50000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়

৫০০০০ টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এই প্রশ্নটি এখন অনেকের মনেই আসে, বিশেষ করে যারা চাকরির পাশাপাশি বা ঘরে বসে কিছু শুরু করতে চান। বাস্তবতা হলো, বড় পুঁজি না থাকলেও সঠিক পরিকল্পনা, ধৈর্য আর বাস্তবসম্মত আইডিয়া থাকলে ছোট বাজেটেই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে অনলাইন, সার্ভিস ভিত্তিক কিংবা ছোট আকারের অফলাইন ব্যবসা ধীরে ধীরে গড়ে তোলা যায়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঝুঁকি বোঝা, খরচ নিয়ন্ত্রণ করা এবং শুরু থেকেই বাস্তব লক্ষ্য ঠিক করা। এই লেখায় সেই সম্ভাবনাগুলোই পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হবে।
50000-টাকায়-কি-ব্যবসা-করা-যায়
পোস্টটি শুরু করার আগে আপনাদের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, অবশ্যই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে জানবেন এবং তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করবেন। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে আপনারা এ পোস্টের গুরুত্বপূর্ণ সব কথাগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং তা প্রয়োগ করতে কোন অসুবিধা হবে না বা প্রয়োগের পরও কোন অসুবিধা হবে না। আপনাদের সুবিধার্থে পোষ্টের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো পেজ সূচিপত্র আকারে তুলে ধরা হলো।

পেজ সূচিপত্র:50000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়

50000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়

অনেক মানুষের কাছেই ব্যবসা মানে বড় পুঁজি, দোকান ভাড়া আর বড় ঝুঁকি। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা এখন একটু আলাদা। বর্তমান সময়ে অল্প টাকায়ও নিজের কিছু শুরু করা সম্ভব, যদি ভাবনাটা বাস্তব হয়। ৫০ হাজার টাকা এমন একটি পরিমাণ, যেটা দিয়ে কেউ চাইলে ধীরে ধীরে নিজের কাজ দাঁড় করাতে পারে। এখানে মূল বিষয় হলো কী করা হচ্ছে সেটা নয়, বরং কিভাবে করা হচ্ছে।

সঠিক খরচ পরিকল্পনা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাদ দেওয়া আর শুরুতে লাভের চেয়ে টিকে থাকার দিকে মনোযোগ দিলে সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ঘরে বসে সার্ভিস দেওয়া, অনলাইনে পণ্য বিক্রি, বা লোকাল চাহিদার উপর ছোট উদ্যোগ এসব ক্ষেত্রে বড় অফিস বা বেশি লোকের দরকার হয় না। প্রযুক্তি এখন কাজ সহজ করেছে, ফলে ফোন আর ইন্টারনেট থাকলেই অনেক কিছু করা যায়।

যারা নতুন, তাদের জন্য শেখার সুযোগও আছে প্রচুর। ভুল হবেই, কিন্তু ছোট পরিসরে শুরু করলে সেই ভুলের ক্ষতিও কম হয়। ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়ে, আত্মবিশ্বাস আসে, আর তখন ছোট শুরুটাই বড় কিছুর ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।

কম পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করার আগে যা জানা জরুরি

কম পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করার আগে কিছু বিষয় পরিষ্কারভাবে জানা খুব জরুরি, না হলে শুরুতেই হতাশা আসতে পারে। অনেকেই ভাবেন অল্প টাকায় ব্যবসা মানেই দ্রুত লাভ, কিন্তু বাস্তবে বিষয়টা এমন না। শুরুতে নিজের সামর্থ্য বোঝা দরকার, মাসে কত খরচ চলবে, কতদিন লাভ না হলেও টিকে থাকা যাবে এসব হিসাব আগে করতে হয়।

কোন কাজটা আপনার এলাকায় বা অনলাইনে দরকার আছে সেটা না বুঝে শুরু করলে টাকা আটকে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই বাজারটা একটু দেখুন, মানুষ কী চায়, কীতে তারা টাকা খরচ করে সেটা লক্ষ্য করুন। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সব টাকা একসাথে খরচ না করা। কিছু টাকা হাতে রাখলে হঠাৎ সমস্যা এলে চাপ কম হয়।

