প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা আয় করুন-করা সম্ভব যদি সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রম করা
হয়। অনলাইনে অনেক মাধ্যমে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব কিন্তু এর মধ্যে
কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কাজ, কন্টেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং,
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে সহজে আয় করা যায়। যদি আপনারা অফলাইনে এরকম কাজ করতে চান
এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ হচ্ছে ছোটখাটো টিউশনি পড়ানো বা কোচিং করা। ডেলিভারি
সার্ভিস বা পার্ট টাইম কাজ করেও সপ্তাহে আয় করা সম্ভব। ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি
এবং বিক্রির মাধ্যমে আপনি সপ্তাহে চার হাজার টাকা নিশ্চিত আয় করতে পারবেন।
আরো কিছু অনলাইন মাধ্যম আছে যেমন এফিলড মার্কেটিং বা অনলাইন কনটেন্ট তৈরি মাধ্যমে
সপ্তাহের চার হাজার টাকা আয় বা উপার্জন করা সম্ভব। মোবাইল অ্যাপ ও গেম খেলে আয়
করার সুযোগ রয়েছে। ঘরে বসে সহজে ডাটা এন্ট্রি ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টের এর কাজ
করা যায়। নিয়মিত পরিশ্রম এবং সময় ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আয় আরো বৃদ্ধি করা
যায়, আপনি যত বেশি সময় দিবেন আপনারাই তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। এই জন্য দরকার সঠিক
সময় এবং সঠিক পরিকল্পনা, যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ঘরের বাইরে প্রতি সপ্তাহে চার
হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
পেজ সূচিপত্র:প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
- ফ্রিল্যান্সিং কাজ শুরু করুন
- অনলাইন টিউশনি দিন
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করুন
- ডেলিভারি সার্ভিস এ কাজ করুন
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
- ব্লগিং বা ভ্লগিং শুরু করুন
- ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট কাজ
- স্থানীয় ব্যবসায়ের পার্ট-টাইম কাজ করুন
- মোবাইল অ্যাপ ও গেম থেকে আয় করুন
- শেষ কথা:প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
ফ্রিল্যান্সিং কাজ করুন
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন-এর চেয়ে প্রথম বিষয়টি হচ্ছে সেটি
হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করুন, ফ্রিল্যান্সিং এটি এমন একটি জিনিস যা শিখতে
পারলে মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘরে বসে পরিশ্রম ছাড়াই টাকা আয় করতে পারে।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জিনিসটা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এই ফিনান্সিং এর
মাধ্যমে অনেক বেকার মানুষ বা যারা পড়াশোনা করে যারা পড়াশোনা পাশাপাশি আই
ইনকাম করতে চায় তারা এর ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে ঘরে বসে প্রতিদিন আয় আয় করছে।শুধু শিক্ষার্থী নয় বর্তমানে ফিন্যান্সিং কাজ এটি একটি মানুষের ভবিষ্যৎ হয়ে
দাঁড়িয়েছে। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে।
ফ্রিল্যান্সিং শুধু একটি কাজ নয়, এটি অনেকের স্বপ্ন যার মাধ্যমে সে ঘরে বসে
খুব অল্প সময়ের মধ্যে পড়ালেখার পাশাপাশি এবং কাজ করার পাশাপাশিও পার্ট টাইম
জব হিসেবে এটাকে করতে পারবে।
আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং কাজটাকে বুঝিনা বা এ কাজটা কিভাবে করে সে সম্পর্কেও
আমরা জানিনা আজ আমরা এই সম্পর্কে বা এই বিষয়ে কিছু জানবো। ফ্রিল্যান্সিং মানে
শুধু এই নয় যে গ্রাফিক্স ডিজাইন করো ভিডিও এডিটিং কর। ফ্রিল্যান্সিং এর ভিতরে
অনেক সেক্টর আছে যার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন। এই সেক্টরের মধ্যে সবচেয়ে
জনপ্রিয় বা যে কাজটার মাধ্যমে আপনি শুধু ৪ হাজার টাকা নয় অনেক টাকা ইনকাম
করতে পারবে সে কাজটা বা সে সেক্টর টা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।ডিজিটাল
মার্কেটিং করে মানুষ এখন ঘরে বসে লক্ষ্যাতিক টাকা আয় করছে যা আগে একটি স্বপ্ন
