সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এটি বাংলাদেশ খোঁজা খুবই কঠিন।বাংলাদেশে
ব্যক্তিগত, ব্যবসায়ী বা হাউসিং লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে সুদের হার একটি
গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়। অনেক মানুষ শুধু বেশি হওয়ায় প্রয়োজনীয় ঋণ নিতে
দ্বিধা করে থাকে। তাই কম সুদে লোন প্রদানকারী ব্যাংকগুলো সম্পর্কে জানা অত্যন্ত
জরুরি এবং এ ব্যাংকগুলো কিভাবে কম সুদে লোন প্রদান করে থাকে তাও আমরা আজ জানবো।
দেশের বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের লোন সুবিধা দিয়ে থাকে, যারা মধ্য কিছু
ব্যাংক বিশেষভাবে কম শোধন প্রদান করে থাকে এই নির্দেশ আমরা সেই ব্যাঙ্কগুলোর একটি
বিস্তারিত তালিকা তুলে ধরছি যাতে সহজ মিশ্রভাবে লোন নেওয়া সম্ভব হয়। এই আলোচনার
মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই কম সুদে লোন নিতে পারব এবং এই ব্যাংকগুলো কিভাবে লোন
প্রদান করে তাও আমরা আজকে জানব।
পেজ সূচিপত্র:সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাক
- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
- ডাচ-বাংলা ব্যাংক
- ব্যারাক ব্যাংক
- ঢাকা ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
- বেসিক ব্যাংক
- বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক
- জনতা ব্যাংক
- অগ্রণী ব্যাংক
- শেষ কথা:সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এর মধ্যে সর্বপ্রথম যে ব্যাংকটি হল সেটি
হল, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বাংলাদেশে ব্যক্তিগত রুণ প্রদান করে
থাকে, যা গ্রাহকদের বিভিন্ন আর্থিক চাহিদা পূরণের সহায়ক। এইরণ পরিমাণ ৫০,০০০
হাজার টাকা থেকে ২০,০০,০০০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পার, যা গ্রাহকের যোগ্যতা, আয়
এবং রোন পরিশোধ ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। ব্রণের মেয়াদ ১২ মাস থেকে ৬০ মাস
পর্যন্ত হতে পারে, যা গ্রাহকের সুবিধা অনুযায় নির্ধারিত হয়। যে যেমন আয় করে
তার আয়ের দিক বিবেচনা করে এই ব্যাংক গ্রাহককে লোন প্রদান করে থাকে।
এই ব্যাংক ওদের হার রোনের পরিমাণ, মিয়া দেব গ্রাহক প্রার্থী যাই নির্ধারণ করে
থাকে।, রোল অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে আয় প্রমান পত্র, জাতীয়
পরিচয় পত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি থাকে। রোন অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন
হলে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য ২ কার্য দিবসের মধ্যে
এবং অন্যান্য গ্রাহকদের জন্য পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে লোন বিতরণ করে থাকে।
| ব্যাংকের নাম | ঋণের ধরন | সুদের হার (প্রতি বছর) | ঋণ পরিমাণ (৳) | মেয়াদ (মাস) |
|---|---|---|---|---|
| স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক | ব্যক্তিগত ঋণ | ১১.৪৯% থেকে ১৮% | ৳৫০,০০০ থেকে ৳২০,০০,০০০ | ১২ থেকে ৬০ মাস |
ডাচ-বাংলা ব্যাংক
ডাচ-বাংলা ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত রোণ সুবিধা
প্রদান করে। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় লোন হলো "যখন তখন
পার্সোনাল লোন", যা শিক্ষা ব্যয়, চিকিৎসা, বিবাহ বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে
নেওয়া যায়। ঋণের পরিমাণ ৫০,০০০ হাজার থেকে ২০,০০,০০০ লাখ পর্যন্ত
হতে পারে এবং মেয়াদ ১২-৬০ মাস পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। গ্রীন
আবেদনকারীর বয়স ১৮-২০ বছর হতে হবে এবং মাসিক আয় ভীতিতে লোন তি অনুমোদিত
হয়।
উপরের ব্যাংকের মতন এ ব্যাংক ও সুদের হার বার্ষিক ১১.৫০% নির্ধারিত আছে।
প্রক্রিয়াকরণ ফি ০.৫০%-১.০০% এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে থাকে
