কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত
কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে, এ প্রশ্নটা অবশ্যই আপনাদের মাঝে বা আপনাদের মধ্যে
ঘুরে। আমাদের বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক এবং অনেক মানুষ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে
গিয়ে থাকে। কিন্তু সঠিক গাইড এবং সঠিক দক্ষতা না থাকায় অনেক সময় আমাদের
শ্রমিক এবং আমাদের বাংলাদেশের ভ্রমণ কারীদের অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়।
আজকে আমরা এ পোষ্টের মাধ্যমে জানবো যে কুয়েতে যেতে সম্পূর্ণ খরচ এবং আরো কিছু
ভ্রমণ গাইড, তো চলুন আজকের পোস্টটি শুরু করা যাক।
পোস্টটি শুরু করার আগে আপনাদের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি যে, অবশ্যই পোস্টটি
শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট সম্পর্কে জানবেন এবং তা
সঠিকভাবে প্রয়োগ করবেন। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার মাধ্যমে আপনারা এ পোস্টের
গুরুত্বপূর্ণ সব কথাগুলো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং তা প্রয়োগ করতে কোন
অসুবিধা হবে না বা প্রয়োগের পরও কোন অসুবিধা হবে না। আপনাদের সুবিধার্থে
পোষ্টের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো পেজ সূচিপত্র আকারে তুলে ধরা হ...
পেজ সূচিপত্র:কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত
- কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত
- কুয়েত যাওয়ার আগে প্রাথমিক যোগ্যতা ও শর্ত
- কুয়েত ভিসার ধরন ও আবেদন প্রক্রিয়া
- ভিসা ফি ও সরকারি চার্জের বিস্তারিত
- পাসপোর্ট, মেডিকেল ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স খরচ
- এজেন্সি চার্জ ও টিকিট খরচ কত
- কুয়েত যাওয়ার মোট আনুমানিক খরচ (বাংলাদেশ থেকে)
- কুয়েতে গিয়ে প্রথম মাসের থাকার ও খাওয়ার ব্যয়
- কুয়েতে বেতন কাঠামো ও সঞ্চয়ের সম্ভাবনা
- অভিজ্ঞ প্রবাসীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ
- শেষ কথা:কুয়েত যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত
কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত
আমাদেরকে সর্বপ্রথম যে বিষয়ে জানতে হবে তা হচ্ছে, কুয়েতে যেতে কত টাকা
লাগে। আপনাদের যদি পাসপোর্ট আগে থেকেই করা থাকে তাহলে হিসাবে একটু টাকার
পরিমাণ কম হবে। যদি পাসপোর্ট না থাকে আপনি যদি প্রথমবার ভ্রমণ বা শ্রমিক
হিসেবে কুয়েতে যাচ্ছেন তাহলে আপনার খরচটা একটু বাড়বে। তো চলুন জেনে
আসি,বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে হলে খরচ নির্ভর করে ভিসার ধরন, পেশা, ও
যাত্রাপথের ওপর।
যারা বৈধভাবে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান, তাদের জন্য সাধারণত একটি “ওয়ার্ক
ভিসা” বা “ইকামা ভিসা” প্রয়োজন হয়। এই ভিসার খরচ এজেন্সির ফি, সরকারি চার্জ,
মেডিকেল পরীক্ষা ও টিকিটসহ সব মিলিয়ে গড়ে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়।
তবে ভিসার ধরন ও কোম্পানির দিক থেকে এই খরচ কিছুটা বেশি বা কম হতে পারে।
প্রথমে পাসপোর্ট করতে হয়, যার খরচ প্রায় ৫ হাজার টাকার মধ্যে। এরপর মেডিকেল
টেস্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য আরও প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার
টাকা লাগে।
ভিসা প্রসেসিং ও সরকারি ফি যুক্ত করলে ব্যয় আরও ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায়
দাঁড়ায়। সবচেয়ে বড় অংশ হলো এজেন্সি ফি ও বিমান টিকিট—এই দুটোতেই মোট খরচের
অর্ধেকের বেশি চলে যায়। অনেক সময় নিয়োগকারী কোম্পানি টিকিট দেয়, আবার অনেক