ব্যবসা মানেই সব নিজে করতে হবে এমন না, শুরুতে ছোটভাবে সার্ভিস নেওয়া বা ফ্রি টুল ব্যবহার করলেও চলে। অনেকে হিসাব না রাখার কারণে বুঝতেই পারেন না কোথায় টাকা যাচ্ছে। তাই শুরু থেকেই খাতা বা মোবাইল অ্যাপে লেনদেন লিখে রাখা অভ্যাস করুন। আর শিখতে লজ্জা পাবেন না। ইউটিউব, ফেসবুক গ্রুপ বা পরিচিত কারও অভিজ্ঞতা অনেক কাজে আসে।

কম পুঁজির ব্যবসায় ধৈর্য খুব দরকার, কারণ এখানে ধীরে এগোনোই নিরাপদ। আজ ছোট মনে হলেও ঠিকভাবে করলে সেটাই ভবিষ্যতে বড় কিছুর ভিত্তি হতে পারে।

৫০০০০ টাকায় অনলাইন ব্যবসার লাভজনক আইডিয়া

৫০০০০ টাকায় অনলাইন ব্যবসার লাভজনক আইডিয়া খুঁজতে গেলে আগে বুঝতে হবে অনলাইন মানেই বড় সেটআপ না। এখন অনেক কাজ আছে যেখানে দোকান, স্টাফ বা অফিস ছাড়াই শুরু করা যায়। অল্প পুঁজিতে সবচেয়ে ভালো দিক হলো ঝুঁকি কম থাকে আর পরীক্ষা করার সুযোগ বেশি থাকে। ধরুন, নিজের এলাকায় যেসব পণ্যের চাহিদা আছে সেগুলো অনলাইনে তুলে ধরা।

ফেসবুক পেজ বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই অর্ডার নেওয়া যায়। আবার কেউ কেউ ডিজিটাল সার্ভিস দিয়ে শুরু করে, যেমন ডিজাইন, কনটেন্ট লেখা বা পেজ ম্যানেজ করা। এখানে মূল খরচ যায় ইন্টারনেট আর সময়ে। অনেকেই হালকা প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ শুরু করে, যাতে ডেলিভারি ঝামেলা কম হয়। অনলাইন ব্যবসায় বিশ্বাস তৈরি করা খুব জরুরি।

পরিষ্কার কথা বলা, সময়মতো ডেলিভারি আর সঠিক তথ্য দিলে ক্রেতা বারবার ফিরে আসে। শুরুতে লাভ কম হলেও অভিজ্ঞতা বাড়ে, সেটাই বড় শক্তি। বিজ্ঞাপনে বেশি টাকা না ঢেলে ধীরে ধীরে গ্রো করাও বুদ্ধিমানের কাজ। নিজের কাজের ছবি, রিভিউ আর বাস্তব অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে মানুষ আগ্রহ পায়। ৫০ হাজার টাকা এখানে পুরোটা খরচ না করে ধাপে ধাপে ব্যবহার করলে নিয়ন্ত্রণ থাকে।

অনলাইন ব্যবসা আসলে ধৈর্যের খেলা। যারা সময় দেয়, শিখে এগোয় আর হাল ছাড়ে না, তাদের জন্য এই বাজেটেও ভালো সুযোগ তৈরি হয়।

ঘরে বসে করা যায় এমন ছোট ব্যবসার সুযোগ

ঘরে বসে করা যায় এমন ছোট ব্যবসার সুযোগ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি, কারণ কাজের ধরনটাই বদলে গেছে। আজকাল আয় করতে হলে দোকান খুলতেই হবে এমন কথা নেই। অনেক মানুষ নিজের ঘর থেকেই ধীরে ধীরে কাজ শুরু করছে এবং সেখান থেকেই নিয়মিত আয় করছে।
50000-টাকায়-কি-ব্যবসা-করা-যায়
মূল সুবিধা হলো এখানে বাড়তি খরচ কম। ভাড়া, কর্মচারী বা বড় সেটআপের চাপ থাকে না। কেউ নিজের দক্ষতা দিয়ে সার্ভিস দিতে পারে, কেউ আবার ছোট পরিসরে পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করে। অনলাইনে মানুষের উপস্থিতি বাড়ার কারণে ক্রেতার সাথে যোগাযোগ করাও সহজ হয়েছে। ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা ফোন কলেই অনেক কাজ সেরে ফেলা যায়।