ছিল। স্বপ্ন খেয়ে বাস্তবে পরিণত করার জন্য কঠোর পরিশ্রম দরকার, পরিশ্রম না
করলে কখনোই আমরা একজন সফল ফ্রিল্যান্সার বা সফল উদ্যোক্তা হতে পারবো না। আমরা
যদি সফল উদ্যোক্তা হতে চাই তাহলে আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করে এবং ধৈর্য ধরে এই
প্ল্যাটফর্মকে ধরে রাখতে হবে।অনেকেই এই প্লাটফর্মকে ধরে রাখতে পারে না কারণ
তাদের ধৈর্য খুব, প্লাটফর্মকে ধরে রাখার জন্য ধৈর্য দরকার আপনি যদি ধৈর্য ধরে
এই প্লাটফর্মকে ধরে রাখতে পারে তাহলে আপনি কি নিশ্চিত গ্যারান্টি দিতে পারি যে
আপনি প্রতি সপ্তাহে শুধু চার হাজার টাকা নয় এর চেয়েও বেশি টাকা তাই করতে
পারবেন। ডিজিটাল পাশাপাশি ফ্রেন্ডসিং এ গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টাক্ট রাইটিং,
ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি। যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে সপ্তাহে চার হাজার টাকা থেকেও
বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন
অনলাইন টিউশনি দিন
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন-এর চেয়ে দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে
সেটি হচ্ছে,অনলাইন টিউশনি দিন। টিউশন যেটা আমরা সবাই চিনি বা বুঝি, টিউশনটা
হচ্ছে এমন একটি জিনিস যা নিজের শিক্ষাকে আরেকজনের মাধ্যমে ডেভেলপ করা। আগে
আমাদের টিউশনি পড়ার জন্য স্যার বা শিক্ষকের বাসায় যেতে হতো বা শিক্ষক
আমাদের বাসায় আসতো। কিন্তু এখন অনলাইন বা ডিজিটাল যুগে আমরা অনলাইনের
মাধ্যমে টিউশন করতে পারব বা শিক্ষার্থীদেরকে টিউশন পড়াতে পারবো। এটি হতে
পারে স্কুল কলেজ বিষয় যেমন গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান, কম্পিউটার বা অন্যান্য
কোচিং বিষয়। আপনি ভিডিও কল, স্কিন শেয়ার বা ইউটিউব, ফেসবুকে লাইভে এসে
টিউশনি করতে পারেন। অনলাইনে টিউশনি পড়ানোর কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন, সময়
স্বাধীনতা নিজের সুবিধামতো সময় নির্ধারণ করে আপনি টিউশনি করাতে পারবেন। আপনি
একসাথে অনলাইনে বসে অনেক শিক্ষার্থীকে টিউশন করতে পারবে। যেখানে আপনি অফলাইনে
টিউশনি পড়ালে আপনার সময় প্রচুর ব্যয় হতো, সেখানে অনলাইনে টিউশনি করালে
আপনার টাইমটা খুব অল্প সময় লাগবে। আপনি অনলাইনে বসে যেখানে ইচ্ছা আপনি ক্লাস
শুরু করতে পারেন যা আপনি অফলাইনে পারবেন না। অফলাইনে একটি নির্দিষ্ট জায়গায়
গিয়ে আপনাকে শিক্ষার্থীদেরকে পড়াতে হতো। এর মাধ্যমে আপনার খরচটাও কম হবে
আপনি হাতে তাকা স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের
সাহায্যে আপনি দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে ছাত্রছাত্রী আপনি টিউশনি করাতে
পারবেন।
আরো পড়ুন:অনলাইনে টিউশনি করাবেন কিভাবে
এখন আসি আমরা, টিউশনিতে কিছু আয়ের সুযোগ আছে যেমন আপনাকে প্রতিটি ঘন্টা
প্রতিটা শিক্ষার্থীর জন্য ভাগ করতে হবে যেন আপনি করতে পারেন। একসাথে সর্বোচ্চ
৩০ টা থেকে ৪০ টা শিক্ষার্থীকে আপনি পড়াবেন, তাতে করে আপনি পরবর্তী ব্যাচে
অধিক শিক্ষার্থী নিতে পারবে। আপনি তত বেশি আয় করবেন। আপনি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা
নয় তার চেয়ে বেশি আয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে। নিয়মিত ক্লাস ও ভালো রিভিউ
থাকলে আপনার কাছে বিশেষ শিক্ষার্থী আসবে এবং বেশি টাকা আয় হবে। আপনি শুরু
করবেন কোথা থেকে আপনি শুরু করতে পারেন ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু প্ল্যাটফর্ম
যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক বা বাংলাদেশের যেগুলো ই-বুক প্ল্যাটফর্ম আছে। সোশ্যাল
মিডিয়াতেও আপনি টিউশনি শুরু করতে পারেন যেমন ফেসবুক, ইউটিউব বা জুম। আপনার
একটা নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে আরো অনেক ভালো হয়, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা
আপনার অফলাইনেও সাপোর্ট বা পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
আপনি ধারা পেয়ে যাবেন। আপনার পড়ার ধরনের স্পষ্ট সহজে রাখতে হবে যাতে
শিক্ষার্থীরা খুব অল্পতেই বুঝতে পারে। এতে করে সে কাটির আগ্রহ আপনার উপর
