ফাইভার গিগ ইমপ্রেশন আসছে না কেন
ফাইভার গিগ শুরু করার পর অনেক ফ্রিল্যান্সার আশার সঙ্গে অপেক্ষা করে থাকে,
কিন্তু কখনো কখনো গিগের ইমপ্রেশন আসে না। এটি নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য
হতাশাজনক বিষয়, কারণ তারা কাজ করার পরেও দর্শক বা ক্রেতা পাচ্ছেন না। ইমপ্রেশন
কম আসার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন টাইটেল ও ডিসক্রিপশন ঠিকমতো
অপ্টিমাইজ না করা, ভুল কিওয়ার্ড ব্যবহার, বা Fiverr অ্যালগরিদমে গিগের সাপোর্ট
কম পাওয়া। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে জানব কেন আপনার গিগ ভিজিবিলিটি কম
হচ্ছে এবং কীভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে ইমপ্রেশন বাড়ানো সম্ভব।
পোস্টটি শুরু করার আগে আপনাদের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, অবশ্যই পোস্টটি
শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে জানবেন এবং তা
সঠিকভাবে প্রয়োগ করবেন। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে আপনারা এ পোস্টের
গুরুত্বপূর্ণ সব কথাগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং তা প্রয়োগ করতে কোন
অসুবিধা হবে না বা প্রয়োগের পরও কোন অসুবিধা হবে না। আপনাদের সুবিধার্থে
পোষ্টের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো পেজ সূচিপত্র আকারে তুলে ধরা হলো।
পেজ সূচিপত্র:ফাইভার গিগ ইমপ্রেশন আসছে না কেন
- ফাইভার গিগ ইমপ্রেশন আসছে না কেন
- নতুন গিগ হলে ইমপ্রেশন না আসার সাধারণ কারণ
- ভুল কিওয়ার্ড রিসার্চ গিগের ভিজিবিলিটি কমায়
- গিগ টাইটেল ও ডিসক্রিপশন অপ্টিমাইজ না করা
- গিগ ইমেজ ও থাম্বনেইল দুর্বল হলে সমস্যা
- ক্যাটাগরি ও সাবক্যাটাগরি ভুল নির্বাচন
- ফাইভার অ্যালগরিদম এবং গিগ র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর
- কম অ্যাক্টিভিটি ও রেসপন্স রেটের প্রভাব
- ইমপ্রেশন বাড়ানোর কার্যকর ও প্র্যাকটিক্যাল টিপস
- শেষ কথা:ফাইভার গিগ ইমপ্রেশন আসছে না কেন
ফাইভার গিগ ইমপ্রেশন আসছে না কেন
ফাইভারে নতুন গিগ বানানোর পর অনেকেই ভাবেন কাজটা সাজানো হলে ইমপ্রেশন আসবে,
কিন্তু অনেক সময় তা হয় না। মূল কারণগুলোর মধ্যে একটা হলো টাইটেল এবং ডিসক্রিপশন
ঠিকমতো সাজানো না থাকা। যদি আপনার কিওয়ার্ড সঠিক না হয় বা কেউ সহজে গিগ খুঁজে
না পায়, তাহলে ইমপ্রেশন কম হবে।
আরেকটা বিষয় হলো গিগ ইমেজ। যারা কাজ দেখতে চায়, তাদের প্রথম নজরে ধরতে হবে, তাই
দুর্বল থাম্বনেইল বা অপ্রাসঙ্গিক ছবি কম ইমপ্রেশন দেয়। এছাড়া, ক্যাটাগরি বা
সাবক্যাটাগরি ঠিক না হলে গিগ আলগোরিদমে সাপোর্ট পায় না। গিগের অ্যাক্টিভিটি বা
রেসপন্স রেট কম থাকলেও ইমপ্রেশন কমে। সমস্যার সমাধান করতে হলে কিওয়ার্ড রিসার্চ
করে সঠিক টাইটেল, স্পষ্ট ডিসক্রিপশন, আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করতে হবে।
