিক দেশ বেছে নিলে খুব সাধারণ বাজেটেও সুন্দর অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়, আর প্রতিটি দেশ ঘুরে দেখার মতো একেকটি নতুন রকম স্বাদ দেয়।

রোমানিয়া: বাংলাদেশিদের জন্য তুলনামূলক কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণ

বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ভ্রমণ করতে চাইলে অনেকে শুরুতে খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা করেন। কিন্তু কিছু দেশ আছে যেখানে সহজ বাজেটেও ভালোভাবে ঘোরা যায়, আর তার মধ্যে অন্যতম হলো Romania। এই দেশটি অনেক ভ্রমণকারীর কাছে এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, কারণ এখানে পৌঁছানো থেকে শুরু করে থাকা, খাওয়া, শহর ঘোরা-সবকিছুই তুলনামূলকভাবে সস্তা।

যারা প্রথমবার ইউরোপ যেতে চান কিন্তু বড় খরচ করতে চান না, তাদের জন্য এটি বেশ স্বস্তিদায়ক গন্তব্য। রোমানিয়ার রাজধানী বুকারেস্ট এমন একটি শহর যেখানে পুরোনো আর আধুনিক পরিবেশ দুটোই একসাথে দেখা যায়। শহরের রাস্তায় হাঁটলেই নানা স্থাপত্য, পার্ক আর ঐতিহাসিক জায়গা চোখে পড়ে। এগুলোর অনেকটাই ঘুরে দেখা যায় কোনো প্রবেশমূল্য ছাড়াই।
শহরের ভেতরে পরিবহন খরচও খুব কম, তাই ট্রাম, বাস বা মেট্রো ধরে কোথাও যেতে চাইলে বাজেটের বাইরে ঠেলে দেয় না। যারা খাবারের দিক নিয়ে চিন্তায় থাকেন, তারা এখানকার রেস্টুরেন্ট বা লোকাল খাবারের দোকানে খুব স্বাভাবিক দামে খেতে পারেন। দেশটির খাবার নানা স্বাদের, আর দামও হাতের নাগালে। বুকারেস্ট ছাড়াও ব্রাসভ, ক্লুজ-নাপোকা বা সিবিউয়ের মতো শহরগুলো ঘোরার মতো। 

এগুলোতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর ঐতিহাসিক আকর্ষণ দুটোই আছে। পাহাড়ি এলাকা দেখতে চান বা শান্ত পরিবেশে কিছু সময় কাটাতে চান-সব কিছুর জন্য রোমানিয়া উপযোগী। থাকার ব্যবস্থা নিয়েও দুশ্চিন্তা নেই, কারণ হোস্টেল থেকে শুরু করে বাজেট হোটেল-সবই যুক্তিসংগত দামে পাওয়া যায়। ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় কেউ চাইলে অফ-সিজনে যেতে পারে, কারণ তখন টিকিট এবং হোটেলের দাম আরও কম থাকে।

পুরো ভ্রমণটাকে সাশ্রয়ী রাখতে আগেই রুট ঠিক করে নেওয়া, পরিবহন পাস দেখা আর দাম তুলনা করা কাজে দেয়। মোটের ওপর, যারা ইউরোপের স্বাদ পেতে চান কিন্তু খরচ সীমিত রাখতে চান, তাদের জন্য রোমানিয়া একটি সহজ ও আরামদায়ক বিকল্প হতে পারে।

বুলগেরিয়া: বাজেট ট্যুরিস্টদের জন্য সুবিধা ও খরচ বিশ্লেষণ

বুলগেরিয়া ভ্রমণ করতে চাইলে অনেকেই প্রথমে ভাবেন খরচ বেশি হবে, কিন্তু বাস্তবে এটি বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য খুবই সুবিধাজনক। বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণকারীরা সহজে এখানে পৌঁছাতে পারেন, আর ফ্লাইট খরচও তুলনামূলক কম থাকে। বড় শহর যেমন সোফিয়া বা প্লোভদিভে থাকার ব্যবস্থা সহজ, হোস্টেল থেকে শুরু করে সাশ্রয়ী হোটেল পর্যন্ত সব ধরনের অপশন আছে।