বাড়বে, এবং নিয়মিত ক্লাস করবে। নিয়মিত ক্লাস নেওয়া এবং যোগাযোগ বজায়
রাখা শিক্ষার্থীদেরকে ধরে রাখতে পারবেন।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করুন
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন-এর চেয়ে দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে
সেটি হচ্ছে, ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করুন। ডিজিটাল প্রোডাক্ট হল যে কোন
ধরনের প্রোডাক্ট যা অনলাইনে মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে বিক্রি করতে পারবেন। এতে
হতে পারে ড্রেস, ঘর সাজানোর সরঞ্জাম, বই প্রস্তুত এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রী।
এগুলো বিক্রি করে আপনি সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন খুব
সহজে। এতে করে আপনার অভিজ্ঞতাটাও অনেক বাড়বে এবং আপনি খুব সহজে অল্প
পরিশ্রমে আয় করতে পারবেন। ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করার সুবিধা হচ্ছে,
প্রোডাক্ট তৈরি হয়ে গেলে একাধিকবার বিক্রি করা যায়। মানে আপনি যে প্রোডাক্ট
তৈরি করবেন তা আপনি অধিক বার বিক্রি করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ক্রেতারা আপনার
কাছ থেকে প্রোডাক্ট নিতে আগ্রহী থাকবে। পণ্য যত কম দাম হবে তত ভালো, এতে করে
মানুষ নিয়মিত আপনার কাছ থেকে প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হবে। প্রোডাক্ট এর
গুণগত মান ভালো হতে হবে যাতে প্রোডাক্টের রিভিউ যেন খারাপ না হয়। প্রোডাক্ট
এর রিভিউ যত ভালো হবে আপনার জন্য ততই ভালো কারণ, যখন কোন ব্যক্তি আপনার একটি
প্রোডাক্ট কিনতে যাবে তখন প্রথমে প্রোডাক্টের রিভিউ দেখে যে এ প্রোডাক্টটা কি
ভালো নাকি খারাপ এটা কিনার পর কারো কি কোন সমস্যা হয়েছে। এগুলো দেখে আপনাকে
খেয়াল রাখতে হবে তাতে আপনার কাছে বেশি বিক্রেতা আসবে এবং আপনার বেশি বেশি
আয় হবে।
আপনি যদি সারা বিশ্বে আপনার এই ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকেন তাহলে আরো
অনেক ভালো হবে আমাদের বাংলাদেশে যেমন Daraz,Bikroy.com বা Alibaba.com এর মতো
প্লাটফর্মে মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টটি সেল করতে পারেন। যদি বিশ্ব ব্যাপী আপনি
প্রোডাক্ট সেল করতে চান তাহলে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে Amazon.com এটি
গোটা বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সাইট এর মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ প্রোডাক্ট সেল
হয়। আপনি যদি এগুলো প্লাটফর্মের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট সেল করে তাহলে খুব
সহজে অল্প দিনে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার প্রোডাক্ট যদি ইউনিক হয়
তাহলে তা মানুষ কিন্তু আগ্রহী হবে। আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার প্রোডাক্ট এর
মাধ্যমে ক্রেতা কি সুবিধা অসুবিধা হচ্ছে। এবং আপনার সাইডে আপনি সেই রকমই
প্রোডাক্ট তুলবেন। নিয়মিত নতুন নতুন ও আকর্ষণীয় প্রোডাক্ট দেওয়ার চেষ্টা
করবেন।
ডেলিভারি সার্ভিস এ কাজ করুন
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন-এর চেয়ে চতুর্থ বিষয়টি হচ্ছে
সেটি হচ্ছে, ডেলিভারি সার্ভিস এ কাজ করুন। ডেলিভারি সার্ভিস কাজ মানে হল
বিভিন্ন ধরনের পণ্য, খাবার বা পার্সেল গ্রাহকের কাছে পৌছে দাও। এটা হতে পারে
ফুড ডেলিভারি, ই-কমার্স প্যাকেজ ডেলিভারি বা কুরিয়ার সার্ভিসের কাজ। ধারণ
অনুযায়ী আপনি বাইক সাইকেল বা গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনি খুব
দ্রুত গ্রাহকের কাছে তার পণ্যটি পৌঁছে দিতে পারেন। আমরা যদি ডেলিভারি
সার্ভিসে কাজটিকে খুব সহজ ভাষায় জানতে চাই, তাহলে বলতে পারি আমাদের
বাংলাদেশের কিছু অনলাইন ডেলিভারি সার্ভিসের সাইট আছে
যেমন,Daraz,Bikroy.com,Foodpunda বা Alibaba.com এরকম ধরনের
ওয়েবসাইট থেকে যখন আমরা কোন পণ্য ক্রয় করি বা অর্ডার দিই, তখন যে একজন
ব্যক্তি আসে আমাদেরকে আমাদের পার্সেল দেওয়ার জন্য তাকে বলা হয় ডেলিভারি বয়
এবং এই ডেলিভারি বয় যে কাজটি করে তাকে বলা হয় ডেলিভারি। এখন তো আপনারা এ