নিয়মিত গিগ আপডেট, সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন এবং দ্রুত রেসপন্সের মাধ্যমে
ইমপ্রেশন বাড়ানো সম্ভব। সহজভাবে বলতে গেলে, গিগকে আরও দর্শকের জন্য স্পষ্ট,
আকর্ষণীয় এবং খুঁজে পাওয়া সহজ করতে হবে। এভাবে ধীরে ধীরে আপনার ফাইভার গিগে
ইমপ্রেশন বাড়বে এবং সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছাবে।
নতুন গিগ হলে ইমপ্রেশন না আসার সাধারণ কারণ
ফাইভারে নতুন গিগ তৈরি করার পর অনেকেই ভাবেন, একবার গিগ লাইভ হয়ে গেলে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমপ্রেশন আসবে। কিন্তু বাস্তবে সবসময় তা হয় না। নতুন গিগের
ইমপ্রেশন কম আসার পেছনে বেশ কয়েকটা সাধারণ কারণ আছে। প্রথমত, গিগের টাইটেল
এবং ডিসক্রিপশন ঠিকভাবে সাজানো না থাকলে আলগোরিদম সহজে গিগ খুঁজে পায় না।
অনেক সময় নতুন ফ্রিল্যান্সার কিওয়ার্ডের গুরুত্ব কম বোঝে, ফলে সার্চে তাদের
গিগ উপরের দিকে আসে না। দ্বিতীয়ত, গিগের থাম্বনেইল বা ছবি দুর্বল হলে দর্শক
আকৃষ্ট হয় না, যার কারণে ক্লিক বা ভিজিট কম হয়। তৃতীয়ত, নতুন গিগ সাধারণত
রেসপন্স বা অর্ডার হিস্ট্রি কম থাকার কারণে আলগোরিদমে সাপোর্ট পায় কম।
ক্যাটাগরি ভুলভাবে বেছে নেওয়া হলে গিগও সঠিক দর্শকের কাছে পৌঁছায় না। এছাড়া,
নিয়মিত আপডেট না করা, প্রমোশন না করা, এবং প্রোফাইলের রেটিং কম থাকা এই
ইমপ্রেশনকে আরও কমিয়ে দেয়। নতুন ফ্রিল্যান্সারদের উচিত প্রথমে কিওয়ার্ড
রিসার্চ, স্পষ্ট ডিসক্রিপশন, আকর্ষণীয় থাম্বনেইল এবং সঠিক ক্যাটাগরি নির্বাচন
করা। এছাড়া, ছোট ছোট আপডেট এবং নিয়মিত রেসপন্সে নতুন গিগের ভিজিবিলিটি বাড়ানো
সম্ভব। সহজভাবে বলতে গেলে, নতুন গিগ হলেও সঠিক প্রস্তুতি ও মনোযোগ দিলে দ্রুত
ইমপ্রেশন পাওয়া সম্ভব।
ভুল কিওয়ার্ড রিসার্চ গিগের ভিজিবিলিটি কমায়
ফাইভারে গিগ তৈরি করার সময় অনেকেই কিওয়ার্ডের দিকে যথেষ্ট মনোযোগ দেন না।
কিন্তু কিওয়ার্ড ঠিকমতো না হলে গিগের ভিজিবিলিটি অনেক কমে যায়। অনেক সময়
ফ্রিল্যান্সাররা শুধু জনপ্রিয় শব্দ ব্যবহার করে, কিন্তু সেটা তাদের টার্গেট
ক্লায়েন্টের সঙ্গে মিলে না। এর ফলে, গিগ সার্চে উপরের দিকে আসে না এবং নতুন
দর্শক পায় না।
ভুল কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে গিগে ক্লিক রেটও কম থাকে, যা আরও ইমপ্রেশন কমানোর
কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া, সঠিক কিওয়ার্ড ছাড়া ডিসক্রিপশন বা টাইটেলও ঠিকভাবে
গিগকে বর্ণনা করতে পারে না। নতুন বা কম অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সাররা প্রায়ই এই
ভুল করে, ফলে তাদের কাজ দেখা যায় না। কিওয়ার্ড রিসার্চ করলে জানা যায় কোন
শব্দ বা ফ্রেজগুলো ক্রেতারা বেশি খুঁজছে, আর সেগুলো ব্যবহার করলে গিগের
ভিজিবিলিটি বেড়ে যায়।
সহজভাবে বলতে গেলে, সঠিক কিওয়ার্ড ছাড়া গিগ যেন অদৃশ্য হয়ে যায়। তাই নতুন
ফ্রিল্যান্সারদের উচিত প্রথমে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা, প্রাসঙ্গিক শব্দ ব্যবহার