জাতীয় পরিচয় পত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আয় প্রমানপত্র। ঋণ অনুমোদন হলে তা
গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং নির্ধারিত সময় EMI পদ্ধতিতে
পরিশোধ করতে হয়।
| ব্যাংকের নাম | ঋণের ধরন | সুদের হার (প্রতি বছর) | ঋণ পরিমাণ (৳) | মেয়াদ (মাস) |
|---|---|---|---|---|
| ডাচ-বাংলা ব্যাংক | ব্যক্তিগত ঋণ | ১১% থেকে ১৩% | ৳৫০,০০০ থেকে ৳২০,০০,০০০ | ১২ থেকে ৬০ মাস |
ব্যারাক ব্যাংক
ব্যারাক ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য পার্সোনাল লোন প্রদান করে, যা ব্যক্তিগত
প্রয়োজন যেমন চিকিৎসা, শিক্ষা, বিবাহ, ভ্রমণ ইত্যাদির জন্য ব্যবহার করা
যায়। ব্রণের পরিমাণ ৫০০০০ হাজার থেকে ২০,০০,০০০ লাখ পর্যন্ত হতে পারে
এবং লোনের মেয়াদ ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত নির্ধারণ করা
হয়। ঋণটি ইক্যুইটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট (EMI) পদ্ধতিতে পরিশোধ
করতে হয়। ঋণ আবেদনকারী বয়েস কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে এবং ঋণ মেয়াদ শেষে
সর্বোচ্চ ৭০ বছর হতে হবে।
ব্যারাক ব্যাংক উপরের ব্যাংকের মতো এবং সুদের হার বার্ষিক ১১%
থেকে ১৩.৫% নির্ধারিত আছে।ব্যাংকগুলো তাদের সুদের হার ঋণের পরিমাণ,
মেয়াদ এবং গ্রাহকের আর্থিক প্রোফাইল অনুযায়ী নির্ধারণ করে থাকে। ঋণ
অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে আয় প্রমাণপত্র, জাতীয়
পরিচয়পত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। ঋণ অনুমোদন
প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, ঋণটি এককালীন বা কিস্তিতে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে
জমা করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী EMI পদ্ধতিতে পরিশোধ
করতে হয়।
| ব্যাংকের নাম | ঋণের ধরন | সুদের হার (প্রতি বছর) | ঋণ পরিমাণ (৳) | মেয়াদ (মাস) |
|---|---|---|---|---|
| ব্যারাক ব্যাংক | ব্যক্তিগত ঋণ | ১১% থেকে ১৩.৫% | ৳৫০,০০০ থেকে ৳২০,০০,০০০ | ১২ থেকে ৬০ মাস |
ঢাকা ব্যাংক
ঢাকা ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য ব্যক্তিগত ঋণ প্রদান করে, যার সুদের হার ১৩.৫৫%
বার্ষিক নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সুদের হার অবসকিউরড (Unsecured) ঋণের জন্য
প্রযোজ্য। ঋণের পরিমাণ ৳২৫,০০০ থেকে ৳৫০,০০,০০০ পর্যন্ত হতে পারে এবং ঋণের
মেয়াদ ১২ মাস থেকে ৭২ মাস পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ঋণটি ইক্যুইটেড মান্থলি
ইনস্টলমেন্ট (EMI) পদ্ধতিতে পরিশোধ করতে হয়। ঋণ আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর
হতে হবে এবং ঋণ মেয়াদ শেষে সর্বোচ্চ ৭০ বছর হতে হবে।
প্রক্রিয়াকরণ ফি হিসেবে ঋণের পরিমাণের ০.৫০% বা সর্বোচ্চ ৳১৫,০০০, যেটি কম হবে,
তা নেওয়া হয়। ঋণ অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের মধ্যে আয় প্রমাণপত্র,
জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক স্টেটমেন্ট ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। ঋণ অনুমোদন
প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, ঋণটি এককালীন বা কিস্তিতে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে জমা করা
হয় এবং পরবর্তী সময়ে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী EMI পদ্ধতিতে পরিশোধ করতে হয়।
| ব্যাংকের নাম | ঋণের ধরন | সুদের হার (প্রতি বছর) | ঋণ পরিমাণ (৳) | মেয়াদ (মাস) |
|---|---|---|---|---|
| ঢাকা ব্যাংক | ব্যক্তিগত ঋণ | ১৩.৫৫% | ৳২৫,০০০ – ৳৫০,০০,০০০ | ১২ – ৭২ |
ব্যাংক এশিয়া
ব্যাংক এশিয়া গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজন মেটাতে একাধিক ঋণ সুবিধা প্রদান
করে। এসব ঋণের মধ্যে আছে ব্যক্তিগত ঋণ, যা চিকিৎসার খরচ বা জরুরি প্রয়োজনের