বিষয়ে সম্পূর্ণ পরিষ্কার হতে পেরেছেন আমরা এর মাধ্যমে খুব সহজেই টাকায় করতে
পারি।
আমরা বড় বড় সাইটে কাজ করার মাধ্যমে তারা আমাদেরকে যেখানে যেগুলো প্রোডাক্ট
ডেলিভারি করতে বলবে, আমরা ঠিক ভাবে যদি প্রোডাক্ট ডেলিভারি করি তাহলে আমরা
সপ্তাহে ৪০০০ টাকা আয় করতে পারবো। এই প্লাটফর্মে কাজ করার কিছু সুবিধা আছে,
আমরা যখন কথার ডেলিভারি পৌঁছে দিব তখন খুশি হয়ে আপনাকে কিছু টাকা টিপস
হিসেবে দিতে পারে এটা হতে পারে আপনার এক্সট্রা আয়। আপনি যত দ্রুত ডেলিভারি
পৌঁছে দিতে পারবেন আপনার আয় তত বেশি হবে, আপনার প্রমোশন হবে এবং আপনি ধীরে
ধীরে আয়ের ধারা বাড়বে। এই কাজে কোন বিশেষ দক্ষতা দরকার নেই শুধু ডেলিভারি
করার নিয়ম ও সময় মত পণ্য পৌঁছে দিতে পারলেই আপনি এখান থেকে আয় করতে
পারবেন। আপনি যত বেশি ডেলিভারি করবেন এবং যত বেশি ডেলিভারি করবেন আপনারাই তত
বাড়বে। এই ডেলিভারি সার্ভিস কাজটির দুই ধরন আছে একটি হচ্ছে পার্ট-টাইম এবং
আরেকটি হচ্ছে ফুল-টাইম। আপনি যদি পার্টটাইম জব করেন তাহলে আপনার বেতন বা আয়
খুব অল্প হতে পারে। কিন্তু আপনার আই ৪ হাজার টাকা থেকেও বেশি হবে। কিন্তু যদি
আপনি ফুল-টাইম কাজ করে তাহলে আপনারাই অনেক বেশি হবে যা সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা
বেশি। আপনি যদি নিয়মিত ভালোভাবে ডেলিভারি গুলো পৌঁছে দিতে পারেন তাহলে আপনার
উপর রিভিউ ভালবাসবে এবং আপনি যত ভালো রিভিউ হবে আপনারাই তত বেশি বাড়বে। সময়
মতন দিতে পারলে আপনার উপর ভালো রিভিউ বা রেটিং হবে এবং আপনি টিপস পেতে পারেন।
নিয়মিত কাজ দক্ষতা বাড়লে আপনার আয়ের ধারাবাহিকতা বৃদ্ধি পাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন-এর চেয়ে পঞ্চম বিষয়টি হচ্ছে
সেটি হচ্ছে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্যের
পণ্য বা সেবা প্রচার করে বিক্রি করানো এবং প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য কমিশন
আয় করা। ডিলিট মার্কেটিং আধুনিক জগতের মার্কেটিং প্রক্রিয়ার অনেক
জনপ্রিয়মাণ এফিলিয়েট শব্দের বাংলা অর্থ অধিভুক্ত। অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিংএ এখানে আপনাকে নিজের প্রোডাক্ট তৈরি করতে হবে না, শুধু
নির্দিষ্ট কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস লিঙ্ক ব্যবহার করে গ্রাহকের মাঝে
ক্রয় করতে উৎসাহিত্য করতে হবে। এর মাধ্যমে আপনি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা বা তার
অধিক টাকা আয় করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা হচ্ছে, এই
মার্কেটিংয়ে নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য লাগবেনা। আপনাকে কোন পণ্য তৈরি
করতে হবে না, অন্যের প্রোডাক্ট বা পণ্য এবং সেবা প্রচার করে আপনি প্রতি
সপ্তাহে কমিশন আয় করুন। এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার দামি
কোন মোবাইল, ল্যাপটপ বা পিসি দরকার নয় শুধু একটি মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা
পিসির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেই আপনি ঘরে বসে কাজ শুরু করতে পারবেন
এবং সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার অধিক সময়ের প্রয়োজন নয়। আপনি
অল্প সময় বা অল্প পরিশ্রমের মাধ্যমে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
সপ্তাহে চার হাজার টাকা বা তারও বেশি আয় করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করার কিছু সময় রয়েছে আপনি চাইলে পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম
হিসেবে কাজ করতে পারবেন। প্রতিটি পণ্য বিক্রি করার জন্য আপনি৫% থেকে৫০%
পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনারাই দ্বিগুণ হতে পারে। আপনি
চাইলে ব্লগ, ইউটিউবে, ফেসবুকে বা ইনস্টাগ্রামে প্রোডাক্ট প্রচার করে
সপ্তাহে চার হাজার টাকার বেশি আয় করা সম্ভব। বেশি ট্রাফিক এবং বিশ্বস্ত
অডিয়েন্স থাকলে সাপ্তাহিক কয়েক হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং শুরু করার জন্য কিছুঅ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট বা অ্যাপ আছে