যারা শহরের ভেতরে ঘুরতে চান, তারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা সাইকেল ভাড়া নিয়ে কম খরচে চলাফেরা করতে পারবেন। খাবারের ক্ষেত্রেও বুলগেরিয়া খুবই সাশ্রয়ী। লোকাল রেস্টুরেন্টে এক বেলা খাবারের দাম হাতে-নাগালে, আর নানা ধরনের স্থানীয় খাবার চেষ্টা করা যায়। অনেক পর্যটক শহরের বাজার বা ফ্রেশ মার্কেট থেকেও খাবার কিনে খরচ আরও কমিয়ে নেন।

সীফুড বা ছোট ক্যাফেও খাওয়া যেতে পারে, যা বাজেট ভ্রমণকারীদের জন্য সুবিধাজনক। ভ্রমণের সময় বা মৌসুম নির্বাচন করলেও খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। অফ-সিজনে টিকিট বা থাকার খরচ কমে যায়। এছাড়া শহরের বাইরে পাহাড়ি এলাকা, সমুদ্রতট বা ঐতিহাসিক গ্রামগুলো ঘুরতে চাইলে আগেই রুট ঠিক করে নেওয়া ভালো।

অনেক শহরে দিনে বা সপ্তাহে পাসও পাওয়া যায়, যা নিলে বারবার টিকেট কেনার দরকার হয় না। সবমিলিয়ে, যারা ইউরোপ ঘুরতে চান কিন্তু বাজেট সীমিত, তাদের জন্য বুলগেরিয়া সহজ এবং আরামদায়ক বিকল্প। পরিকল্পনা আগে থেকে করলে পুরো যাত্রা খুবই স্বস্তিদায়ক হয়। সহজে পৌঁছানো, সাশ্রয়ী থাকা, খাওয়া-দাওয়া এবং পরিবহন-all মিলিয়ে এখানে ভ্রমণ খুবই বাজেট-বন্ধব।

পোল্যান্ড: বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রসেস ও আনুমানিক খরচ

পোল্যান্ড ভ্রমণ করতে চাইলে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসার প্রক্রিয়া বেশ সরল, তবে আগেই সব কাগজপত্র ঠিক করে রাখা ভালো। শেনগেন ভিসা জন্য আবেদন করতে হলে অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে এবং সমস্ত দরকারি নথি সঙ্গে রাখলে প্রসেস দ্রুত হয়। ভিসার ফি তুলনামূলকভাবে নিয়মিত, তাই বাজেটের মধ্যে রাখা যায়।

যারা পোল্যান্ডের বড় শহর যেমন ওয়ারশ বা ক্রাকোতে যেতে চান, তাদের জন্য খাবার, থাকা আর স্থানীয় পরিবহন খরচও খুব বেশি নয়। থাকার জন্য অনেক সাশ্রয়ী হোস্টেল বা বাজেট হোটেল আছে। শহরের কেন্দ্রে হোটেল থাকলেও দামের পার্থক্য বেশি হয় না, তাই ছোট হোটেল বা হোস্টেল বেছে নিলেও ভালো সুবিধা পাওয়া যায়। খাবারের জন্য লোকাল রেস্টুরেন্ট বা স্ট্রিট ফুড বিকল্পগুলো খুব সুবিধাজনক। 
এখানে দিনে এক বা দুই বেলা স্বাভাবিক দামে খেয়ে পুরোদিন চলা যায়। শহরের ভেতরে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুব সুবিধাজনক, ট্রাম বা বাস নিয়ে ঘোরা সহজ এবং সাশ্রয়ী। শহরের বাইরে কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বা ছোট গ্রাম ঘুরতে চাইলে রুট আগে থেকে ঠিক করে রাখা ভালো। এছাড়াও, কিছু শহরে দিনের বা সপ্তাহের জন্য ভ্রমণ পাস পাওয়া যায়, যা নিলে একাধিক জায়গায় ঘুরতে সুবিধা হয়।