ক্ষেত্রে কর্মীকে নিজে বহন করতে হয়। কুয়েতে পৌঁছানোর পর প্রথম কিছু দিন
থাকা-খাওয়ার ব্যয়ও ধরা দরকার। গড়ে ২০ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত নিজের খরচে থাকতে
হতে পারে, যার জন্য অতিরিক্ত ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
ফলে পুরো যাত্রার আগে প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতে থাকলে কুয়েত যাওয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে
মনে রাখতে হবে, কম খরচের লোভে অবৈধ বা অচেনা এজেন্সির প্রস্তাব গ্রহণ করা
বিপদজনক। যাচাইকৃত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে নিরাপদভাবে কুয়েতে
পৌঁছানো যায়, এবং চাকরিও দীর্ঘস্থায়ী হয়। পরিকল্পনা ও সঠিক তথ্য থাকলে কুয়েত
যাত্রা হতে পারে এক লাভজনক ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের প্রথম ধাপ।
শ্রমিক ভিসা ৬ লাখ টাকা
কৃষি ভিসা ৬ লাখ টাকা
লেভার ভিসা ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা
ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৭ লাখ টাকা
কোম্পানি ভিসা ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা
হোটেল ও রেস্টুরেন্ট ভিসা ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা
ইলেক্ট্রনিক্স ও ইলেকট্রিকাল ভিসা ৮ লাখ টাকা
রাজমিস্ত্রি ও কাঠমিস্ত্রি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা
মেডিকেল ভিসা ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা
বিজনেস ভিসা ৬ লাখ টাকা
কুয়েত যাওয়ার আগে প্রাথমিক যোগ্যতা ও শর্ত
এখন আমরা জানব যে কুয়েতে যাওয়ার আগে কিছু প্রাথমিক যোগ্যতা ও শর্ত।
আমাদের বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ কুয়েতে গিয়ে থাকে শ্রমিক হিসেবে,
এখন আমরা জানবো যে শ্রমিক হিসেবে যাওয়ার জন্য কিছু যোগ্যতা ও কিছু শর্ত
প্রযোজ্য আছে আমাদের বাংলাদেশের জন্য। তো চলুন আমরা জেনে আসি যে কুয়েতে
যেতে কি কি প্রাথমিক যোগ্যতা শর্ত আছে।কুয়েতে কাজের উদ্দেশ্যে যেতে হলে
শুধু পাসপোর্ট থাকলেই হবে না, এর পেছনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা ও
শর্ত পূরণ করতে হয়।
কুয়েত সরকার বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে,
তাই আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা জরুরি। প্রথম শর্ত হলো বৈধ পাসপোর্ট ও
পরিষ্কার পরিচয়পত্র। আবেদনকারীর বয়স সাধারণত ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হতে
হয়, যদিও কিছু পেশার জন্য সীমা ভিন্ন হতে পারে। শিক্ষাগত যোগ্যতা
পেশাভেদে নির্ভর করে—যেমন শ্রমিক বা হেল্পার পদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা
যথেষ্ট, কিন্তু ড্রাইভার, টেকনিশিয়ান বা অফিস সহকারী পদের জন্য প্রশিক্ষণ
ও অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।
এরপর আসে মেডিকেল ফিটনেস সার্টিফিকেট। কুয়েতে কাজ করতে চাইলে আবেদনকারীর
শরীরে কোনো সংক্রামক রোগ থাকা চলবে না। সরকারি অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার
থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে হয় এবং রিপোর্ট অবশ্যই পজিটিভ হতে হবে।
একইভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও বাধ্যতামূলক, যা প্রমাণ করে
ব্যক্তি কোনো অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত নয়। অন্যদিকে, কুয়েতে কাজের
জন্য নিয়োগকর্তা বা স্পনসর থাকা আবশ্যক।
অর্থাৎ, যেই কোম্পানি বা ব্যক্তি কাজের প্রস্তাব দিচ্ছে, তাদের পক্ষ থেকে
একটি ভিসা অনুমোদন পত্র (Work Permit) প্রয়োজন হয়। এটি ছাড়া কুয়েতে
চাকরির ভিসা অনুমোদন সম্ভব নয়। সবশেষে, প্রার্থীকে কুয়েতের সংস্কৃতি ও
ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। কারণ, দেশটি ইসলামী আইন
অনুসরণ করে, তাই পোশাক, আচরণ ও সামাজিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। এসব শর্ত পূরণ করলে কুয়েতে নিরাপদ ও স্থায়ীভাবে কাজ করার
সুযোগ পাওয়া যায়, যা ভবিষ্যতে সফল প্রবাস জীবনের ভিত্তি গড়ে দেয়।
কুয়েত ভিসার ধরন ও আবেদন প্রক্রিয়া
কুয়েতে যাওয়ার জন্য ভিসা ধরন এবং আবেদন প্রক্রিয়া আমাদেরকে জানতে হবে।
এটা আসলে আমাদের এই পোষ্টের মূল বিষয় হিসেবে ধরা যেতে পারে মূল বিষয়
ছিল কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে তার বিস্তারিত এবং শুধু যে কত টাকা লাগে
সেটা জানা আমাদের জন্য, কুয়েতে যাওয়ার প্রতিটা প্রক্রিয়া আমাদেরকে
জানতে হবে শুধু যে টাকা থাকলেই আমরা কুয়েতে যেতে পারবো সেটা নয়। পেতে
যাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু দিকনির্দেশনা আছে।
যা আমাদেরকে জানতে হবে, না হলে আমরা সঠিকভাবে কুয়েতে যেতে পারবো না।
কুয়েতে মূলত কয়েক ধরনের ভিসা রয়েছে—ওয়ার্ক ভিসা, বিজিট ভিসা, ট্রানজিট
ভিসা এবং স্পেশাল স্কিল ভিসা। কাজের উদ্দেশ্যে প্রায় সবাই ওয়ার্ক ভিসা
বা “ইকামা ভিসা” নিতে হয়। এই ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া নিয়মিত ও
বিস্তারিত। প্রথম ধাপ হলো নিয়োগকর্তার মাধ্যমে আবেদন করা। কুয়েত সরকার
সরাসরি ব্যক্তিগত আবেদন গ্রহণ করে না, তাই স্থানীয় বা আন্তর্জাতিক
রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করতে হয়।
নিয়োগকর্তা আবেদনকারীর পেশাগত যোগ্যতা যাচাই করে ও ভিসা অনুমোদনের জন্য
অনলাইন আবেদন জমা দেয়। পরবর্তী ধাপে আসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ।
সাধারণত প্রয়োজন হয় পাসপোর্ট, মেডিকেল সার্টিফিকেট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স,
শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ এবং নিয়োগপত্র। এগুলো এজেন্সির মাধ্যমে কুয়েত
মাইগ্রেশন অফিসে পাঠানো হয়। অনেক ক্ষেত্রে, আবেদনকারীর ছবি ও বায়োমেট্রিক
তথ্যও জমা দিতে হয়।
ভিসা অনুমোদন হওয়ার পর প্রার্থীকে মেডিকেল চেকআপ ও প্রিপারেশন করতে হয়।
অনুমোদন পাওয়ার পরে বিমান টিকিট বুকিং করা হয় এবং প্রয়োজনে স্থানীয়
এজেন্সির নির্দেশনায় কুয়েতের কাজের পরিবেশ ও আইন সম্পর্কে প্রস্তুতি
নেওয়া হয়। সবশেষে, ভিসা সংগ্রহ ও কুয়েত প্রবেশের সময় নিয়মিত আইন ও
সংস্কৃতি মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
ওয়ার্ক ভিসা সাধারণত দুই থেকে তিন বছরের জন্য বৈধ থাকে এবং নবায়নযোগ্য।
সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে কুয়েতে নিরাপদ ও বৈধভাবে কাজ করা সম্ভব, যা
প্রবাসীর জন্য স্থায়ী আর্থিক ও পেশাগত সুযোগ নিশ্চিত করে। এই প্রক্রিয়া
না জানলে ভিসা বাতিল হওয়া বা অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সম্ভব,
তাই সবসময় যাচাই করা এজেন্সি ও নিয়োগকর্তার মাধ্যমে আবেদন করা উচিত।
ভিসা ফি ও সরকারি চার্জের বিস্তারিত
কুয়েতে যাত্রা করার সময় ভিসা ফি এবং সরকারি চার্জ হলো সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ খরচের অংশ। ভিসা ফি মূলত আবেদনকারী এবং নিয়োগকর্তার
মধ্যবর্তী চুক্তি ও ভিসার ধরনের ওপর নির্ভর করে। সাধারণ ওয়ার্ক ভিসার
জন্য বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যাত্রার ক্ষেত্রে গড়ে ২৫,০০০ থেকে ৪০,০০০
টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। এতে সরকারি চার্জ, মেডিকেল পরীক্ষা এবং
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