জন্য ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও আছে গৃহ ঋণ, যার মাধ্যমে আপনি বাড়ি কেনা বা
সংস্কার করতে পারেন। গাড়ি কেনার জন্য আছে গাড়ি ঋণ, এবং কৃষকদের জন্য আছে কৃষি
ঋণ। প্রতিটি ঋণের জন্য সুদের হার, ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ ভিন্ন হয়, যা
গ্রাহকের আর্থিক অবস্থা এবং ঋণের প্রকারের উপর নির্ভর করে।
যেকোনো ঋণের জন্য আবেদন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এর
মধ্যে আছে আপনার পরিচয়ের প্রমাণ যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, ঠিকানার প্রমাণ যেমন
ইউটিলিটি বিল, এবং আয়ের প্রমাণ যেমন বেতন বিবরণী বা ব্যবসার কাগজপত্র। এই
কাগজপত্রগুলো ব্যাংকে জমা দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। প্রতিটি ঋণের
শর্তাবলী এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, সরাসরি ব্যাংক
এশিয়ার নিকটতম শাখায় যোগাযোগ করা সবচেয়ে ভালো। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনি
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক এবং হালনাগাদ তথ্য পাচ্ছেন।
| ব্যাংকের নাম | ঋণের ধরন | সুদের হার (প্রতি বছর) | ঋণ পরিমাণ (৳) | মেয়াদ (মাস) |
|---|---|---|---|---|
| ব্যাংক এশিয়া | ব্যক্তিগত ঋণ | প্রায় ১১.০৩% থেকে ১৫.০৫% পর্যন্ত | আবেদনকারীর যোগ্যতা অনুযায়ী নির্ধারিত | ১২ – ৬ |
বেসিক ব্যাংক
বেসিক ব্যাংক বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক যা বিভিন্ন ধরনের
ঋণ সুবিধা প্রদান করে। যদিও তাদের ঋণের সুদের হার এবং শর্তাবলী সময়ে সময়ে
পরিবর্তিত হয়, তবুও তারা সাধারণত গ্রাহকের আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে ব্যক্তিগত ঋণ,
গৃহ ঋণ, এবং বাণিজ্যিক ঋণ প্রদান করে। ব্যক্তিগত ঋণের সুদের হার সাধারণত বাজারের
অন্যান্য ব্যাংকের সাথে প্রতিযোগিতামূলক হয় এবং এটি আবেদনকারীর আর্থিক অবস্থা ও
ঋণ পরিশোধের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। এ ব্যাংকের বার্ষিক সুদের হার পরিবর্তনশীল।
সাধারণত ৮% থেকে১২% পর্যন্ত হতে পারে। সর্বনিম্ন ৫০,০০০ হাজার টাকা
থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০,০০০ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই ব্যাংক সাধারণত
এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত ব্যক্তিগত লোন প্রদান করে থাকে।
ঋণের আবেদন প্রক্রিয়ায় সাধারণত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ থাকে। আবেদনকারীকে তার
পরিচয়, ঠিকানা এবং আয়ের প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। ব্যাংক এই নথিগুলো যাচাই
করে এবং গ্রাহকের যোগ্যতা মূল্যায়ন করে। ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ নির্ধারণের
ক্ষেত্রেও এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে এবং সময়মতো
সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া হলে ঋণ প্রক্রিয়া দ্রুত এবং মসৃণ হয়।
| ব্যাংকের নাম | ঋণের ধরন | সুদের হার (প্রতি বছর) | ঋণ পরিমাণ (৳) | মেয়াদ (মাস) |
|---|---|---|---|---|
| বেসিক ব্যাংক | ব্যক্তিগত ঋণ | ৮% থেকে ১২% পর্যন্ত | ৳৫০,০০০ – ৳১০,০০,০০০ | ১ – ৫ বছর |
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (BDBL) গ্রাহকদের জন্য ব্যক্তিগত ঋণ সুবিধা
প্রদান করে, যা শিক্ষাব্যয়, চিকিৎসা, বিবাহ, ভ্রমণ বা অন্যান্য ব্যক্তিগত
প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায়। ঋণের পরিমাণ ৳৫০,০০০ থেকে ৳২০,০০,০০০ পর্যন্ত হতে
পারে এবং ঋণের মেয়াদ ১২ মাস থেকে ৬০ মাস পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ঋণটি
ইক্যুইটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট (EMI) পদ্ধতিতে পরিশোধ করতে হয়। ঋণ আবেদনকারীর
বয়স কমপক্ষে ২৩ বছর হতে হবে এবং ঋণ মেয়াদ শেষে সর্বোচ্চ ৬৫ বছর হতে হবে।
বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে ৪% থেকে১৩.২৫% পর্যন্ত
সুদ দেয়।
ঋণের আবেদন প্রক্রিয়ায় সাধারণত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ থাকে। আবেদনকারীকে
তার পরিচয়, ঠিকানা এবং আয়ের প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। ব্যাংক এই নথিগুলো
যাচাই করে এবং গ্রাহকের যোগ্যতা মূল্যায়ন করে। ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ
নির্ধারণের ক্ষেত্রেও এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে
এবং সময়মতো সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া হলে ঋণ প্রক্রিয়া দ্রুত এবং
মসৃণ হয়।
| ব্যাংকের নাম | ঋণের ধরন | সুদের হার (প্রতি বছর) | ঋণ পরিমাণ (৳) | মেয়াদ (মাস) |
|---|---|---|---|---|
| বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক | ব্যক্তিগত ঋণ | ৪% থেকে ১২.২৫% | ৳৫০,০০০ থেকে ৳২০,০০,০০০ | ১২ মাস থেকে ৬০ |
জনতা ব্যাংক
জনতা ব্যাংক এটি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত ব্যাংকের মধ্যে একটি এই ব্যাংক
রাহাতদের জন্য ব্যক্তিগত লোন সহ বিভিন্ন ধরনের রুম প্রদান করে থাকে। এই
ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে যেমন বিশেষায়িত ঋণ, পল্লী ঋণ,
পার্সোনাল লোন এবং অন্যান্য বাণিজ্য প্রতিটি রনের জন্য আলাদা যোগ্যতা, জামানাতে
নিয়ম ও সুদের হার প্রয়োজন হয়। সুদের হার পরিবর্তনশীল হতেও পারে এবং লোনের
মেয়েদের উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট লোনের জন্য জনতা ব্যাংক নির্দিষ্ট পরিমাণ
সুদ প্রদান করে থাকে। ব্যক্তিগত লোনের ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংক সর্বোচ্চ ২০ লাখ
টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত লোনের ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংক
১৩.০০% সুদ প্রদান করে থাকে কিন্তু এই শোধ পরিবর্তনশীল। এই লোনের মেয়াদ
সর্বোচ্চ ০৮ বছর বা চাকরি মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ব্যক্তিগত লোনের ক্ষেত্রে ঋণ প্রাপ্তির কিছু যোগ্যতা থাকতে হয় যেমন
সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়(বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত
তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ যারা নিবন্ধনের সকল নিয়ম-কানুন ও বিধিবিধান
অনুসরণ করেছে) এবং সরকারি ও বেসরকারি এমপি ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আধা সরকারি
ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্থায়ী ও নিয়মিত
নির্বাহী/কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ এই লোন নিতে পারবেন।ঋণের আবেদন প্রক্রিয়ায় সাধারণত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ থাকে। আবেদনকারীকে তার
পরিচয়, ঠিকানা এবং আয়ের প্রমাণপত্র জমা দিতে হয়। ব্যাংক এই নথিগুলো যাচাই
করে এবং গ্রাহকের যোগ্যতা মূল্যায়ন করে। ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ নির্ধারণের
ক্ষেত্রেও এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে এবং সময়মতো
সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া হলে ঋণ প্রক্রিয়া দ্রুত এবং মসৃণ হয়।
| ব্যাংকের নাম | ঋণের ধরন | সুদের হার (প্রতি বছর) | ঋণ পরিমাণ (৳) | মেয়াদ (মাস) |
|---|---|---|---|---|
| জনতা ব্যাংক | ব্যক্তিগত ঋণ | ১৩.০০% | ২০.০০(বিশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত | সর্বোচ্চ ০৮(আট) বছর বা চাকুরির মেয়াদকাল(পিআরএল) পর্যন্ত |
অগ্রণী ব্যাংক
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক এই বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
এবং সহজ ও সুন্দর ব্যাংক হচ্ছে, অগ্রণী ব্যাংক এটিও একটি বাংলাদেশের বিখ্যাত