যেমন,Amazon Associates, ClickBank, CJ Affiliate, Daraz Affiliate
ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন। আপনার
প্রোডাক্ট অডিয়েন্স অনুযায়ী বেছে নিতে হবে, এতে করে আপনার প্রোডাক্ট
বিক্রি বেশি হবে। ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব বা ইমেইল মার্কেটিংয়ের
মাধ্যমে আপনার লিংক শেয়ার করতে পারবেন। যে প্রোডাক্ট আপনি প্রচার করছেন
সেটি যেন মানসম্মত হয়। কনটেন্ট প্রোডাক্ট কে স্বাভাবিকভাবে তুলে ধরুন,
এতে অতিরিক্ত প্রোডাক্ট বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে। অতিরিক্ত প্রচার
এড়িয়ে চলুন, অতিরিক্ত প্রচারের ফলে অনেকে বিরক্ত বোধ করে এজন্য
অতিরিক্ত প্রচার করা যাবে না। নিয়মিত রিভিউ, গাইড বা ইউজার
এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করলে আস্থা বাড়বে এবং মানুষ আপনার কাছ থেকে
প্রোডাক্ট ক্রয় করবে এবং আপনার বিক্রি বাড়বে। এতে করে আপনি প্রতি
সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন বা তার অধিক ও হতে পারে।
ব্লগিং বা ভ্লগিং শুরু করুন
ব্লগিং বা ভ্লগিং এই দুটি শুরু করার আগে আমাদেরকে জানতে হবে যে ব্লগিং
বা ভ্লগিং এই দুইটা মানে বা এই দুইটা কাকে বলে।? ব্লকিং হলো একটি
ওয়েবসাইটের মধ্যে লেখা বা আর্টিকেল তৈরি, তথ্য বা আইডিয়া প্রকাশ করা
আর ভ্লগিং হলো ভিডিও আকারে কন্টেন তৈরি করে youtube বা
facebook এর মত প্লাটফর্মে শেয়ার করতে পারেন এর মাধ্যমে আপনার সপ্তাহে
৪ হাজার টাকা পর্যন্ত করা সম্ভব। ব্লগিং হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য
লেখা বা আর্টিকেল তৈরি করা। এর মাধ্যমে আপনি কোন এক বিষয়
বিস্তারিতভাবে মানুষের মধ্যে তুলে ধরতে পারেন এবং এর মাধ্যমে খুব সহজেই
আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। আর ভ্লগিং হল আপনি আপনার জীবনে কি কি করছেন
তা একটি ভিডিওর মাধ্যমে প্রকাশ করে ইউটিউব বা ফেসবুকের মতো
প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে
এবং তার মাধ্যমে আপনার আয় হবে।ব্লগিং বা ভ্লগিং এর সুবিধা
হল আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিষয়
নির্বাচন করতে পারবেন এবং সেটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারবেন। এতে
করে মানুষ নতুন কিছু জানবে এবং আপনারও সপ্তাহে চার হাজার টাকা বা তার
অধিক টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
ব্লগিং বা ভ্লগিং শুরু করার জন্য কোন দামি কম্পিউটার, মোবাইল
বা ল্যাপটপের প্রয়োজন হয় না। আপনার যদি ভালো একটি কম্পিউটার, মোবাইল
বা ল্যাপটপ আছে এবং তাতে ইন্টারনেট সংযোগ আছে তাহলেই আপনি ব্লগিং বা
ভ্লগিং শুরু করতে পারবেন। আপনার যদি একবার জনপ্রিয় হয়ে যায়
তাহলে আপনার ওয়েবসাইট বা ইউটিউব, ফেসবুক থেকে দীর্ঘদিন টাইপ করতে
পারবেন। আপনার কনটেন্ট যদি ইউনিক হয় তাহলে আপনি অল্প সময়ে জনপ্রিয়
হয়ে যেতে পারেন। এমন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে আপনার কনটেন্টের দিকে
মানুষের আকর্ষণ হয়। ইউটিউব বা ফেসবুকের মত প্লাটফর্মে কন্টেন তৈরি
করার পর এর যেগুলো এডিটিং প্ল্যাটফর্ম আছে সেগুলোকে লোভনীয় করতে হবে
যেমন, ভিডিও টাইটেল, ভিডিও থামনেল ইত্যাদি এগুলোকে লোভনীয় করতে হবে
তাহলে আপনার ভিডিও প্রতি মানুষের আকর্ষণ হবে। ওয়েবসাইট এর ক্ষেত্রেও
একই বিষয় আপনাকে নতুন কোন কিওয়ার্ডের ওপর কাজ করতে হবে, যে কিওয়ার্ড
ইউনিক হতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে যে ফিচার ইমেজগুলো দিবেন সেগুলো
লোভনীয় হতে হবে। এগুলোতে আপনি গুগল এডসেন্স করার পর সপ্তাহে ৪০০০
টাকার বেশি আর করতে পারবেন। যদি আপনি এগুলো প্ল্যাটফর্মের ওপর একটু
সময় বেশি দিন বা পরিশ্রম করেন তাহলে আপনি মাসে লক্ষাধিক টাকাও আয়
করতে পারবেন। এগুলো শুরু করার কিছু নিয়ম আছে যেমন ওয়েবসাইট তৈরি করার
জন্য কিছু প্ল্যাটফর্ম আছে যেমন,WordPress, Blogger বা Medium এগুলো
ব্যবহার করে আপনি আপনার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। আর
ইউটিউব ফেসবুক থেকে তো আমরা সবাই চিনি। তাই ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে গেলে
আপনি আয় করতে পারবেন।
ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট কাজ
ডাটা এন্ট্রি মানে হল বিভিন্ন কোম্পানি বা ক্লায়েন্টের তথ্য কম্পিউটার
সিস্টেমে টাইপ করে ইনপুট করা। এটি হতে পারে এক্সেল সিটে নাম্বার
এন্ট্রি, ওয়ার্ড ফাইলে কপি টাইপিং বা ডাটাবেজ আপডেট করা। অন্যদিকে,
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজ মানে হল অনলাইন কাজগুলোতে সহায়তা করা
যেমন, email management, meeting সিডিউল করা, সোশ্যাল মিডিয়া
ম্যানেজমেন্ট এগুলোর মাধ্যমে আপনি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
এখানে বা এই প্লাটফর্মে কাজ করার সুবিধা হচ্ছে, সহজেই আপনি এ কাজগুলো
করতে পারবেন। দীর্ঘমেয়াদী কোন অভিজ্ঞতা দরকার নাই, আপনার অভিজ্ঞতা না
ছাড়াও আপনি এগুলো করতে পারবেন। যদিও কাজের জন্য প্রস্তুতি হওয়ার আগে
কিছু বিশেষ দক্ষতা অর্জন করলে লাভজনক হতে পারে যেমন, কার্যকারী যোগাযোগ
দক্ষতা, সময় ব্যবস্থাপনা এবং মাল্টিটাস্টিংয়ের এর ক্ষমতা, বিভিন্ন
অনলাইন টুলস বা প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার সম্পর্কে জ্ঞান এবংস্ব-প্রণোদিত
হয়ে কাজ করার মানসিকতা।ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট
কাজ শুরু করার আগে আমাদেরকে জানতে হবে কোথা থেকে ক্লাইন্ট পাওয়া
যায়। ক্লায়েন্ট পাওয়ার কিছু প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং
প্ল্যাটফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া, নেটওয়ার্কিং, জব বোর্ড, সরাসরি
ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছানো এবং কনটেন্ট মার্কেটিং এগুলোর মাধ্যমে
আপনি ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট কাজ করে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা
বা তারও বেশি আয় করতে পারবেন।
এবার আসি ডাটা এন্ট্রি, অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে আশা অনেকেই প্রশ্ন
করে ডাটা এন্ট্রি চাহিদা আছে কিনা? আসলে এআইয়ের উন্নতির সাথে সাথে
এরকম চিন্তা অনেক করছে। তবে সত্য হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির অনেক কাজ আছে এবং
এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ডাটা এন্ট্রির কাজ মোটামুটি সহজ হলেও আপনাকে
বেশ কিছু বিষয়ে দক্ষ না হলে ডাটা এন্ট্রি জব পাওয়া বর্তমানে সহজ নয়।
এজন্য আপনাকে আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে যদিও আপনি মাস দুয়েক সময়
দিলে এসব দক্ষতা অর্জন করতে পারবে এবং ডাটা এন্ট্রি কাজ শুরু করতে
পারবেন। ডাটা এন্ট্রি শেখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হলো, টাইপিং
এর, দক্ষতা হওয়া কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান রাখা, যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি
করুন, বেসিক সফটওয়্যার জ্ঞান রাখা, টাইম ম্যানেজমেন্ট শিখুন, রিসার্চ
স্কিল তৈরি করুন, ওয়েবসাইট কিভাবে কাজ করে তার বেসিক শিখুন, ডাটাবেজ
স্কেল গ্রো করুন, একই নিয়ে আসুন ইত্যাদি এগুলো দক্ষতা জ্যোতি আপনার
থাকে তাহলে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারবেন। এগুলো দক্ষতা যদি
আপনার থাকে, তাহলে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে
সপ্তাহে চার হাজার টাকা বা তারও বেশি আয় করতে পারবেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ের পার্ট-টাইম কাজ করুন
স্থানীয় ব্যবসায়ের পাট-টাইম কাজ করে আপনি সপ্তাহে চার হাজার টাকা
পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনার এলাকার দোকান, রেস্টুরেন্ট, ফার্মেসি
বা ছোট ব্যবসা গুলোতে অনেক সময় পার্ট-টাইম কর্মীর প্রয়োজন হয়।
সেখানে আপনি যদি পার্ট-টাইম কর্মী হিসেবে যোগ দেন তাহলে সপ্তাহে ৪
হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই পার্ট-টাইম কাজ হতে পারে ক্যাশ
ম্যানেজ করা, কাস্টমার সার্ভিস দেওয়া, ডেলিভারি করা বা দোকানে স্টক
সাজানো। আবার ডিজিটাল যুগে অনেক ব্যবসায় অনলাইনে প্রফেশনাল করার
জন্য পার্ট-টাইম সহকারী নিয়োগ করে থাকে। এগুলো কাজে নিয়োগ হয়ে