ঘরে বসে কাজ করলে সময়ের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে থাকে, ফলে পড়াশোনা বা পরিবারের কাজের সাথেও মিলিয়ে নেওয়া যায়। অনেকেই ভাবেন ছোট ব্যবসা মানেই খুব সীমিত সুযোগ, কিন্তু বাস্তবে তা না। ঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে ছোট উদ্যোগ থেকেও ভালো আয় সম্ভব। এখানে সবচেয়ে দরকার ধৈর্য আর নিয়মিত চেষ্টা।

শুরুতে অর্ডার কম আসতে পারে, সাড়া ধীরে আসতে পারে, কিন্তু কাজ ঠিক থাকলে মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে। ঘরে বসে ব্যবসার আরেকটি ভালো দিক হলো ভুল হলে ক্ষতি কম হয়। এতে শেখার সুযোগ বেশি থাকে। নতুন কিছু শেখা, কাজের মান উন্নত করা আর গ্রাহকের কথা শোনা এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিলে পথটা সহজ হয়। বড় হওয়ার তাড়া না করে ধীরে এগোলে এই ধরনের ছোট উদ্যোগ অনেকের জন্য স্থায়ী আয়ের পথ তৈরি করতে পারে।

অফলাইন ব্যবসা: কম ঝুঁকিতে শুরু করার উপায়

অফলাইন ব্যবসা এখনো অনেকের জন্য ভরসার জায়গা, বিশেষ করে যারা চোখের সামনে কাজ দেখতে চান। কম ঝুঁকিতে শুরু করতে চাইলে প্রথমেই বড় স্বপ্ন না দেখে ছোট বাস্তব চিন্তা দরকার। নিজের এলাকা ভালো করে দেখুন, মানুষ প্রতিদিন কী ব্যবহার করে বা কোন জিনিসের জন্য বাইরে যায়। সেই চাহিদা বুঝতে পারলে অর্ধেক কাজ আগেই হয়ে যায়।

শুরুতে বড় দোকান বা দামি সাজসজ্জার দরকার নেই। ছোট একটি জায়গা, পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আর নিয়মিত উপস্থিতি অনেক সময় বেশি কাজে আসে। অনেকেই সব টাকা একবারে খরচ করে ফেলে, পরে সমস্যায় পড়ে। তার চেয়ে ধাপে ধাপে খরচ করা নিরাপদ। পণ্য কম রাখুন, কিন্তু মান ঠিক রাখুন। এতে টাকা আটকে থাকার ঝুঁকি কমে।

পরিচিত মানুষের সাথে ব্যবহার ভালো হলে মুখে মুখেই প্রচার হয়। অফলাইন ব্যবসায় বিশ্বাসটাই আসল বিষয়। সময়মতো খোলা রাখা, দাম পরিষ্কার বলা আর কথা দিয়ে কথা রাখা এই ছোট বিষয়গুলোই পার্থক্য গড়ে দেয়। হিসাব রাখার বিষয়টাও হালকাভাবে নেওয়া ঠিক না। দিনে কত বিক্রি হলো, কত খরচ গেল, এগুলো জানা থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়।

শুরুতে লাভ কম হলেও ধৈর্য ধরে চালিয়ে গেলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়। অফলাইন ব্যবসা মানে শুধু বিক্রি না, মানুষের সাথে সম্পর্ক তৈরি করা। এই সম্পর্কটাই ঝুঁকি কমায় আর টিকে থাকার শক্তি দেয়।

শিক্ষার্থী ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ব্যবসা

শিক্ষার্থী ও নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ ব্যবসা বলতে এমন কাজ বোঝায় যেটা পড়াশোনা বা নতুন জীবনের চাপের মাঝেও সামলানো যায়। এই পর্যায়ে বড় ঝুঁকি নেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব না, তাই ছোট পরিসরে শুরু করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। নিজের সময় কতটা ফাঁকা থাকে, সেটা আগে বোঝা দরকার।

এরপর এমন কাজ বেছে নেওয়া ভালো যেটা শেখা যায় ধীরে ধীরে। অনেক শিক্ষার্থী নিজের দক্ষতা দিয়ে কাজ শুরু করে, কেউ আবার সহজ পণ্য নিয়ে চেষ্টা করে। এখানে মূল শক্তি হলো শেখার মানসিকতা। ভুল হবে, কিন্তু সেখান থেকেই অভিজ্ঞতা আসে। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় ধৈর্যের অভাব।