প্রথমেই পাসপোর্ট তৈরি করতে হয়, যা সাধারণত ৯,০০০-১০,০০০ টাকার মধ্যে
হয়। এরপর মেডিকেল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, যাতে নিশ্চিত করা যায়
আবেদনকারী সংক্রামক বা গুরুতর কোনো রোগ বহন করছে না। সরকারি অনুমোদিত
মেডিকেল সেন্টার থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করতে হয়, যা প্রায় ৫,০০০ থেকে
৭,০০০ টাকা খরচ হয়। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও আবশ্যক, যা
বাংলাদেশ পুলিশের মাধ্যমে প্রাপ্ত হয় এবং এতে সাধারণত কয়েক হাজার
টাকার খরচ লাগে।
সবচেয়ে বড় খরচ আসে এজেন্সি ফি এবং বিমান টিকিট থেকে। অনেক
নিয়োগকর্তা টিকিট দেয়, তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রার্থীর নিজস্ব ব্যয়
হয়। এজেন্সি ফি প্রায় ৫০,০০০–৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা পুরো
প্রক্রিয়ার সুবিধা এবং কাগজপত্র সংক্রান্ত কাজ অন্তর্ভুক্ত করে।
মোট মিলিয়ে, কুয়েতে পৌঁছানোর আগে প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতে থাকা নিরাপদ। এখানে খরচের সঠিক হিসাব জানা এবং যাচাই করা
এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধ বা অচেনা এজেন্সির
প্রস্তাব গ্রহণ করলে বিপদ হতে পারে। পরিকল্পনা করে এবং সঠিক তথ্য
অনুসরণ করলে কুয়েতে যাত্রা নিরাপদ এবং ঝুঁকিমুক্ত হয়, যা প্রবাস
জীবনের প্রথম ধাপকে আরও স্থিতিশীল করে তোলে।
পাসপোর্ট, মেডিকেল ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স খরচ
২০২৫ সালে কুয়েতে কাজ বা প্রবাসের জন্য পাসপোর্ট, মেডিকেল পরীক্ষা এবং
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের খরচ অনেকটাই স্থির এবং পূর্বের তুলনায়
কিছুটা পরিবর্তিত। বাংলাদেশে পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া এখন সম্পূর্ণ
অনলাইনভিত্তিক, যেখানে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন
ব্যবহার করা হয়।
সাধারণ পাসপোর্টের জন্য ১৫–২১ কার্যদিবস সময় লাগে এবং খরচ প্রায় ৩,৫০০
থেকে ৪,৫০০ টাকা, সার্ভিসের ধরন ও অবস্থানের ওপর খরচ কিছুটা পরিবর্তিত
হতে পারে। কুয়েতে কাজের জন্য মেডিকেল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, যা সরকারি
অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টারে সম্পন্ন করতে হয়। এই পরীক্ষায় রক্ত পরীক্ষা,
এক্স-রে, হেপাটাইটিস, যক্ষ্মা এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের পরীক্ষা
অন্তর্ভুক্ত থাকে। ২০২৫ সালে মেডিকেল পরীক্ষার খরচ প্রায় ৫,০০০ থেকে
৭,০০০ টাকা।
এছাড়া, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও বাধ্যতামূলক, যা অনলাইনে আবেদন
করা যায়। ২০২৫ সালে এর ফি প্রায় ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা এবং আবেদনকারীর
পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ এবং ছবি সংযুক্ত
করতে হয়। সাধারণত ৭–১০ কার্যদিবসের মধ্যে এই সার্টিফিকেট পাওয়া যায়।
এই তিনটি খরচ একসাথে প্রায় ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কুয়েতে যাওয়ার আগে এই খরচ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি বা অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে ঝুঁকি কম
হয় এবং খরচও সাশ্রয়ী হয়। তাই সব ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, মেডিকেল
রিপোর্ট ও ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রস্তুত রাখলে কুয়েতে যাত্রা
নিরাপদ এবং ঝুঁকিমুক্ত হয়।
এজেন্সি চার্জ ও টিকিট খরচ কত
২০২৫ সালে কুয়েতে যাওয়ার জন্য এজেন্সি ফি ও বিমান টিকিটের খরচ ভিসার
ধরন, নিয়োগকর্তা এবং ভ্রমণের শর্তের ওপর নির্ভর করে। সরকারি বা BMET
অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করলে খরচ কিছুটা কম হতে পারে, তবে
বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ বেড়ে যায়। এজেন্সি ফি সাধারণত
২০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এজেন্সি ফি-এর মধ্যে ভিসা প্রসেসিং, মেডিকেল পরীক্ষা, পুলিশ
ক্লিয়ারেন্স, ডকুমেন্টেশন, BMET রেজিস্ট্রেশন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট,
ট্রেনিং এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত থাকে। বিমান টিকিটের খরচ
নির্ভর করে ভ্রমণের সময়, এয়ারলাইন এবং বুকিংয়ের সময়ের ওপর।
সাধারণত, বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের বিমান টিকিটের খরচ ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০
টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
কিছু নিয়োগকর্তা টিকিট সরবরাহ করে থাকেন, তবে অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিকদের
নিজস্ব খরচে টিকিট কিনতে হয়। মোট খরচের হিসাব করলে, এজেন্সি ফি ও
বিমান টিকিটের খরচ প্রায় ৫০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে,
যা ভিসার ধরন ও প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে। এছাড়া, কিছু এজেন্সি
অতিরিক্ত ফি দাবি করতে পারে, যা প্রতারণার ঝুঁকি বাড়ায়। তাহলে,
সরকারি বা BMET অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা নিরাপদ এবং খরচ
সাশ্রয়ী হয়।
কুয়েত যাওয়ার মোট আনুমানিক খরচ (বাংলাদেশ থেকে)
কুয়েত এশিয়া মহাদেশে হওয়ায় ভিসা খরচ খুব বেশি নয়। বর্তমানে ডলারের রেট
বেড়ে যাওয়ায় পূর্বের তুলনায় প্রায় ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।
বর্তমানে কুয়েতের একটি কাজের ভিসার জন্য প্রায় ৬ লাখ টাকা লাগে। কুয়েতে
কাজের জন্য বেশ কয়েকটি ভিসা আছে। যেমন ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, শ্রমিক ভিসা,
কৃষি ভিসা ও ফ্যাক্টরি ভিসা ইত্যাদি।
সাধারণ মানের ভিসা গুলো পেতে ৬ লাখ টাকা খরচ হবে। আর এই সকল ভিসায় কুয়েত
যেতে মোট ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে। কুয়েতের ভিসা খরচ ৭ লাখ এবং বিমান
ভাড়া ও বাকি খরচ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে নুন্যতম ৮ লাখ টাকা
লাগবে। আশা করি আপনারা পেয়েছেন।
কুয়েতে গিয়ে প্রথম মাসের থাকার ও খাওয়ার ব্যয়
কুয়েতে প্রথম মাসের থাকার ও খাওয়ার খরচ নির্ভর করবে আপনি কীভাবে
জীবনযাপন করছেন তার উপর, তবে একটি আনুমানিক ধারণা দেওয়া যেতে পারে।
সাধারণত, থাকা-খাওয়ার জন্য প্রথম মাসে প্রায় $300-$600 (বা এর বেশি)
কুয়েতি দিনার (KWD) লাগতে পারে, তবে এটি আপনার জীবনযাত্রার খরচ এবং
আবাসন ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত হতে পারে।
থাকার খরচ
- কোম্পানির মাধ্যমে আবাসন: অনেক কোম্পানি তাদের কর্মীদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে। এটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী বিকল্প হতে পারে।
ব্যক্তিগতভাবে আবাসন:
- শেয়ার্ড রুম: একটি শেয়ার্ড রুমে থাকার খরচ প্রতি মাসে প্রায় $150-$250 হতে পারে।
- একক রুম/অ্যাপার্টমেন্ট: এটি আরও ব্যয়বহুল, যা প্রতি মাসে $300-$500 বা তার বেশি হতে পারে।
- ভিসার ধরণ: আপনি যদি ট্যুরিস্ট ভিসায় যান, তবে আপনাকে হোটেল বা ভাড়াবাসনের জন্য অতিরিক্ত খরচ করতে হতে পারে।
খাওয়ার খরচ
- খাবার: প্রতিদিনের খাবার খরচ প্রতি মাসে প্রায় $150-$250 হতে পারে, যা আপনি কোথায় খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে।
- রেস্টুরেন্ট: একটি রেস্টুরেন্টে প্রতি মাসে $100-$250 বা তার বেশি হতে পারে।