করা এবং গিগের টাইটেল ও ডিসক্রিপশন সঠিকভাবে সাজানো। এছাড়া, গিগের ছবি,
ক্যাটাগরি এবং প্রোফাইলের তথ্যও ভালো হলে সার্চ অ্যালগোরিদম আরও সহায়ক হয়।
এমনভাবে মনোযোগ দিলে, ভুল কিওয়ার্ডের কারণে কম ইমপ্রেশন পাওয়া সমস্যা সহজেই
কমানো সম্ভব।
গিগ টাইটেল ও ডিসক্রিপশন অপ্টিমাইজ না করা
ফাইভারে গিগ তৈরি করার সময় অনেকেই মনে করে শুধু গিগ পোস্ট করলেই কাজ শুরু
হবে। কিন্তু বাস্তবে, টাইটেল এবং ডিসক্রিপশন ঠিকভাবে অপ্টিমাইজ না করলে
ইমপ্রেশন আসা খুবই কম। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার গিগের টাইটেল দীর্ঘ বা
অস্পষ্ট করে দেয়, ফলে ক্রেতারা সার্চে সহজে খুঁজে পায় না। ডিসক্রিপশনও যদি
পরিষ্কার না হয়, তাহলে ক্লায়েন্ট বুঝতে পারে না আপনি ঠিক কী সার্ভিস
দিচ্ছেন।
এতে গিগ ভিজিবিলিটি কমে যায়। ভালো টাইটেল মানে এমন শব্দ ব্যবহার করা যা
ক্রেতারা বেশি সার্চ করে, আর ডিসক্রিপশন যেন পরিষ্কারভাবে কাজের স্কোপ এবং
সুবিধা বোঝায়। এছাড়া, কিওয়ার্ডের জায়গায় র্যান্ডম বা প্রাসঙ্গিক নয় এমন শব্দ
ব্যবহার করলে সার্চে গিগ প্রদর্শিত হয় না। টাইটেল এবং ডিসক্রিপশন ঠিকঠাক না
হলে অ্যালগোরিদমও সাহায্য দেয় না, তাই নতুন গিগের জন্য ইমপ্রেশন কম থাকে।
কাস্টমাইজড টাইটেল এবং বিস্তারিত ডিসক্রিপশন ব্যবহার করলে ক্রেতাদের আস্থা
বাড়ে, ক্লিক রেটও বেড়ে যায় এবং গিগের এক্সপোজার বাড়ে। সহজভাবে বলতে গেলে,
টাইটেল এবং ডিসক্রিপশন এমন হতে হবে যা ক্রেতার দৃষ্টিতে আকর্ষণীয়, স্পষ্ট এবং
সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার, তাদের উচিত প্রথমে কিওয়ার্ড
রিসার্চ করা, পরিষ্কার ডিসক্রিপশন লেখা এবং টাইটেল যতটা সম্ভব প্রাসঙ্গিক ও
সংক্ষিপ্ত রাখা। এইভাবে মনোযোগ দিলে গিগের ভিজিবিলিটি বাড়ানো সম্ভব এবং নতুন
ইমপ্রেশন আসা শুরু হয়।
গিগ ইমেজ ও থাম্বনেইল দুর্বল হলে সমস্যা
ফাইভারে যখন গিগ বানানো হয়, তখন অনেক সময় ফ্রিল্যান্সার ইমেজ বা থাম্বনেইলের
দিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। কিন্তু গিগের ইমেজ বা থাম্বনেইল যদি দুর্বল হয়,
তাহলে ইমপ্রেশন কম পাওয়া স্বাভাবিক। ক্রেতারা সার্চ রেজাল্টে প্রথমেই চোখে পড়ে
ছবি। যদি ছবিটা আকর্ষণীয় না হয় বা প্রফেশনাল লুক না দেয়, তাহলে তারা ক্লিক করার
আগ্রহই অনুভব করে না।
আরো পড়ুন:সাইবার সিকিউরিটি গুরুত্ব দেখুন
এছাড়া, থাম্বনেইল যদি আপনার সার্ভিস ঠিকমতো বোঝায় না, ক্রেতারা বিভ্রান্ত হয়
এবং গিগে প্রবেশ কম হয়। এক্ষেত্রে সার্চ অ্যালগোরিদমও গিগের ভিজিবিলিটি বাড়ায়
না। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার শুধু সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড বা সাধারণ ছবি ব্যবহার
করে, যা নজর কাড়ে না। সঠিক ইমেজ মানে পরিষ্কার, প্রাসঙ্গিক এবং চোখে ধরার মতো।