সবাই দ্রুত ফল চায়, কিন্তু বাস্তবে সময় লাগে। তাই শুরুতে লক্ষ্য রাখা উচিত নিয়মিত কাজ করার দিকে। খরচের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হয়। যেটা একেবারে দরকার নেই, সেটায় টাকা ঢালার দরকার নেই। বন্ধু, পরিচিত বা ছোট নেটওয়ার্ক থেকেই প্রথম সুযোগগুলো আসে। সেগুলো ভালোভাবে কাজে লাগালে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

সময়মতো কাজ শেষ করা আর কথা ঠিক রাখা এই দুইটা বিষয় শুরুতেই অভ্যাস করলে পরে অনেক সুবিধা হয়। শিক্ষার্থী অবস্থায় বা নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে শুরু করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো শেখার সুযোগ। চাপ কম থাকে, পরীক্ষার সুযোগ বেশি থাকে। ঠিকভাবে এগোলে এই ছোট শুরুটাই ভবিষ্যতে বড় পথ খুলে দিতে পারে।

কোন ব্যবসায় লাভ বেশি আর ঝুঁকি কম

কোন ব্যবসায় লাভ বেশি আর ঝুঁকি কম এই প্রশ্নের একটাই উত্তর সবার জন্য কাজ করে না, কারণ বিষয়টা অনেকটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। তবে কিছু সাধারণ বিষয় খেয়াল করলে ঝুঁকি কমানো যায়। যেসব কাজে মানুষের নিয়মিত চাহিদা আছে, সেগুলো তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হয়। প্রতিদিন ব্যবহার হয় এমন পণ্য বা সার্ভিস হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় না।

তাই শুরুতে খুব আলাদা কিছু না খুঁজে পরিচিত চাহিদার দিকেই নজর দেওয়া ভালো। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো খরচ নিয়ন্ত্রণ। যেখানে শুরুতেই বেশি টাকা ঢালতে হয় না, সেখানে চাপও কম থাকে। অনেক সময় নিজের সময় আর পরিশ্রমটাই মূল বিনিয়োগ হয়, এতে লোকসানের ঝুঁকি কমে। লাভের কথা ভাবলে ধীরে বাড়ানোই নিরাপদ পথ।

ছোট পরিসরে কাজ করলে ভুলের খেসারত কম দিতে হয়। গ্রাহকের সাথে সরাসরি যোগাযোগ থাকলে সমস্যা বোঝা সহজ হয় আর দ্রুত ঠিক করা যায়। যারা হিসাব পরিষ্কার রাখে, তারা সিদ্ধান্তও ভালো নিতে পারে। আবার এমন কাজ বেছে নেওয়া ভালো যেখানে প্রয়োজন হলে দিক পরিবর্তন করা যায়। একদম আটকে যাওয়ার মতো ব্যবস্থা ঝুঁকি বাড়ায়। ব্যবসা মানেই সব সময় বড় লাভ না, বরং টিকে থাকা আর ধারাবাহিক আয়ই আসল শক্তি। এই দিকগুলো মাথায় রেখে এগোলে লাভের সুযোগ বাড়ে আর ঝুঁকি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সাধারণ ভুল যেগুলো করলে ব্যবসায় ক্ষতি হয়

সাধারণ ভুল যেগুলো করলে ব্যবসায় ক্ষতি হয় সেগুলো বেশিরভাগ সময় বড় কোনো বিষয় না, বরং ছোট অবহেলা থেকেই শুরু হয়। অনেকেই শুরুতে পরিকল্পনা না করেই কাজে নেমে পড়েন। এতে খরচ বাড়ে, কিন্তু দিক পরিষ্কার থাকে না। আবার অনেকে সব টাকা একসাথে খরচ করে ফেলেন, হাতে কিছু না রেখে।

কোনো সমস্যা এলে তখন সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যায়। আরেকটি বড় ভুল হলো হিসাব ঠিকভাবে না রাখা। দিনে কত বিক্রি হলো বা কোথায় কত খরচ গেল, এসব না জানলে লাভ-ক্ষতির ধারণা থাকে না। অনেক ব্যবসায়ী গ্রাহকের কথা গুরুত্ব দেন না। এতে ধীরে ধীরে বিশ্বাস কমে যায়। দাম বা কাজ নিয়ে কথা এক রকম করে পরে অন্য রকম করলে সমস্যার শুরু হয়।