ব্যাংকের মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের মানুষ এই ব্যাংকের চেনেনা এরকম সংখ্যার পরিমাণ
খুবই। ব্যাংকের মতন বিভিন্নভাবে লোন প্রদান করে থাকে এই ব্যাংকের ওষুধের
হার পরিবর্তনশীল হতে পারে এবং লোনের মেয়াদের উপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট লোনের
জন্য অগ্রণী ব্যাংক নির্দিষ্ট পরিমাণ করে থাকে ব্যক্তিগত হলে অনেক ক্ষেত্রে
অগ্রণী ব্যাংক সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে
অনেক ক্ষেত্রে অগ্রণী ব্যাংক ১৩.৪০% সুদ প্রদান করে থাকে এই সুদ
পরিবর্তনশীল হতেও পারে। ব্যক্তিগত লোনের জন্য বয়সসীমা ১৮ থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত
হতে হবে। এই লোনের সময়সীমা পাঁচ বছর হয়ে থাকে।
অন্যান্য ব্যাংকের মতো এই ব্যাংকের ব্যক্তিগত লোনের জন্য কোন প্রকার অধিক
যোগ্যতা দরকার নাই, এ ব্যাংকে লোন নেওয়া খুবই সহজ এবং সব মানুষই এই ব্যাংক
থেকে লোন নিতে পারে। কিন্তু হ্যাঁ প্রতিটা ব্যাংকের মতো এই ব্যাংকেও আপনার কিছু
কাগজপত্র দরকার হয় যেমন্আবেদনকারীকে তার পরিচয়, ঠিকানা এবং আয়ের প্রমাণপত্র
জমা দিতে হয়। ব্যাংক এই নথিগুলো যাচাই করে এবং গ্রাহকের যোগ্যতা মূল্যায়ন
করে। ঋণের পরিমাণ এবং মেয়াদ নির্ধারণের ক্ষেত্রেও এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি
গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে এবং সময়মতো সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া হলে ঋণ
প্রক্রিয়া দ্রুত এবং মসৃণ হয়।
| ব্যাংকের নাম | ঋণের ধরন | সুদের হার (প্রতি বছর) | ঋণ পরিমাণ (৳) | মেয়াদ (মাস) |
|---|---|---|---|---|
| অগ্রণী ব্যাংক | ব্যক্তিগত ঋণ | ১৩.৪০% | ২০.০০(বিশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত | সর্বোচ্চ ০৫(পাঁচ) বছরপর্যন্ত |
শেষ কথা:সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক
সবচেয়ে কম সুদে লোন দেয় কোন ব্যাংক, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা
উপরে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনেছি এগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ
বাংলাদেশ শোধ মুক্ত থাকতে চাই কিন্তু কিছু ব্যাংক অধিকহারে সুদ দেওয়ার কারণে
মানুষ ব্যাংক থেকে লোন বা টাকা রাখতে ভয় পায়। কিন্তু বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক আছে
যারা সুদ মুক্ত লোন প্রদান করে থাকে। যেগুলো আমরা উপরে জেনে এসেছি, এগুলো ব্যাংকে
অনেক সুবিধা আছে এবং অনেক অসুবিধা আছে। কিন্তু এই সুবিধা এবং অসুবিধা মধ্যেও একটি
ব্যাংক কে বেছে নেওয়া খুবই জরুরী, কারণ মানুষের সুবিধা অনুযায়ী সব ব্যাংক ঋণ বা
সুদ দিতে পারেনা, এই জন্যই আমার অভিজ্ঞতা এবং সব দিক বিবেচনা করে সব সুবিধার দিক
দিয়ে অগ্রণী ব্যাংক আমার সবচেয়ে প্রিয় ব্যাংক হিসেবে স্থান পেয়েছে। তাই আমি
সবাইকে বলব এই অগ্রণী ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া উচিত। এখানে লোন নেওয়ার
প্রক্রিয়া সহজ এবং অনেক সুন্দর। এখানে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। গ্রাহকদের
জন্য কোন উচ্চ যোগ্যতা জটিলতা নেই, ফলে যে কোন সাধারণ ব্যক্তি এ ব্যাংক থেকে খুব
সহজে ঋণ নিতে পারবেন।
এছাড়াও, অগ্রণী ব্যাংকের গ্রাহকসেবা খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতাপূর্ণ। ঋণের
পরিমাণ ও সময়সীমা গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী নমনীয়ভাবে নির্ধারণ করা হয়। আমার
মত অনেকের জন্য এটি সবচেয়ে সুবিধাজনক ব্যাংক, কারণ এখানে ঋণ নেওয়া সহজ এবং
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ খরচগুলোর জন্য দ্রুত অর্থায়ন সম্ভব। এই কারণে, অগ্রণী
ব্যাংক ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে সত্যিই একটি প্রথম পছন্দ।



লাইফ ব্লেন্ড আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url