এছাড়া ছবি যত বেশি প্রফেশনাল এবং বিষয়বস্তুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, ক্রেতাদের
আস্থা বেড়ে যায় এবং ক্লিক রেটও বাড়ে। সহজভাবে বলতে গেলে, একটি দুর্বল ইমেজ শুধু
দর্শক কম আনবে না, বরং গিগের সার্চ র্যাঙ্কিংকেও প্রভাবিত করবে। তাই নতুন
ফ্রিল্যান্সারদের উচিত সময় নিয়ে ইমেজ এবং থাম্বনেইল তৈরি করা, এমনভাবে যা
পরিষ্কারভাবে সার্ভিস বোঝায় এবং আকর্ষণীয়। এই ছোট পরিবর্তনগুলো অনেক বড় প্রভাব
ফেলে এবং গিগের ইমপ্রেশন বাড়াতে সাহায্য করে।
ক্যাটাগরি ও সাবক্যাটাগরি ভুল নির্বাচন
ফাইভারে নতুন গিগ বানানোর সময় অনেকেই ক্যাটাগরি এবং সাবক্যাটাগরির দিকে
মনোযোগ দেয় না। তারা মনে করে শুধু সার্ভিস পোস্ট করলেই হবে। কিন্তু ভুল
ক্যাটাগরি বা সাবক্যাটাগরি নির্বাচন করলে গিগের ভিজিবিলিটি কমে যায়। ক্রেতারা
যখন সার্চ করে, তারা সাধারণত সঠিক ক্যাটাগরি ফিল্টার করে। যদি আপনার গিগ সেই
ফিল্টারের সঙ্গে মেলে না, তাহলে গিগ দেখা যায় না।
অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার তাদের কাজের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় বা বড় ক্যাটাগরি
বেছে নেন, কিন্তু তা সঠিক নয়। এতে গিগ অ্যালগোরিদমে সাপোর্ট পায় না এবং
ইমপ্রেশন কম হয়। এছাড়া, সাবক্যাটাগরি ঠিক না থাকলেও ক্রেতারা গিগ খুঁজে পায়
না। সহজভাবে বলতে গেলে, গিগকে এমন জায়গায় রাখতে হবে যা প্রকৃত ক্রেতাদের জন্য
সহজে পৌঁছানো যায়।
প্রথমে আপনার সার্ভিস ঠিকমতো বিশ্লেষণ করুন, তারপর সঠিক ক্যাটাগরি এবং
সাবক্যাটাগরি নির্বাচন করুন। যদি সম্ভব হয়, প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ডও ক্যাটাগরির
সঙ্গে মেলান। এইভাবে নতুন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের গিগের ইমপ্রেশন বাড়াতে পারে
এবং ক্রেতাদের কাছে সহজে পৌঁছাতে পারে। ভুল ক্যাটাগরি বা সাবক্যাটাগরি শুধু
ইমপ্রেশন কমায় না, বরং গিগের সার্চ র্যাঙ্কিংকেও প্রভাবিত করে। তাই সময় নিয়ে
সঠিক নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ফাইভার অ্যালগরিদম এবং গিগ র্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর
ফাইভারে গিগের ইমপ্রেশন এবং র্যাঙ্কিং বাড়ানোর জন্য অ্যালগরিদমের কাজ বোঝা
খুব জরুরি। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার মনে করেন শুধু গিগ বানালেই ক্লায়েন্ট
আসবে, কিন্তু বাস্তবে অ্যালগরিদম গিগের ভিজিবিলিটি নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যালগরিদম
মূলত গিগের মান, রেসপন্স রেট, কাস্টমার রিভিউ এবং প্রোফাইল অ্যাক্টিভিটি
দেখে।
আরো পড়ুন:সাইবার ক্রাইম মামলার শাস্তি জানুন
যদি আপনার রেসপন্স সময় ধীর হয় বা অর্ডার কম থাকে, তাহলে গিগ সার্চে উপরের
দিকে আসে না। এছাড়া, টাইটেল, ডিসক্রিপশন, কিওয়ার্ড ব্যবহার এবং ক্যাটাগরি
ঠিকমতো না থাকলেও অ্যালগরিদম গিগকে কম সাপোর্ট দেয়। ক্লায়েন্টদের আকর্ষণীয়