আবার অনেকে শিখতে চান না। নতুন কিছু জানার সুযোগ এলে সেটাকে এড়িয়ে যান। এতে সময়ের সাথে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাড়াহুড়ো করে বড় হওয়ার চেষ্টাও ক্ষতির কারণ হয়। ধীরে এগোনোর বদলে হঠাৎ বড় সিদ্ধান্ত নিলে চাপ বাড়ে। আরেকটি বিষয় হলো নিয়মিত উপস্থিত না থাকা। ব্যবসায় ধারাবাহিকতা খুব জরুরি। একদিন ভালো, একদিন বন্ধ থাকলে মানুষ আগ্রহ হারায়। এসব ছোট ভুল এড়াতে পারলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় আর কাজটা টেকসই হয়।

৫০০০০ টাকায় ব্যবসা সফল করার বাস্তব টিপস

৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা সফল করার বাস্তব টিপস জানতে চাইলে আগে বুঝতে হবে, ছোট বাজেট মানেই ধীরে ধীরে শুরু করা। সব টাকা একবারে খরচ না করে পরিকল্পনা মতো ব্যবহার করা জরুরি। শুরুতেই বড় লাভের চিন্তা না করে ছোট লক্ষ্য ঠিক করুন। পণ্যের মান ঠিক রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ খারাপ মানে গ্রাহক ফিরে আসে না।
50000-টাকায়-কি-ব্যবসা-করা-যায়
খরচ এবং আয়ের হিসাব রাখুন, দিনের শেষে বা সপ্তাহ শেষে লেনদেনগুলো নোট করুন। এতে বোঝা সহজ হয় কোথায় টাকা বেশি খরচ হচ্ছে বা কোথায় লাভ আসছে। অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে কাজ শুরু করলে প্রচার কম খরচে করা যায়, তাই এই সুযোগ কাজে লাগান। বিক্রি বা সার্ভিস দেওয়ার সময় সময়মতো ডেলিভারি দিন।

ধৈর্য ধরে কাজ করলে ধীরে ধীরে বিশ্বাস তৈরি হয়, আর সেটাই দীর্ঘমেয়াদী সফলতার চাবিকাঠি। বন্ধুরা বা পরিচিতদের মাধ্যমে প্রথম অর্ডার পাওয়া যেতে পারে, তাই ছোট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা জরুরি। ভুল হলে ভয় পাবেন না, বরং সেটাকে শেখার সুযোগ মনে করুন। ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ঠিক রাখুন, ফিডব্যাক নিন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করুন।

ছোট বাজেটেও বড় চিন্তা না রেখে সঠিক পরিকল্পনা, নিয়মিত প্রচেষ্টা এবং ধৈর্য নিয়ে এগোলেই ৫০ হাজার টাকার ব্যবসা লাভজনক হতে পারে। শুরুতে ধীরে ধীরে এগোনোর মানেই ভবিষ্যতে বড় আয় করার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

শেষ কথা:50000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়

শেষ কথা হিসেবে বলতে গেলে, ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা সম্পূর্ণ অসম্ভব নয়। আমি মনে করি, এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিকল্পনা আর ধৈর্য। বড় স্বপ্ন দেখা যাবে, কিন্তু প্রথমে ছোট শুরু করা ভালো। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা মানে ঝুঁকি কম রাখা আর শেখার সুযোগ বেশি। নিজের এলাকার চাহিদা বুঝে, কম খরচে সঠিক পণ্য বা সার্ভিস দিয়ে শুরু করলে ধীরে ধীরে আয় বাড়ানো সম্ভব। 

অনলাইনে কাজ শুরু করা, ঘরে বসে সার্ভিস দেওয়া বা ছোট পণ্যের বিক্রি করা-সবই সম্ভব এই বাজেটেই। ভুল হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু ছোট পরিসরে শুরু করলে ক্ষতিও কম। খরচ, সময় ও অর্ডার নিয়ে হিসাব রাখা, ক্রেতার সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রাখা আর মান ঠিক রাখা এই ব্যবসার সফলতার চাবিকাঠি।

আমার অভিজ্ঞতা বলছে, যারা শুরুতে পরিকল্পনা করে, ধৈর্য ধরে কাজ করে এবং শেখার মানসিকতা রাখে, তারা ছোট বাজেট থেকেও ভালো আয় করতে পারে। ৫০ হাজার টাকার ব্যবসা ছোট মনে হলেও ঠিকভাবে এগোলেই সেটা বড় আয়ের পথে একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে। তাই সাহসী হোন, পরিকল্পনা করুন এবং ধীরে ধীরে এগিয়ে যান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

লাইফ ব্লেন্ড আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url