পোল্যান্ডে বাজেট ভ্রমণ সহজ, কারণ সবকিছুই তুলনামূলক কম খরচে পাওয়া যায়। আগেই পরিকল্পনা করলে ভিসা, টিকিট, থাকা আর খাওয়া-সব মিলিয়ে পুরো যাত্রা স্বস্তিদায়ক হয়। বাংলাদেশ থেকে পোল্যান্ড ঘুরতে আসা সহজ এবং বাজেটের মধ্যে রাখার উপযুক্ত গন্তব্য হিসেবে এটি এখন অনেকের পছন্দ।

হাঙ্গেরি: কম বাজেটে ঘোরার উপযোগী ইউরোপীয় দেশ

হাঙ্গেরি ভ্রমণ করতে চাইলে বাজেট নিয়ে চিন্তা করা খুবই সহজ। বাংলাদেশের পর্যটকরা হাঙ্গেরি আসতে পারেন কম খরচে, কারণ ফ্লাইট এবং থাকার খরচ তুলনামূলক কম। বুদাপেস্ট, দেশটির রাজধানী, শহরের সুন্দর পরিবেশ আর ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্য খুব জনপ্রিয়। এখানে থাকার জন্য সাশ্রয়ী হোস্টেল, ছোট হোটেল বা বাজেট অ্যাপার্টমেন্ট পাওয়া যায়।

শহরের কেন্দ্রে থাকলেও দাম অনেক বেশি নয়। খাবারের জন্য স্থানীয় রেস্টুরেন্ট বা স্ট্রিট ফুড খুব সুবিধাজনক। দিনে দু’বেলা সহজে খেয়ে পুরো শহর ঘোরা যায়। হাঙ্গেরিতে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ভালোভাবে কাজ করে, তাই ট্রাম, বাস বা মেট্রো ধরে সাশ্রয়ীভাবে ঘুরে দেখা যায়। কিছু শহরে দিনের বা সপ্তাহের জন্য ভ্রমণ পাসও পাওয়া যায়, যা নিলে একাধিক জায়গায় সহজে ঘুরা সম্ভব।

বাজেট ভ্রমণকারীরা চাইলে শহরের বাইরে পাহাড়ি এলাকা বা ছোট গ্রামও ঘুরে দেখতে পারেন। সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ উপভোগ করা যায়। পর্যটকদের জন্য হাঙ্গেরি বেশ নিরাপদ এবং সুবিধাজনক, তাই ছোট বাজেটেও স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে আসা যায়। যারা ইউরোপে কম খরচে ঘুরতে চান, তাদের জন্য হাঙ্গেরি সহজ এবং আরামদায়ক বিকল্প।

আগে থেকে রুট ঠিক করে রাখা, টিকিট এবং থাকার ব্যবস্থা দেখে নেওয়া, আর খাবারের জন্য সাশ্রয়ী অপশন বেছে নেওয়া-এগুলো করলে পুরো ভ্রমণ সহজ এবং স্বস্তিদায়ক হয়। হাঙ্গেরিতে কম বাজেটে ঘোরার পরিকল্পনা খুব সহজ, তাই যারা সীমিত বাজেট নিয়ে ইউরোপে যেতে চান, তাদের জন্য এটি একদম সঠিক গন্তব্য।

কোথায় থাকবেন: সস্তা হোটেল, হোস্টেল ও খাবারের খরচ গাইড

ইউরোপে ভ্রমণের সময় সবচেয়ে বড় চিন্তার মধ্যে একটি হলো কোথায় থাকবেন এবং খাবারের খরচ কেমন হবে। যারা বাজেট নিয়ে ঘুরছেন, তাদের জন্য সস্তা হোটেল এবং হোস্টেল খুবই কাজে লাগে। শহরের কেন্দ্রে হোটেল হলে সুবিধা অনেক থাকে, যেমন প্রধান আকর্ষণগুলোর কাছে থাকা এবং ট্রান্সপোর্ট সহজ।
বাংলাদেশ-থেকে-কম-খরচে-ইউরোপের-কোন-কোন-দেশে-যাওয়া-যায়
কিন্তু অনেক সময় শহরের বাইরে বা একটু দূরে থাকা হোস্টেল বা ছোট হোটেলেও অনেক সাশ্রয়ী দাম পাওয়া যায়। হোস্টেল সাধারণত কম খরচে একটি রুম বা বেড দেয়, এবং অনেক হোস্টেলে রান্নাঘর থাকে, যা ব্যবহার করলে খাবারের খরচ অনেক কমে। খাবারের ক্ষেত্রে লোকাল রেস্টুরেন্ট এবং স্ট্রিট ফুড সবচেয়ে ভালো বিকল্প।
অনেক শহরে দিনে এক বা দুই বেলা এখানকার স্থানীয় খাবার খেয়ে পুরো দিন চলা যায়। বাজার থেকে খাবার কিনে রান্না করা এবং হোস্টেলে খাওয়া খুবই সাশ্রয়ী। বিশেষ করে ছোট শহর বা গ্রামে খাবারের দাম বড় শহরের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া, শহরের বাইরে ভ্রমণ করলে প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে সাশ্রয়ী খরচের অভিজ্ঞতা মিলবে।