ইমেজ বা থাম্বনেইলও র্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলে। গিগে যত ভালো মান এবং
প্রাসঙ্গিক তথ্য থাকবে, অ্যালগরিদম তত বেশি প্রদর্শন করবে।
নিয়মিত আপডেট এবং কার্যকরী কমিউনিকেশনও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ক্রেতার আস্থা
বাড়ায়। সহজভাবে বলতে গেলে, ফাইভার অ্যালগরিদমকে খুশি করতে হলে গিগকে
পরিষ্কার, প্রফেশনাল এবং প্রাসঙ্গিক রাখা জরুরি। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার,
তাদের উচিত প্রতিটি ফ্যাক্টর খেয়াল রাখা-ক্লিয়ার ডিসক্রিপশন, আকর্ষণীয়
থাম্বনেইল, সঠিক ক্যাটাগরি, দ্রুত রেসপন্স এবং প্রোফাইলের মান উন্নয়ন। এইভাবে
মনোযোগ দিলে গিগের ইমপ্রেশন বাড়ানো সম্ভব এবং র্যাঙ্কিংও উপরের দিকে ওঠে।
কম অ্যাক্টিভিটি ও রেসপন্স রেটের প্রভাব
ফাইভারে গিগের ইমপ্রেশন বাড়ানোর ক্ষেত্রে কম অ্যাক্টিভিটি এবং ধীর রেসপন্স
রেট খুবই বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সার মনে করেন শুধু
গিগ বানালেই ক্লায়েন্ট আসবে, কিন্তু যদি প্রোফাইল কম অ্যাক্টিভ থাকে বা
মেসেজে সময়মতো রেসপন্স না করা হয়, তাহলে গিগ সার্চে উপরের দিকে আসে না।
অ্যালগরিদম এই তথ্য দেখে এবং বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সারের গিগকে প্রাধান্য
দেয়। ধীর রেসপন্স বা অ্যালার্ট দেখার পর ক্রেতারা দ্রুত অন্য ফ্রিল্যান্সারের
দিকে চলে যায়, যা ইমপ্রেশন কমায়। এছাড়া, কম অ্যাক্টিভ প্রোফাইল মানে নতুন গিগ
বা আপডেটও কম দেখা হবে। তাই নিয়মিত লগইন, দ্রুত মেসেজের উত্তর, এবং অর্ডার
পরিচালনায় সক্রিয় থাকা জরুরি।
সহজভাবে বলতে গেলে, একটানা কার্যকলাপের অভাব গিগকে অদৃশ্য করে দেয়। নতুন
ফ্রিল্যান্সারদের উচিত প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় প্রোফাইল অ্যাক্টিভ রাখতে,
মেসেজ চেক এবং উত্তর দিতে। এছাড়া, অর্ডারের স্ট্যাটাস আপডেট রাখা, রিভিউ
ম্যানেজ করা এবং ছোট ছোট আপডেট দেওয়া গিগকে আরও দৃশ্যমান করে। এইভাবে মনোযোগ
দিলে শুধু ইমপ্রেশন বাড়বে না, বরং ক্রেতার আস্থা ও ক্লিক রেটও বেড়ে যাবে। তাই
কম অ্যাক্টিভিটি বা ধীর রেসপন্স কোনোভাবেই উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।
ইমপ্রেশন বাড়ানোর কার্যকর ও প্র্যাকটিক্যাল টিপস
ইমপ্রেশন বাড়ানোর কার্যকর ও প্র্যাকটিক্যাল টিপস:
আরো পড়ুন:ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্ব ও সতর্কতা
- সঠিক কিওয়ার্ড রিসার্চ: গিগের টাইটেল এবং ডিসক্রিপশনে ক্রেতাদের খোঁজের শব্দ ব্যবহার করুন। প্রাসঙ্গিক এবং জনপ্রিয় কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন।
- আকর্ষণীয় টাইটেল: টাইটেল সংক্ষিপ্ত, পরিষ্কার এবং কিওয়ার্ড-ফ্রেন্ডলি রাখতে হবে। ক্রেতাদের বুঝতে হবে আপনি ঠিক কী সার্ভিস দিচ্ছেন।
- স্পষ্ট এবং প্রফেশনাল ডিসক্রিপশন: সার্ভিসের বিষয়বস্তু, সুবিধা এবং ডেলিভারির সময় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