আপনি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা বা তারও বেশি আয় করতে পারবেন। এগুলো কাজ
করার জন্য আপনার বেশি দক্ষতা ছাড়াই কাজ শুরু করা সম্ভব। অন্যান্য
কাজে যেমন অধিক দক্ষতার প্রয়োজন হয়, কিন্তু সেখানে বেশি পরিশ্রম
করলে আই অল্প আসে। কিন্তু আপনার যদি দক্ষতা তেমন না হয় আর আপনি যদি
এই পার্ট-টাইম কাজ করেন তাহলে সপ্তাহে চার হাজার টাকা আয় করা
সম্ভব।
অনেক সময় এই কাজগুলো খোঁজা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে, কিন্তু এখন আমাদের
আশেপাশে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই আমাদের এখন
সুযোগ বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলো কাজের জন্য আমাদের খেয়ে দূরে
যেতে হয় না, নিজের এলাকার মধ্যে কাজ পাওয়া যায়। আপনার যদি এগুলোর
মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে বড় চাকরি বা
ব্যবসার কাজে এই অভিজ্ঞতা লাগানো যেতে পারে। পড়াশোনা বা অন্যান্য
কাজের পাশাপাশি এই পার্ট-টাইম কাজগুলো যদি আপনি করেন তাহলে সপ্তাহে
চার হাজার টাকার বেশি আয় করা সম্ভব। স্থানীয় ব্যবসায়ী পার্ট-টাইম
কাজ সাধারণত ঘন্টা বা দৈনন্দিন ভিত্তিতে পারিশ্রমিক দিয়ে থাকে।
কাজের ধরন অনুযায়ী সপ্তাহে দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা বা তারও
বেশি আয় সম্ভব। আপনি আপনার কাজের ধরন যত বৃদ্ধি করবেন আপনি তত বেশি
আয় পাবেন। বিশেষ করে রেস্টুরেন্ট, ডেলিভারি সার্ভিস ও দোকানগুলোতে
সুযোগ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। আপনার এলাকার যে কোন দোকান বা
রেস্টুরেন্টের ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের মাধ্যমে
আপনি এই পার্ট-টাইম কাজ করতে পারবেন। এখন ডিজিটাল যুগে স্থানীয়
ফেসবুক গ্রুপ বা বিজ্ঞাপনে চাকরির খোঁজ প্রচার করা হয় এর মাধ্যমেও
আপনি পার্ট-টাইম কাজ শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি সময় মত উপস্থিত হন
এবং দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করেন তাহলে আপনার প্রমোশনের পাশাপাশি আপনার
আয়ও বৃদ্ধি পাবে। গ্রাহকের সাথে সুন্দর ব্যবহার করলে ব্যবসায়ীরা
আপনাকে দীর্ঘ সময় রাখতে চাইবে, এতে করেও আপনার আই বাড়তে পারে।
অভিজ্ঞতা কাজে লাগে পরবর্তীতে আপনি ফুল টাইম চাকরি বা ব্যবসা শুরু
করলে আপনার সপ্তাহে ৪০০০ টাকা চেয়েও অধিক বেশি হতে পারে,সেই টাকা ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত হতে পারে। ছোট আইকেড গুরুত্ব
দিন, কারণ এটি আপনার দক্ষতা ও নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে এবং আপনাকে
একজন অভিজ্ঞ করে তুলতে পারে।
মোবাইল অ্যাপ ও গেম থেকে আয় করুন
বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, এটি আয়ের একটি
বড় সুযোগ তৈরি করেছে। বিশেষ করে মোবাইল অ্যাপ এবং গেম এখন এমনভাবে
তৈরি হচ্ছে যেখানে ব্যবহারকারীরা শুধু সময় কাটিয়াই নয় বরং প্রকৃত
অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনি যদি অনলাইনে আয় করতে চান কিন্তু বড়
কোন স্কিল নাই আপনার কাছে, তবে মোবাইলে অ্যাপ এবং গেম হতে পারে আপনার
জন্য একটি সহজ উপায় বা একটি সহজ মাধ্যম। যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে
প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। এটি হতে পারে
মোবাইলে বা গেম থেকে। অনেকে অ্যাপ আছে যেগুলো ছোট ছোট কাজ যেমন
সার্ভে পূরণ করা, বিজ্ঞাপন দেখা অ্যাপ টেস্টিং করার বিনিময়ে আপনাকে
কিছু অর্থ বা টাকা প্রদান করে থাকে। আবার কিছু কিছু গেম খেলে আপনি
ইন-গেম কারেন্সি বা বিশেষ আইটেম পান, যেগুলো বিক্রি করে আপনি আয়
করতে পারেন। এছাড়াও অনেক অনলাইন টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণ করে বড় অংকের
অর্থ যেতা সম্ভব হয়। অনেক অ্যাপ আছে যেখানে বন্ধুদের আমন্ত্রণ
জানালে প্রতিটি রেফারেন্স থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাস বা ক্যাশ আয়
হয়। কিছু কোম্পানির নতুন বাজারে আনার আগে সাধারণত ব্যবহারকারীদের
নিয়ে পরীক্ষা করাই এবং এর জন্য পয়েন্ট করে যার মাধ্যমে ৪০০০ টাকা
বা তার অধিক আয় করতে পারবেন।
কিছু জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ বা প্লাটফর্ম আছে যারা আয় দিয়ে