শহরের ভেতরে ট্রাম, বাস বা মেট্রো ব্যবহার করলে পরিবহন খরচও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনেক শহরে দিনের বা সপ্তাহের জন্য ভ্রমণ পাসও পাওয়া যায়, যা নিলে বারবার টিকেট কেনার ঝামেলা থাকে না। আগেই রুট ঠিক করে নেওয়া, থাকার ব্যবস্থা দেখে নেওয়া এবং খাবারের জন্য সাশ্রয়ী অপশন বেছে নেওয়া-এগুলো করলে পুরো ভ্রমণ অনেক সহজ হয়।

যারা ইউরোপে কম খরচে ঘুরতে চান, তাদের জন্য সস্তা হোটেল, হোস্টেল এবং খাবারের খরচের পরিকল্পনা একদম গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিকল্পনা এবং কিছু ছোট ট্রিক ব্যবহার করলে পুরো যাত্রা স্বস্তিদায়ক এবং বাজেটের মধ্যে রাখা যায়। সাশ্রয়ী থাকার সুবিধা এবং খাবারের খরচ নিয়ন্ত্রণ করলেই বাজেট ভ্রমণ সহজ এবং আনন্দদায়ক হয়।

শেষ কথা:বাংলাদেশ থেকে কম খরচে ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়

বাংলাদেশ থেকে কম খরচে ইউরোপ ভ্রমণ করতে চাইলে অনেক সময় অনেকেই ভাবেন এটা খুব জটিল বা ব্যয়বহুল হবে। কিন্তু আসলে কিছু দেশ আছে যেখানে বাজেটের মধ্যে ভ্রমণ করা পুরোপুরি সম্ভব। আমার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, Romania, Bulgaria, Poland এবং Hungary এর মতো দেশগুলোতে কম খরচে ভ্রমণ করা অনেক সহজ।

এখানে ফ্লাইট, থাকা এবং খাবারের খরচ তুলনামূলক কম, এবং শহরগুলো ঘুরে দেখার জন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্টও সুবিধাজনক। আমার মনে হয় যারা প্রথমবার ইউরোপ ভ্রমণ করছেন বা সীমিত বাজেট নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এসব দেশ সত্যিই উপযুক্ত। শহরের কেন্দ্রে না থেকেও হোস্টেল বা ছোট হোটেল বেছে নিলে খরচ অনেক কমে যায়।

এছাড়াও স্থানীয় রেস্টুরেন্ট বা স্ট্রিট ফুড থেকে খাবার নিলে আরও বাজেট-বান্ধব ভ্রমণ সম্ভব। পরিকল্পনা আগে থেকে করলে পুরো যাত্রা অনেক সহজ হয়। সঠিক সময়ে টিকিট বুক করা, থাকা এবং খাওয়ার খরচ নির্ধারণ করা, আর ভ্রমণ রুট ঠিক করা-এগুলো করলে কম খরচে ইউরোপের সুন্দর অভিজ্ঞতা নেওয়া সম্ভব। আমার মতামত অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে যারা ইউরোপ ভ্রমণ করতে চান কিন্তু বাজেট সীমিত, তাদের জন্য এসব দেশ একেবারেই বাস্তবিক ও সুবিধাজনক।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ব্লেন্ড আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url