- নিজস্ব রান্না: নিজস্ব রান্না করলে খরচ অনেক কম হতে পারে।
অন্যান্য খরচ
- পরিবহন: যাতায়াতের জন্য প্রতি মাসে প্রায় $50-$100 খরচ হতে পারে, যা আপনি কীভাবে যাতায়াত করছেন তার উপর নির্ভর করে।
- অন্যান্য: অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচের জন্য প্রতি মাসে প্রায় $50-$100 বা তার বেশি লাগতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- কুয়েতের জীবনযাত্রার খরচ অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর তুলনায় কিছুটা কম, যা আপনার খরচ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- আপনার প্রথম মাসের খরচ কমাতে, কোম্পানি আবাসন বা শেয়ার্ড রুম বেছে নিতে পারেন, যা আপনার থাকার খরচ কমাতে সাহায্য করবে।
- বাজেট তৈরি করার সময়, আপনার নিজস্ব রান্না এবং পরিবহনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন, যা আপনার খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে
কুয়েতে বেতন কাঠামো ও সঞ্চয়ের সম্ভাবনা
কুয়েতের বেতন কাঠামো পেশা, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর নির্ভর
করে। গড় মাসিক বেতন সাধারণত 700 থেকে 1500 কুয়েতি দিনার (KWD) এর মধ্যে
থাকে, তবে উচ্চ দক্ষ পেশাদাররা এর চেয়ে বেশি আয় করতে পারেন। সঞ্চয়ের
সম্ভাবনা নির্ভর করে জীবনযাত্রার খরচ এবং ব্যয়ের উপর। সাধারণত, 1000
-3000 KWD-র মধ্যে একটি ভালো বেতনকে আরামদায়ক জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট
বলে মনে করা হয়।
বেতন কাঠামো গড় বেতন: কুয়েতে বেশিরভাগ কর্মচারীর জন্য গড় মাসিক বেতন
700 KWD থেকে 1500 KWD।উচ্চ দক্ষ পেশা: প্রকৌশলী বা ডাক্তারের মতো উচ্চ
দক্ষ পেশাদারদের আয় 2000 KWD এর বেশি হতে পারে।সাধারণ চাকরি:
সাধারণ বা নীল-কলার কর্মীদের বেতন 100 - 300 KWD এর মধ্যে হতে
পারে।ন্যূনতম মজুরি: গৃহকর্মীদের জন্য ন্যূনতম মাসিক মজুরি 60 KWD
এবং বেসরকারি খাতের অন্যান্য কর্মীদের জন্য 75 KWD।
বেতন প্রদানের পদ্ধতি: নিয়োগকর্তারা সাধারণত কুয়েতি দিনারে (KWD) বেতন
ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রদান করে। নগদ অর্থ প্রদান কম সাধারণ। সঞ্চয়ের
সম্ভাবনা আরামদায়ক জীবনযাপন: কুয়েতে আরামদায়ক জীবনযাপনের জন্য 1000 -
3000 KWD মাসিক আয় যথেষ্ট বলে মনে করা হয়।ব্যয় নিয়ন্ত্রণ: সঞ্চয়
নির্ভর করে আপনার জীবনযাত্রার মান এবং ব্যয়ের উপর। যদি আপনি আপনার
ব্যয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন, তাহলে সঞ্চয় করা সম্ভব।
ওভারটাইম: শ্রম আইন অনুযায়ী, কর্মঘণ্টা সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি হলে
ওভারটাইমের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করা হয়, যা সঞ্চয়ের পরিমাণ
বাড়াতে পারে। অন্যান্য সুবিধা স্বাস্থ্য বীমা: নিয়োগকর্তারা স্বাস্থ্য
বীমা এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করতে পারে।ছুটি এবং বিমান টিকিট:
বার্ষিক ছুটি এবং বিমান টিকিটও কিছু শর্ত সাপেক্ষে দেওয়া হয়।উন্নত
জীবনযাত্রা: কুয়েতে উন্নত জীবনযাত্রার সুযোগ রয়েছে।
অভিজ্ঞ প্রবাসীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ
অভিজ্ঞ প্রবাসীরা প্রায়শই বলেন, বিদেশে জীবন মানে শুধু সাফল্য আর
প্রাচুর্যের ঝলমলে ছবি নয়, এর প্রতিটি বাঁকে লুকিয়ে আছে এক ভিন্নধর্মী
বাস্তবতা। অনেকেই বিদেশ যান উন্নত জীবনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে, কিন্তু
সেখানে পৌঁছানোর পর বুঝতে পারেন, এই স্বপ্নের আড়ালে চাপা পড়ে থাকে
অসংখ্য চ্যালেঞ্জ। সাংস্কৃতিক সংঘাত এর মধ্যে অন্যতম। ভিনদেশি