থাকে। এগুলো জনপ্রিয় অ্যাপস বা গেম প্ল্যাটফর্ম এর মধ্যে কিছু
জনপ্রিয় অ্যাপস বা গেম হচ্ছে,Google Opinion Rewards: সার্ভে পূরণ করে আয় করা যায়,Swagbucks:
বিজ্ঞাপন দেখা, সার্ভে ও ছোট কাজ করে ইনকাম এবং Free Fire, Pubg, Call
of Duty, Apex Legends—এ ধরনের গেমে ভালো দক্ষতা থাকলে টুর্নামেন্টে
অংশগ্রহণ করে নিয়মিত অর্থ উপার্জন করা যায়। অনেকেই মনে করেন শুধু
মোবাইল অ্যাপ ও গেম খেলে বিশাল পরিমাণ টাকা আয় সম্ভব। বাস্তবে এটি
একটি পার্ট-টাইম আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়মিত ব্যবহার করলে
প্রতি সপ্তাহে কয়েকশো থেকে কয়েক হাজার পর্যন্ত টাকা আয় করা সম্ভব।
বিশেষত অ্যাপ বেছে নিতে হবে প্রথমেই প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে
ভালো রিভিউ পাওয়া অ্যাপ গুলো ডাউনলোড করুন। ডাউনলোডকৃত অ্যাপসে ইমেইল
বা মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাউন্ট তৈরি করুন। কাজ শুরু করার আগে অবশ্যই,
এই অ্যাপস গুলোর সম্পর্কে তথ্য বা ধারণা নিন। যত বেশি কাজ করবেন তত
বেশি রেয়ার জমবে এবং সেই রেয়ার্ডগুলো আপনি বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়
এবং কি ব্যাংক একাউন্ট বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে আয় তুলতে পারবেন।
এগুলো শুরু করার জন্য কোন স্কিলের প্রয়োজন হয় না। অবসর সময়কে কাজে
লাগাতে আপনাকে এগুলো সাহায্য করতে পারবে। তাই সবার জন্য এ কথাই বলবো
মোবাইল অ্যাপ ও গেম থেকে এখন প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয়
করা সম্ভব।
শেষ কথা:প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয়ের সুযোগ অনেক বেড়েছে, যার মাধ্যমে বাড়তি
সময়কে কাজে লাগিয়ে সপ্তাহে ভালো অঙ্কের টাকা আয় করা যায়। এখন আর
কেবল বড় ব্যবসা বা চাকরির উপর নির্ভরশীল হওয়ার দরকার নেই, বরং
বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ছোট ছোট কাজ করে সাপ্তাহিকভাবে
৪০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষার্থীরা অনলাইন
টিউশনি দিতে পারে, গৃহিণীরা ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করতে পারে, আর
চাকরিজীবীরা অবসর সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অতিরিক্ত ইনকাম করতে পারে। এ
ছাড়াও ব্লগিং, ভ্লগিং বা ইউটিউবে কনটেন্ট তৈরি করে আয়ের সুযোগ
রয়েছে। অনেকেই আবার ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি, অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং, কিংবা মোবাইল অ্যাপ ও গেমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছে। মূল
কথা হলো, আপনার হাতে একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ
এবং প্রতিদিন কিছু সময় ব্যয় করার ইচ্ছা থাকলেই আয়ের এই যাত্রা শুরু
করা যায়।
প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য প্রথমে আপনার দক্ষতা,
আগ্রহ ও সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানো প্রয়োজন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট
সময় দিয়ে কাজ করলে সপ্তাহ শেষে একটি ভালো পরিমাণ ইনকাম নিশ্চিত করা
যায়। এখানে ধৈর্য ও নিয়মিততা সবচেয়ে বড় মূলধন, কারণ শুরুতে আয় কম
হলেও ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়লে ইনকামও বাড়বে। তবে সতর্ক থাকতে হবে,
কারণ অনেক ভুয়া প্ল্যাটফর্ম মানুষকে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষতির মুখে
ফেলে। তাই সবসময় বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে কাজ শুরু
করা উচিত। সঠিক পদ্ধতিতে কাজ করলে অনলাইন আয় কেবল বাড়তি ইনকামের উৎস
নয়, বরং এটি ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম মাধ্যমও হতে পারে। শেষ
পর্যন্ত বলা যায়, অনলাইন আয় এখন আর স্বপ্ন নয়, বরং বাস্তবতার নাম,
এবং আপনিও সহজেই প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করুন-করতে
পারেন যদি মনোযোগ দিয়ে কাজ করেন এবং সঠিক পথে এগিয়ে যান।
লাইফ ব্লেন্ড আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url