- প্রফেশনাল থাম্বনেইল ও ছবি: চোখে পড়ার মতো ছবি ব্যবহার করুন। ইমেজ যেন পরিষ্কার, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয় হয়।
- সঠিক ক্যাটাগরি ও সাবক্যাটাগরি নির্বাচন: আপনার গিগ সেই শ্রেণির ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে হবে, তাই ভুল ক্যাটাগরি এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত আপডেট: গিগের ছোট ছোট আপডেট দিন। নতুন আপডেট করলে অ্যালগরিদম বেশি সাপোর্ট দেয়।
- অ্যাক্টিভ প্রোফাইল: নিয়মিত লগইন করুন, মেসেজ দ্রুত রেসপন্ড করুন এবং অর্ডার প্রক্রিয়ায় সক্রিয় থাকুন।
- ক্রেতা রিভিউ ও রেটিং: ভালো রিভিউ এবং হাই রেটিং গিগের ভিজিবিলিটি বাড়ায়।
- প্রমোশন ও শেয়ারিং: সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগে গিগ শেয়ার করুন। আরও দর্শক আকৃষ্ট হবে।
- ক্লিয়ার FAQ ব্যবহার: সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ক্রেতাকে আগেই তথ্য দিন।
- অফার এবং বাণ্ডল তৈরি: ক্রেতা আকৃষ্ট করার জন্য অফার বা প্যাকেজ বানান।
- রেসপন্স টাইম কমানো: দ্রুত উত্তর দিলে ক্রেতার আস্থা বেড়ে যায় এবং গিগ অ্যালগরিদমে উপরের দিকে আসে।
- কমপ্লিট প্রোফাইল: প্রোফাইল ছবিসহ সব তথ্য পূর্ণ রাখুন, যা বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়।
- গিগ ভিডিও ব্যবহার: ভিডিও দিলে ক্লায়েন্টের আকর্ষণ বাড়ে এবং ক্লিক রেট উন্নত হয়।
- সীমিত স্প্যাম বা প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ওভার-ইউজ করা না: কিওয়ার্ড ফিলিং করলে অ্যালগরিদম গিগ কম দেখায়।
শেষ কথা:ফাইভার গিগ ইমপ্রেশন আসছে না কেন
ফাইভারে গিগের ইমপ্রেশন না আসা অনেক নতুন ফ্রিল্যান্সারের জন্য বড় ধাক্কা।
আমার মতে, এর মূল কারণগুলো সহজে সমাধানযোগ্য, কিন্তু বেশিরভাগই ছোট ছোট ভুল
থেকে হয়। যেমন, টাইটেল বা ডিসক্রিপশন পরিষ্কার না থাকা, সঠিক কিওয়ার্ড
ব্যবহার না করা, দুর্বল থাম্বনেইল, বা ভুল ক্যাটাগরি। এছাড়া, কম অ্যাক্টিভিটি
এবং ধীর রেসপন্সও ইমপ্রেশন কমানোর বড় কারণ।
আমি দেখেছি যারা নিয়মিত প্রোফাইল আপডেট করে, কাস্টমার মেসেজে দ্রুত উত্তর
দেয়, ভালো থাম্বনেইল এবং প্রফেশনাল টাইটেল ব্যবহার করে, তাদের গিগ দ্রুত
দর্শকের কাছে পৌঁছায়। তাই আমার অভিজ্ঞতায় নতুন ফ্রিল্যান্সারদের উচিত প্রথমে
কিওয়ার্ড রিসার্চ করা, টাইটেল ও ডিসক্রিপশন পরিষ্কার রাখা এবং প্রোফাইল
সক্রিয় রাখা।
ছোট ছোট কাজগুলো মিলিয়ে গিগের ভিজিবিলিটি বাড়ানো সম্ভব। সহজভাবে বলতে গেলে,
যদি আমরা আমাদের গিগকে পরিষ্কার, আকর্ষণীয় এবং প্রাসঙ্গিক করি, তাহলে
ইমপ্রেশন বাড়ানো অনেক সহজ হয়। আমার মতামত হলো, যেসব ফ্রিল্যান্সার ধৈর্য ধরে
সবটুকু ঠিকঠাক রাখে, তাদের গিগ অবশ্যই সফল হয় এবং ক্রেতার কাছে দৃশ্যমান
থাকে।



লাইফ ব্লেন্ড আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url