রীতিনীতি, খাদ্যাভ্যাস ও ভাষা অপরিচিত দেয়াল তৈরি করে, যা অতিক্রম করা
সহজ নয়।
অনেক প্রবাসী শুধু অর্থনৈতিক কারণেই টিকে থাকেন, কিন্তু মানসিকভাবে
বিচ্ছিন্নতার এক তীব্র অনুভূতি তাদের গ্রাস করে। তবে, অভিজ্ঞ প্রবাসীরা
এটাও মনে করেন যে, এসব প্রতিকূলতাই তাদের নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম
দেয়। তাদের পরামর্শ হলো, বিদেশকে শুধু একটি গন্তব্য হিসেবে না দেখে বরং
জীবনের একটি চলমান পরীক্ষা হিসেবে দেখা উচিত। নতুনদের প্রতি তাদের
প্রধান উপদেশ, নিজের দেশ ও সংস্কৃতিকে ভুলে না গিয়েও নতুন পরিবেশের
সাথে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করা।
স্থানীয় ভাষা শেখা, সেখানকার মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া এবং তাদের
সংস্কৃতিকে সম্মান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল যোগাযোগের
ক্ষেত্রেই সাহায্য করে না, বরং একাকীত্ব ও হতাশা দূর করতেও কার্যকর।
দীর্ঘদিন বিদেশে থাকা প্রবাসীরা একসময় বুঝতে পারেন, তারা দুই সংস্কৃতির
মাঝে এক নতুন মানুষে রূপান্তরিত হয়েছেন।
দেশে ফিরেও একধরনের 'রিভার্স কালচার শক' বা বিপরীতমুখী সাংস্কৃতিক
ধাক্কার সম্মুখীন হতে হয়, কারণ দেশ এবং নিজের পরিচিত পরিবেশ দুটোই বদলে
গেছে। এই পরিবর্তনকে মেনে নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করা প্রয়োজন।
প্রবাস জীবনকে অর্থবহ করতে আর্থিক প্রস্তুতির পাশাপাশি মানসিক
স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া, সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা এবং অভিজ্ঞতার
মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগানো জরুরি। বিদেশ মানে শুধু অর্থ
উপার্জন নয়, বরং নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের এক অবিরাম পথচলা।
শেষ কথা:কুয়েতে যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত
কুয়েত যেতে ঠিক কত টাকা লাগে, তা নির্দিষ্ট করে বলা বেশ কঠিন, কারণ
ভিসার ধরন, দালাল চক্রের সম্পৃক্ততা এবং বিভিন্ন আনুষঙ্গিক খরচ এর উপর
নির্ভর করে। সরকারিভাবে নির্ধারিত খরচ থাকলেও বাস্তবে এই খরচ অনেক বেশি
হতে পারে, যা শ্রমিকদের জন্য একটি বড় আর্থিক বোঝা। আমার মতে, কুয়েত
যেতে আগ্রহীদের প্রথমে দালালদের লোভনীয় কথায় বিশ্বাস না করে, সরকারি
নিয়মকানুন এবং অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে অগ্রসর হওয়া উচিত।
এতে একদিকে যেমন খরচ কমবে, তেমনি প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস
পাবে। ভিসা প্রসেসিং, মেডিকেল পরীক্ষা, এয়ার টিকিট এবং অন্যান্য
প্রশাসনিক খরচের পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত ব্যয়ও মাথায় রাখতে হবে।
সরকারিভাবে নির্ধারিত খরচের বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ প্রায়ই
ওঠে, যা অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তোলে।
তাই, সম্পূর্ণ খরচ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকা জরুরি। কুয়েত যেতে
ইচ্ছুক ব্যক্তিকে নিজের আর্থিক সামর্থ্য এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো
সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। কেবল ভালো বেতনের আশায় হুট করে সিদ্ধান্ত না
নিয়ে বরং চাকরির শর্ত, আবাসন, চিকিৎসা বীমা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা
সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। আমার মতে, নির্ভরযোগ্য
সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা গেলে নিরাপদে ও
কম খরচে কুয়েত যাত্রা করা সম্ভব।



লাইফ ব্লেন্ড আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url